মার্কেটিং এর দুনিয়ায় এক অনন্য সেক্টর হিসাবে পরিচিত ইমেইল মার্কেটিং। একটি ব্যবসাকে অনলাইনে ভালোভাবে কাস্টমারদের কাছে তুলে ধরতে হলে Email Marketing এর প্রয়োজনীয়তা বলে বোঝানো সম্ভব না।
আর বর্তমান অনলাইন কিংবা অফলাইন যে ব্যবসার কথাই বলুন না কেন ইমেইল মার্কেটিং একটি অন্যতম উপায় উভয় প্রকার ব্যবসার পরিসর বাড়াতে। আপনিও চাইলে এই Email Marketing করেই আয় করতে পারেন মাসে হাজার হাজার টাকা। কিন্তু কথা হলো আপনার তো এ সম্পর্কে পূর্ব কোন ধারণা নেই তাহলে কিভাবে করবেন?
ঘাবড়াবেন না। আজকে আমরা আলোচনার করব এই ইমেইল মার্কেটিং কি? এ সমন্ধেই। এক্কেবারে শুরুর ধারণা থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে আজকের আলোচনায়। এক নজড়ে দেখা নেয়া যাক আমরা আজ কি কি জানব-
- Email Marketing কি?
- Email Marketing এর জন্য কি কি লাগবে?
- Email Marketing কিভাবে শুরু করবেন?
দেরি না করে চলুন আজকের আলোচনায় চোখ বোলানো যাক-
Email Marketing কি ?
Email Marketing মূলত হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়ীক মেসেজ পাঠানো হয়ে থাকে। আর এই মেসেজটি পাঠানো হয়ে থাকে একটি নির্দিষ্ট কাস্টমার এর কাছে। শুধু একজন নয় বরং একটা শ্রেণির লোককে যারা উক্ত ব্যবসার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
অর্থাৎ আপনি যদি একটি জুতার কোম্পানির জন্য ইমেইল মার্কেটিং করতে যান তাহলে আপনাকে সেই কাস্টমারদের খুঁজতে হবে যারা উক্ত ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত । যার মানে দাঁড়ায় আপনার টার্গেট হবে যারা বেশি বেশি জুতা কেনে তারা।
Email Marketing মূলত করা হয় তিনটি কারণে। সেগুলো হলও-
- লয়ালটি
- বিশ্বাস
- ব্রান্ড অ্যাওয়ারনেস জাগানো
Email Marketing এর মাধ্যমে কাস্টমার এবং বিক্রেতার মধ্যে একটি সু সম্পর্ক স্থাপন হয়। কেননা Email Marketing এর মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় কোম্পানির বিভিন্ন সেল এবং অফার এর কথা।
Read More:
- ফ্রি ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।
- ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে Google adsense এর মাধ্যমে আয় করুন?
আর ক্রেতা বা কাস্টমার উক্ত বিষয়গুলো জানার পর নিজের সময় মতো এসে সেই অফার এর সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে। যার মাধ্যমে ক্রেতা আরো বেশি সন্তুষ্ট থাকে এবং কোম্পানির সেল আরো বাড়ে। আশা করি ইমেইল মার্কেটিং সম্বন্ধে আপনার ধারণাটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। এ পর্যায়ে আমরা জানব Email Marketing করতে আপনার কি কি প্রয়োজন ।
Email Marketing প্রকারভেদ-
ইমেইল মার্কেটিং কয়েকটি ভাবে করা যেতে পারে। আর যে কয়েকটি উপায় ও কারণে করা হয় তার উপর ভিত্তি করে মূলত এটিকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে সাধারণত। এগুলো হলো –
ট্রান্সেকশনাল ইমেইল মার্কেটিং কি?
ট্রান্সেকশনাল ইমেইল মূলত পাঠানো হয়ে থেকে কোম্পানি বা ব্যবসার কাস্টমারদের অর্থাৎ যারা আগে থেকেই আপনার প্রোডাক্ট কিনছে তাদের। এখানে একটি লিস্ট করে নিতে হয় নিয়মিত ও অনিয়মিত কাস্টমারদের। অর্থাৎ যারা প্রতি নিয়তই কিনছে এবং যারা অন্তত একবার বা দু বার কিনেছে তাদের একটি লিস্ট।
এই লিস্ট অনুসারে মূলত ইমেইল পাঠানো হয়ে থাকে। আর এই প্রক্রিয়াকে অ্যাখ্যায়িত করা হয় ট্রান্সেকশনাল Email Marketing হিসাবে।
ডাইরেক্ট ইমেইল মার্কেটিং কি?
