ফিক্সড ডিপোজিট কি : বর্তমান সময়ে, আমরা সকলে কিন্তু সব সময় সফলভাবে টাকা সঞ্চয় করতে পারিনা। অথচ অর্থ সঞ্চয় কিন্তু সম্পত্তি কিংবা জমানো সবচেয়ে, গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়।
অন্যদিকে আমাদের ইনকামের ছোট অংশ সঞ্চয় করা। কিন্তু ভবিষ্যতে আমাদেরকে একটা উচ্চমানের জীবন উপভোগ করতে সহায়তা করে।
যে সকল ব্যক্তি পানির মত টাকা ব্যয় না করে, সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তোলেন। তারা দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধি এবং নির্মাণ করতে অনেক বেশি সফল হন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রকমের রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিক্সড ডিপোজিট। এমনিতে বাংলাদেশের মত দেশে এখনও এই ফিক্সড ডিপোজিট হচ্ছে টাকা সঞ্চয় এর একটা বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম।
আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব। ফিক্স ডিপোজিট কি ? এবং ফিক্সড ডিপোজিট এর সুবিধা ও লাভ সম্পর্কে।
আপনি যদি ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ফিক্সড ডিপোজিট কি ? বা স্থায়ী আমানত কি ?
একটি ফিক্সড ডিপোজিট হচ্ছে এক ধরনের বিনিয়োগের উপকরণ। যে কোন ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থা এই এফডিআর বা ফিক্সড ডিপোজিট এর মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের টাকা সঞ্চয় করতে সহায়তা করে।
অ্যাক্টিভ ফিক্সড ডিপোজিট বা স্থায়ী আমানত একাউন্ট এর সাহায্যে। যে কোনো ব্যক্তি এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, পূর্ব নির্ধারিত সুদের হারে, একটা উল্লেখ যোগ্য পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
[wp_show_posts id=”3303″]
এই ফিক্সড ডিপোজিট কে স্থায়ী আমানত টার্ম বলা হয়। ফিক্স ডিপোজিট আপনারা যে, কোন ব্যাংক এবং নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি থাকে করে নিতে পারবেন।
একটি ফিক্সড ডিপোজিট এর মাধ্যমে আপনারা নিজের সঞ্চয় করা টাকার ওপর অধিক পরিমাণে পেয়ে থাকবেন। বিশেষ করে, সেভিংস একাউন্ট থেকে ইন্টারেস্ট পাওয়া সম্ভব। এই ফিক্সড ডিপোজিট মানে, স্থায়ী আমানতের আর্থিক উপকরণ থাকে্
এখন, আশা করা যায় আপনি ফিক্সড ডিপোজিট বলতে কী বোঝায়। পরিষ্কার ধারণা নিয়ে নিতে পেরেছেন। আর যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে দয়া করে, উক্ত আলোচনায় আরও একবার পড়ে নিন।
ফিক্সড ডিপোজিট এর কিছু তথ্য
ফিক্সড ডিপোজিট সম্পূর্ণ নিরাপদ বিনিয়োগ এর মাধ্যম। এ ফিক্সড ডিপোজিট করা অনেক সহজ ব্যাপার। এখান থেকে আপনি ভালো রিটার্ন পাবেন এবং মেয়াদ শেষে আপনার বিনিয়োগ করার সম্পূর্ণ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3303″]
তাছাড়া আপনি পেয়ে যেতে পারেন আপনার মত ভাল টাকা সঞ্চয়কারী পরিকল্পনা। আর এই ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সুদের হার প্রদান করে থাকে।
এ সুদের হার মার্কেট এর ওঠানামা তারা কোনোভাবেই প্রভাবিত হয় না সব সময় একই থাকে। আর ফিক্স ডিপোজিটের সম্পন্ন করার পর মানে পিরিওড পেরোনোর পর, আপনার টাকা রিটার্ন পেয়ে যাবেন।
