Oppo কোন দেশের কোম্পানি : অপো কোম্পানির মালিক এবং সিইও কে? এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানাব।
আমরা প্রথমেই বলে রাখি অপো একটি চীনা ইলেকট্রক্সি ও মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। অপো কোম্পানির প্রধান কার্যালয় চীন এর গুয়াংডং এর ডংগুয়ানে।
ব্র্যান্ড নাম Oppo চীনে রেজিস্টার্ড হয়েছি। এবং পরবর্তীতে, প্রতিষ্ঠানটি ভাল নামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অপো হলো- চীনা ব্র্যান্ড গুলো মধ্যে একটি। যা বর্তমান সময়ে, পাশ্চাত্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
স্মার্ট ফোন ক্রেতাদের কাছে, আকর্ষণীয় করার জন্যে উক্ত মোবাইল এর দাম অনেক কম রাখা হয়েছে। তবে এখানে ফিচার আছে অনেক উচ্চমান এর।
আপনি যদি প্রিমিয়াম সেগমেন্ট স্মার্ট মোবাইল অনক ভালো মানের, ক্যামেরা ও উচ্চস্ক্রিন রেজুলিশেন পছন্দ করেন। তাহলে অপো মোবাইল আপনার জন্য একটি ভালো অপশন হবে।
তাছাড়া, কোম্পইনির পক্ষ থেকে কি-কি ডিভাইস বাজারে নিয়ে এসেছে। তার দিকেও আপনার একটু নজর দেওয়া দরকার।
OPPO কোম্পানির মালিক কে ?
অপো মোবাইলের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে টনি চেন। তিনি অপো টেলিকমিউনিকেশন কর্পোরেশন লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সময়ে সিইও হচ্ছেন, টনি চেন সারা বিশ্বের।
- সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার আগে জরুরি বিষয়ে যাচাই করুন
- অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও ফলাফল
অপো কর্পোরেশন লিমিটেড ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও টেকনিক্যঅল সার্ভিস প্রদান করে। এটি বিবিকে ইলেকট্রনিকের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি।
প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট মোবাইল, ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস কেবল, গাড়ী চার্জার, হেডেসেট, প্রতি রক্ষা মূলক কেস ও পাওয়ার ব্যাংক এর মতো অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি করে থাকে।
অপো বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্ট এর কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি নাম হিসেবে পরিচিত।
OPPO কোন দেশের কোম্পানি ?
অপো মোবাইল 2001 সালে, রেজিস্টার করা হয়। এবং 2004 সালে, চীনে সেটি প্রথম চালু করা হয়। কোম্পানি সেই সময় থেকে মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ভারত ইত্যাদি দেশে তার নাম রেজিস্টার করেন।
অপো সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়াতে, অপো মোবাইল বিক্রি করার জন্য ফিজিক্যাল স্টোর খুলেছেন।
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম | প্রতিদিন 1100 টাকা ঘরে বসে আয় করুন
- লঞ্চ হচ্ছে এই নতুন এন্ড্রয়েড 5G মোবাইল [জেনেনিন বিস্তারিত]
কিন্তু স্টোরে কোম্পানি অনেক সংখ্যায় মোবাইল বিক্রি করে না। যদিও স্টোরফ্রন্ট গুলো অপো ব্র্যান্ড এর সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
আমরা জানি, অপো বিশ্ব এর 5 নাম্বার স্মার্ট ফোন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রমাণিত বা পরিচিত।
অপো কোম্পানি 2009 সালে থাইল্যান্ড এ ব্যবসা শুরু করেন। 2016 সালে অপো ফিলিপাইন বাস্কেটবল এসোসিয়েশন এর অফিসিয়াল স্মা্ট ফোন পার্টনার হয়ে যান।
2016 সালে জুন মাসে অপো চীনের বৃহত্তম স্মার্ট মোবাইল প্রস্তুত কারক হয়ে যায়। এবং 200000 এর বেশি খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র তার মোবাইল বিক্রি করার শুরু করে দেন।
আপনারা হয়তো জানেন না অপো 2019 সালে চীন এর শীর্ষ স্মার্ট ফোন ব্র্যান্ড ছিল। বর্তমান সময়ে অপো ভারত এর একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন কোম্পানি হিসেবে পরিচিত।
বর্তমান সময়ে অপো এর মোবাইল গুলো ভারত এর মানুষ এর কাছে এবং বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করে। যার কারণে অপো ভারতে এবং বাংলাদেশে একটি বড় ও জনপ্রিয় স্মার্ট ফোন কোম্পানি হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