এই প্রকার মার্কেটিং কে কিছুটা প্রোমোশনাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। এটি মূলত করা হয় কোম্পানি বা ব্যবসায় নতুন কাস্টমার যুক্ত করতে অর্থাৎ বর্তমান কাস্টমার বাদেও আরও কিছু কাস্টমার যোগ করতে।
এর মূল কারণ হলো কোম্পানির সেল আগের থেকে বেশি করা। ডাইরেক্ট ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজন অনেক রিসার্চ এবং অনেক অ্যানালাইসিস।
উপরোক্ত দুটি ইমেইল মার্কেটিং ছাড়াও আরও কয়েক প্রকার এর হয়ে থাকে। তবে প্রাইমারিভাবে এই দুটো ভাগকেই ইমেইল মার্কেটিং এর মূল হিসাবে ভাবা হয়। বাকি Email Marketing এর মধ্যে রয়েছে-
- প্রোডাক্ট আপডেট
- ডিজিটাল নিউজস্লেটার
[wp_show_posts id=”3303″]
ইমেইল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় জিনিস- যা যা লাগবেঃ
Email Marketing শুরুর জন্য আপনাকে কিছু জিনিস জানতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং করতে আপনার কি কি জিনিস প্রয়োজন হতে পারে তার উপর ভিত্তি করেই আমাদের এখনকার আলোচনা। চলুন জেনে আসা যাক-
ইমেইল এর লিস্ট তৈরি করুন-
আপনাকে শুরুতেই একটা তালিকা তৈরি করে নিতে হবে আপনি কাদের ইমেইল পাঠাবেন বা পাঠাচ্ছেন তাদের। অর্থাৎ আপনার শুরুর কাজটাই হবে একটা টার্গেট তৈরি করা যে এদের এদের আপনি ইমেইল পাঠাচ্ছেন। এই কাজটি করার জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষকে নির্বাচন করে নিন। এরপর তাদের ইমেইলগুলো নিজের কন্টাক্ট লিস্টে সাজিয়ে নিন।
এই ইমেইল লিস্ট তৈরির ক্ষেত্রে আপনার কাজ কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি। লিংকে ক্লিক করে ঘুরে আসতে পারেন।
আপনার কাজের জন্য টেমপ্লেট নির্বাচন করুন-
Email Marketing কিন্তু ইমেইল পাঠানোর মধ্যেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়। আপনি যেহেতু একটি ইমেইল পাঠাচ্ছেন তার মানে আপনার লক্ষ্য হচ্ছে আপনার কাস্টমারকে আকৃষ্ট করা । কি তাই তো?
হ্যাঁ বিষয়টা ঠিক তাই। আর তাই আপনাকে যে বিষয়ে ইমেইল পাঠাচ্ছেন সে বিষয় এর টেমপ্লেট বানাতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য টেমপ্লেট কিন্তু একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
কেননা আপনার টেমপ্লেট যতটা লোভনীয় হবে আপনার কাস্টমার পাওয়ার চান্স তত বেশি। আর আপনি এই টেমপ্লেটটি বানাতে পারেন অনলাইন এই বা কিছু হালকা ফটো ইডিটিং সফটওয়্যার যেমন- ফটোশপ কিংবা গিম্প বা ইঙ্কস্কেপ ব্যবহার করে।
এখানে আরেকটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আর তা হলো এমন টেমপ্লেট বানানো যা বার বার ব্যবহার করা যায়। এতে করে শ্রম ও সময় দুটোই বাচবে।
[wp_show_posts id=”3306″]
লোভনীয় মেসেজ লেখার চেষ্টা করুন-
ইমেইল কিন্তু মূলত লেখার দ্বারাই অনেকটা কাজ করে। অর্থাৎ ক্রেতা বা কাস্টমার একটা ইমেইল এ আপনার লেখাই সর্বপ প্রথম দেখতে পাবে। যা তার কাছে প্রথম ইম্প্রেশন টা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
তাই আপনার ইমেইল এর বাণী বা কথাগুলো যতটা লোভনীয় করতে পারবেন আপনার সাফল্যের চান্সও তত বেশি। আর তাই বেশি বেশি লোভনীয় মেসেজ লেখার চেষ্টা করুন এবং আপনার ইমেইল মার্কেটিং এ উক্ত বিষয়টিকে ফুটিয়ে তুলুন।
এর মাধ্যমে আপনি অধিক কাস্টমার এর কাছে পৌঁছাতে ও মূল কথা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। এই লেখার জন্য আমি আপনাকে তিনটি টিপস দিতে পারি তা হলো-