এখানে আপনি পর্যায়ক্রমিক ভিত্তিতে মেয়াদপূর্তির সময়ে আপনার বিনিয়োগের আগ্রহ সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। মূলত ফিক্সড ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে আপনি মেয়াদপূর্তির আগে টাকা প্রত্যাহার করতে পারবেন না।
আর সময়ের আগে সেই টাকা তুলতে চাইলে আপনাকে জরিমানা দিয়ে তবেই সে টাকা উত্তোলন করতে হবে।
ফিক্সড ডিপোজিটের বৈশিষ্ট্য
ফিক্স ডিপোজিট বা স্থায়ী আমানত সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে হলে সবার আগে এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আমরা ফিক্সট ডিপোজিট এর কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করবো যেগুলো আপনার জানা অত্যন্ত জরুরী।
[wp_show_posts id=”3308″]
তো চলুন, নিচের আলোচনা থেকে ফিক্সট ডিপোজিট এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সুদের হার
আপনার যোখন ফিক্সট ডিপোজিট করবেন তখন ফিক্স ডিপোজিটের সুদের হার আপনি যতটা মেয়াদের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে চান। তার ওপর নির্ভর করবে কিন্তু সেই সুদের হার মেয়াদপূর্তি অবধি সমান থাকবে।
নিশ্চিত রিটার্ন
ফিক্স ডিপোজিট বা স্থায়ী আমানত রিটার্ন পাওয়ার ব্যাপারটা একেবারেই সুনিশ্চিত। যেহেতু এটি মার্কেট নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগের জায়গা না। তাই মার্কেটে সুদের হারও ওঠানামার ওপর নির্ভর করে এখানে রিটার্ন দেওয়া হয় না।
[wp_show_posts id=”3308″]
এজন্য স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে শুরুতে যে সুদের হার নির্বাচন করেছেন সেই সুদের হারের হিসেবেই মেয়াদপূর্তির টাকা রিটার্ন দেওয়া হয়।
এজন্য ফিক্স ডিপোজিট হচ্ছে যে কোন বিনিয়োগ এর তুলনায় অনেকটাই বেশি সুরক্ষিত। এছাগা ইক্যুইটির মতো অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই নিরাপদ হয়ে থাকে।
আপনার বিনিয়োগের ওপর রিটার্ন গণনা করে বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার গুলো দেখতে পারবেন।
বয়স্ক নাগরিকরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটা বেশি সুদের হার পেয়ে থাকে। কিন্তু এনবিএফসি এর থেকে প্রদত্ত ফিক্স ডিপোজিটের সুদের হারের তুলনায় অনেক বেশী হয়ে থাকে।
ফিক্সড ডিপোজিট এর বিপরীতে ঋণের সুবিধা
ফিক্সড ডিপোজিট একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থির করা হলেও যখন আপনার তহবিলের প্রয়োজন হবে। তখন আপনি আপনার ফিক্সড ডিপোজিট এর পরিবর্তে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3303″]
এমনকি আপনি আপনার ফিক্সড ডিপোজিট এর পরিমাণের ওপর 90 পার্সেন্ট পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। এটির সুবিধা হচ্ছে যে আপনি ফিক্সড ডিপোজিট এর অর্জন করতে থাকবেন।
কিন্তু প্রয়োজনের সময় আপনাকে সময়ের আগে ফিক্সড ডিপোজিট প্রত্যাহার করতে হবে না আর কোন পেনাল্টি দিতে হবে না।
নমনীয় মেয়াদ
যেকোনো ব্যাংকের কম আর বেশি 7-14 দিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 10 বছর পর্যন্ত ফিক্সড ডিপোজিট এর নির্বাচন করা যায়। এমনকি আপনার মাসিক এবং বিনিয়োগের অপশন নির্বাচন করে চক্রবৃদ্ধি হারে ফিক্স ডিপোজিট করে নিতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3306″]