অপো মোবাইল বিশ্বে এতটা উন্নত করছে যে, অ্যাপল ও স্যামসাং এর মতো নাম করা নির্মাতাদের উপর সেটি চাপের সৃষ্টি করছে। এটি আগামী দিনে তা অব্যাহত রাখবে বলে, মনে আশা করা যায়।
তার কারণ অপো কোম্পানি’র স্মার্ট মোবাইল গুলো অল্প খরচে বাজারে পাওয়া যায়। এই মোবাইল গুলোর ফিচার অনেক আকর্ষণীয় এবং উচ্চ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়ে থাকে।
তো বন্ধুরা আপনারা যদি উক্ত আলোচনা অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে বুঝতে পারছেন যে, Oppo কোন দেশের কোম্পানি এবং অপো কোন কোন দেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
অপো (OPPO) কোম্পানির ইতিহাস
অপো কোম্পানি মাত্র 16 বছর এর মধ্যে 40 টি দেশে তাদের ব্যসা সম্প্রসারণ করেছে। 2016 সালে 12 বছর এর মধ্যে কোম্পানিটি চীন এর সব থেকে বড় মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারণ হয়ে উঠে।
আবার 2016 সালেই অপো তার স্মার্ট মোবাইল বিক্রি করার জন্য ২০০০০০ খুচরা আউটলেট তৈরি করেন। 2019 সালে অপো চীন এর শীর্ষ মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত হয়।
- মোবাইলে সরাসরি খেলা দেখার সফটওয়্যার (ডাউনলোড করুন)
- এন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সহজ উপায় (রুটিং এপস)
- ফ্রি ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম । মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
আপনাদের যদি মার্কেট শেয়ার ও বিশ্বব্যাপি র্যাঙ্ক এর কথা বলি তবে, অপো এখন শীর্ষ 5 টি মোবাইল প্রস্তুতকারক এর মধ্যে স্থান পেয়েছে।
বর্তমান সময়ে সরা বিশ্বে অপো কোম্পানিতে 40 হাজার এর বেশি কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। নিচের অংশে অপো কোম্পানি তার চলার পথে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে উন্নতি করেছে।
তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে নিচের অংশ দেখুন। যেমন-
- 2005 সালে, প্রথম এমপিথ্রি প্লেয়ার চালু করে।
- 2008 সালে প্রথম স্মাইলি ফেস মোবাইল তৈরি করে লঞ্চ করে।
- 2009 সালে, থাইল্যান্ড এ প্রথম মোবাইল ফোন চালু করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সারা পৃথিবী জুড়ে তার সম্প্রসারণ শুরু করেন।
- লিনার্দো ডিক্যাপ্রেও 2011 সালে, অপো কর্তৃক চালু করা ফাইন্ড প্রথম স্মার্ট মোবাইল Endorse করেছিল।
- 2012 সালে, অপো কোম্পানিটি তাদের মোবাইল গুলোতে ফেস বিউটিফিটিফিকেশন বৈশিষ্ট্য চালূ করেন।
- 2013 সালে, বিশ্ব এর প্রথম মোবাইল যাতে, ঘূর্ণায়মান ক্যঅমেরা রয়েছে সেটি চালু করা হয়।
- আবার 2013 সালেই, Color OS কে কোম্পানির প্রথম অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে চালূ করে।
- 2014 সালে, অপো Vooc দ্বারা দ্রুত চার্জিং এর বিপ্লব নিয়ে আসে।
অপো সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও ভারতে অনেক বেশি বিক্রি হয়ে চলেছে। তার পাশাপাশি চীনে বিক্রির ধীরগতিতে হওয়া দেখা যাচ্ছে। আক্রমনাত্মক মার্কেট হলো এর মূল কারণ।
অপো তার ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য সাহায্য করা সেই অঞ্চল এর বড় বিনোদনকারীদের স্পনসর করেছেন। অপো এখন F1 + এবং সমতুল্য R9 এর মতো টপ ক্লস মডেল ও অন্যান্য জনপ্রিয় ডিভাইস গুলোতে, ফোকাস করে, ভারী বিপণন চালিয়ে যাচ্ছে।
স্মার্ট মোবাইল এর বাজারে কোম্পানির এই কার্যকলাপ উচ্চাকাঙ্খার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত প্রদান করে।
আরো দেখুনঃ বাংলাদেশে oppo মোবাইলের দাম ও ছবি [বিস্তারিত এখানে]
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানিয়ে দিলাম, Oppo কোন দেশের কোম্পানি, অপো কোম্পানির মালিক ও সিইও কে ? অপো কোম্পানির কিছু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে।
আপনি যদি অপো মোবাইল ব্যবহার করতে চান। তাহলে মার্কেটি গিয়ে আপনার পছন্দের মডেল সিলেক্ট করে নিন। আর অল্প দামে একটি ভালো ফিচার যুক্ত অপো স্মার্ট ফোন কিনুন।
তো আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে, আপনার কাছে কেমন লাগলো, অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানবেন। আর এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যদি নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।