- কি অফার করছেন তা লিখুন- হেডলাইন
- এই জিনিসটি রিডার বা পাঠকদের কিভাবে সাহায্য করবে সেটি বলুন- মেসেজ বডি
- ইমেইল এর পর রিডার বা পাঠকদের কি করা উচিত তা জানিয়ে দিন- কল টু অ্যাকশন
এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলেই আপনি একটি ভালো মানের লোভনীয় ইমেইল তৈরি করতে পারবেন।
উপযুক্ত সময়ে ইমেইল পাঠান-
আপনি অনেক ভালো করে হেডলাইন, মেসেজ বডি এবং কল টু অ্যাকশন দিয়ে দিলেন । আর মেসেজ বা ইমেইলটা পাঠালেন একেবারে মাঝরাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।
বলুন দেখি আপনার ইমেইল লোকের চোখে পড়ার চান্স কত টুকু?
এক্কেবারেই কম। আবার কারোর চোখে নাও পড়তে পারে। আর তার মানে দাড়াচ্ছে আপনার পুরো কাজটাই বৃথা। কেমন লাগবে এমনটি হলে? নিশ্চয় খারাপ, তাই না?
আর এ জন্যই আপনাকে অবশ্যই সময়ানুযায়ী মেইল পাঠাতে হবে। একটি উপযুক্ত সময়ে মেইল পাঠানোই হতে পারে আপনার সাফল্যের পেছনের রহস্য। আর এভাবেই আপনি একটি ভালো অ্যামাউন্ট এর কাস্টমার আপনাকে ক্লায়েন্টকে উপহার দিতে পারেন। যার ফলে আপনার কাজ পাওয়া পরিমাণও বেড়ে যাবে।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বা উপযুক্ত সময় হিসাবে আপনি অফিস টাইমকেই বেছে নিতে পারেন বা সন্ধ্যার পরের সময়টুকু অর্থাৎ মানুষ যখন ইন্টারনেট এর সাথে সবচেয়ে বেশি যুক্ত থাকে। আর তাহলেই কাস্টমার বেশি পাবেন এবং রিসপন্সও।
[wp_show_posts id=”3308″]
Email Marketing করে লাভ কি কি পাবেন?
ইমেইল মার্কেটিং যে করবেন তার কারণটা কি একটু ভেবে দেখুন তো? কারণ না থাকলে একটা জিনিস কেন করবেন তাই না?
এ পর্যায়ে আমরা ইমেইল মার্কেটিং এর লাভগুলো সমন্ধে একটু জেনে নিব-
- Email Marketing এর মাধ্যমে ব্লগ ও ওয়েবসাইটে বেশি বেশি ভিজিটর পাওয়া সম্ভব।
- Email Marketing এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল বা বিক্রয় বাড়ানো সম্ভব।
- কিছু ছবি ও ভিডিও এর মাধ্যমেই শত শত মানুষ এর কাছে নিজের ব্যবসাকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব শুধু এই ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
- ব্যবসায় নতুন নতুন কাস্টমার যোগ করা সম্ভব।
ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?
এত কিছু বলার পর আপনার মাথায় একটা জিনিস আসতে পারে আর তা হলো কিভাবে আপনি ইমেইল মার্কেটিং বা ইমেইল মার্কেটার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন, তাই না? সেক্ষেত্রে আমরা এখন যে বিষয়গুলো আপনার সামনে তুলে ধরব তা মেনে চললেই আপনি সাফল্য পাবেন আশা করা যায়। বিষয়গুলো হলো-
টেক স্কিল –
আপনাকে অবশ্যই টেকনোলজি সমন্ধে হালকা ধারণা রাখতেই হবে যদি আপনি একজন ইমেইল মার্কেটার হতেই চান। তবে আপনার প্রোগ্রামিং কিংবা কোডিং সমন্ধে জানতে হবে না। যা জানতে হবে তা হলো –
অটোমেশন সমন্ধে ধারণা বা অটোমেটিক ইমেইল সেন্ড করার বিষয়টি আয়ত্তে আনা- আপনি অবশ্যই জানেন একটি কোম্পানির ক্লায়েন্ট অনেক আর তাই ইমেইল আইডি এর সংখ্যাও অনেক।
এখন আপনি যদি এক এক করে ইমেইল পাঠাতে যান তা হলে আপনার তো বছর খানেক লেগেই যেতে পারে, তাই না? কিন্তু ক্লায়েন্ট কি এত সময় আপনাকে দিবে? আর একেকটা কাজের ফাকেও তো আপনি এতটা সময় পাবেন না তাই না?