আরএই নমনীয় মেয়াদের জন্য এই ফিক্সড ডিপোজিট অনেক মানুষের কাছে সবচেয়ে সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
ফিক্সড ডিপোজিটের সুবিধা এবং লাভ
অসংখ্য মানুষের বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত এর পিছনেও আছে। বেশ কতগুলো ভালো কারণ কারণ এর মাধ্যমে সবথেকে অন্যতম হচ্ছে, ফিক্সড ডিপোজিট গুলো বছরের পর বছর ধরে অত্যন্ত এবং নমনীয় আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে।
তাই আমরা আপনাকে জানিয়ে দিবো, ফিক্সড ডিপোজিট এর সুবিধা এবং লাভ সম্পর্কে। তার জন্য নিচে দেওয়া তথ্যগুলো ধাপ অনুসরণ করুন।
সু-নিশ্চিত রিটার্ন
আপনি যদি ফিক্সড ডিপোজিট করেন, তাহলে সব থেকে জনপ্রিয় বিষয়টি হচ্ছে, সুনিশ্চিত ভাবে আপনার জমানো টাকা রিটার্ন পাবেন। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া।
[wp_show_posts id=”3303″]
তাই আপনি যদি ফিক্সড ডিপোজিট করে টাকা জমানো তাহলে, আপনার মেয়াদপূর্তির পর সুদ সহ টাকা সুনিশ্চিত ভাবে রিটার্ন যাবেন। কিন্তু আপনি যদি ফিক্সড
ডিপোজিট করা টাকা মেয়াদপূর্তির আগে উত্তোলন করতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনারা সুদ প্রাপ্ত হবেন না। তাই আপনার জমানো টাকা মেয়াদপূর্তি হওয়ার পরেই উত্তোলন করবেন এতে করে আপনারা সম্পূর্ণ সুদ ভোগ করতে পারবেন।
ঝামেলাবিহীন বিনিয়োগ
একটি সেভিংস একাউন্ট থাকলে অনলাইনে মাত্র কয়েক ক্লিকে বা আপনার ব্যাংক শাখায় গিয়ে ফিক্সট ডিপোজিট করতে পারবেন। আপনি একবার ফিক্সট ডিপোজিট করলে মেয়াদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এটি নিয়ে আপনাকে মাথা ঘাটাতে করতে হবে না।
[wp_show_posts id=”3308″]
আপনি নিজে থেকে ডিপোজিট নবায়ন বাবদ ভর্তির পর আই আপনার অ্যাকাউন্টে পেতে ম্যাচুরিটির সময় এর নির্দেশনাবলী সেট করে নিতে পারবেন।
চক্রবৃদ্ধি হারের সুবিধা
আপনি যদি ফিক্সড ডিপোজিট করার সময় পূনঃবিনিয়োগের বিকল্প নির্বাচন করেন তাহলে আপনি চক্রবৃদ্ধি সুদের হার থেকে উপকৃত হবেন। মানে আপনি শুধুমাত্র মোট টাকার পরিমান এর ওপর না বরং আপনার উপার্জিত সুদের ওপর আলাদা করে গ্রহণ করতে পারবেন।
নিয়মিত আয়ের সুবিধা
নিয়মিত সুবিধা পেতে চাইলে, আপনার ফিক্সড ডিপোজিট এর উপর আপনি মাসিক ত্রৈমাসিক সুদের পেআউট সিলেক্ট করতে পারেন।
সহজ তরলকরণ
ফিক্সড ডিপোজিট লিকুইডেট করা অনেক সহজ ব্যাপার। অনলাইনে বুক করা ফিক্সড ডিপোজিট এর জন্য নেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অনলাইন বাতিল করা যায়। অন্যদিকে বেশিরভাগ ব্যাংকের শাখা তে এই ফিক্সড ডিপোজিট বাতিল করার একটা ফ্রম থাকে।
- এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম (এখানে দেখুন)
- মোবাইল ব্যাংকিং কি ? মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা
- ই-ব্যাংকিং কি ? ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজকের প্রজেক্ট নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি আমরা এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করলাম। আশা করি ফিক্স ডিপোজিট কি ফিক্স ডিপোজিট এর সুবিধা গুলো আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিতভাবে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।