Read More:
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন ? এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। A2Z গাইড
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কের্টিং করে আয়
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন? [বিস্তারিত দেখুন]
আর সেজন্যই আপনাকে অটোমেশন সমন্ধে ধারণা রাখতে হবে। অটোমেশন এর মাধ্যমে আপনি মূহুর্তেই আপনার সকল ক্লায়েন্ট এর কাছে মেইল পৌঁছে দিতে পারবেন। এতে করে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচবে । তাই আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং এর শুরুর ধাপে অবশ্যই টেকনোলজি সমন্ধিত এই জ্ঞানগুলো রাখতে হবে।
কমিউনিকেশন স্কিল-
যে জিনিসটা বোলওঁতে চাচ্ছি তা হলো আপনাকে অবশ্যই ভালো যোগাযোগ করার ক্ষমতা রাখতে হবে। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনি একজনকে ইমেইল এর মাধ্যমে একটা মেসেজ পাঠাতে চলেছেন।
আর আপনার লক্ষ্য হলো তাকে আপনার সার্ভিস এর প্রতি আকৃষ্ট করা। আপনার লক্ষ্য একটাই যাতে সে আপনার ক্লায়েন্ট বা আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনে।
আর তাই আপনাকে এমন সব ভাষা ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনার পাঠক তা পড়েই আপনার প্রোডাক্টটি কিনতে চায়। সেজন্য আপনার মেসেজকে অবশ্যই লোভনীয় হতে হবে।
সঠিক কন্টেন্ট নির্বাচন-
এখন বর্তমানে অনেক কোম্পানি থেকেই ইমেইল দেখা যায় যে গুলো শুধুমাত্র ছবি দিয়ে ভর্তি করে রাখে। অর্থাৎ শুধু ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট দিয়েই তাদের ভর্তি। আপনি হয়তো মনে করতে পারেন এতে খারাপ কি, তাই না?
আসলে এখানে মূল বিষয়টা হলো বেশির ভাগ সময়ই এই অত্যধিক ছবির কারণে মানুষ এটাকে স্প্যাম ইমেইল হিসাবে অ্যাখ্যায়িৎ করে। আর তাদের যে তথ্য প্রয়োজন তাও তারা এতে পায় না। এতে করে ক্লায়েন্ট বা আপনি দুজনেই কাস্টমার হারানোর সম্ভাবনায় থাকবেন। আর ইমেইল এর রিসপন্সও অনেক কম আসবে।
আর তাই আপনাকে ঠিক করে নিতে আপনি আপনার মেইলে কি কি দিতে চাচ্ছেন । অর্থাৎ কাস্টমার কি চাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই আপনাকে এই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। আর সব সময় কম ছবি দেয়ার চেষ্টা করাই ভালো। এর চেয়ে বরং ভালো কিছু লিখে কাস্টমার বা অডিয়েন্স এর মন জয় করার চেষ্টা করুন। তাতে আপনি আশানুরূপ ফল পেতে পারেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর আপনি একটু দক্ষতা অর্জন করলেই নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে ইমেইল মার্কেটিংকে বেছে নিতে পারেন। আর খুব সহজেই সাফল্যের শীর্ষস্থানে যেতে পারেন।
ফ্রি ও পেইড ইমেইল মার্কেটিং সমন্ধে বিস্তারিত ধারণা-
আপনি যখন ইমেইল মার্কেটিং সমন্ধে একটি পূর্ণ ধারণা অর্থাৎ আপনি যখন একজন ইমেইল মার্কেটার হয়ে যাবেন তখন আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে। আর যখন একটি কাজ পেয়ে যাবেন তখন আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ ইমেইল নিয়ে রিসার্চ করতে হবে, পাশাপাশি টেমপ্লেট বানানো ইত্যাদি। যাই হোক আমাদের পরবর্তী অংশে আমরা ফ্রি ও পেইড ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে কথা বলব। তো চলুন-
ফ্রি ইমেইল মার্কেটিং –
Email Marketing এর মূল বিষয়টা তা হলো মেইলিং লিস্ট বা ইমেইল লিস্ট। অর্থাৎ আপনি যাদের ইমেইল পাঠাতে চাচ্ছেন বা পাঠাবেন তাদের ইমেইল এর একটি তালিকা। একটি তালিকা না থাকলে আপনি কিন্তু কখনোই কাউকে ইমেইল পাঠাতে পারবেন না। আর তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা এখানে হলো ইমেইল কালেক্ট করা।
ফ্রি তেই আপনি ইমেইল কালেক্ট করতে পারেন আর তার জন্য আপনি আপনার ব্ল কিংবা ইউটিউব চ্যানেলকে কাজে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগে আপনি একটি ইমেইল সাবমিট অপশন দিয়ে রাখতে পারেন। আর পাঠকদের সচেতন করে দিন যে তারা যদি নতুন পোস্টের নোটিফিকেশন সবার আগে পেতে চায় তাহলে যেন তাদের ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে।
এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট এ কারা আসছে কিংবা যাচ্ছে তার একটি তালিকা নিজের কাছে রাখতে পারবেন। আর এতে করে ইমেইল মার্কেটিং এর জন্যও আপনার ভালো হবে। আর যখন তা অন্য কারোর জন্য করছেন তখন তার ওয়েবসাইট ঘেটে তথ্য নিতে পারেন।
পেইড ইমেইল মার্কেটিং –
বুঝতেই পারছেন পেইড ইমেইল মার্কেটিং কেমন হবে! হ্যাঁ, এক্ষেত্রে আপনার কিছুটা টাকা পকেট থেকে খসাতে হবে। পেইড ইমেইল মার্কেটিং মূলত আপনাকে অনেক ইমেইল কেনার সুযোগ দিবে। যার ফলে আপনি ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট বাদেও অনেকের ইমেইল পেয়ে যেতে পারেন ।
আর এসব ইমেইল এ আপনি নিজের ব্যবসা কিংবা ক্লায়েন্ট এর ব্যবসাকে প্রচার করতে পারেন।
বিভিন্ন Email Marketing টুলস-
উপরে একটা জায়গায় আমি আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং এর টুলস বা অটোমেশন এর কথা বলেছিলাম। এ পর্যায়ে আমরা ইমেইল মার্কেটিং এর টুলসগুলো সমন্ধে একটু জানব। আসলে এই মার্কেটিং টুলসগুলো আপনি গুগল এ সার্চ দিলেও পেয়ে যাবেন তবে আমার কাছে ভালো লাগা কিছু টুলস আপনার সামনে তুলে ধরব এ পর্যায়ে। যা বিশ্বব্যাপী সবার দ্বারাই সমাদৃত, এগুলো হলো-
- ফিড বার্নার
- মেইল চিম্প
- সেন্ড প্রেস
- ড্রিপ
- মেইলার লাইট
পরিশেষে-
Email Marketing সস্তার মধ্যেই এক দূর্দান্ট পরিষেবা। শুধুমাত্র কয়েকটা টাকা খরচ করেই আপনি আপনার ব্যবসাকে লাখো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। যার ফলে আপনার সেল এবং কাস্টমার দুটোই বাড়বে। ফলে ব্যবসার পরিসরও বাড়বে। শুধুমাত্র কিছুটা রিসার্চ এর মাধ্যমেই কিন্তু এই কাজ করা সম্ভব । আর অন্যান্য মার্কেটিং এর চেয়ে ইমেইল মার্কেটিং তুলনামূলক সহজ ও সস্তা যার ফলে আপনার বেশি টাকা খরচ হবে না।
এই ছিল আজকের আর্টিকেলে আগামীতে কি সম্পর্কে জানতে চান তা সমন্ধে কমেন্টে জানান। আর পোস্ট সমন্ধে কোনো প্রশ্ন থাকলে তাও আমাদের জানান। ধন্যবাদ।
MD Mohidul