জন্ম নিবন্ধনে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করার নিয়ম

আপনি যদি জন্মনিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করতে চান, সেক্ষেত্রে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।

বর্তমান সময়ে যে, ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করার প্রয়োজন। তারা এই সময়ে তথ্য অনুযায়ী আবেদন করলে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে, জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য সংশোধনের যাবতীয় কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে করা হয় জন্য। আপনি খুব সহজে এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

তো আপনার জন্ম নিবন্ধনে যদি স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত কোনো প্রকার ভুল থাকে। তার পাশাপাশি অন্যান্য তথ্য ভুল থাকে। তবে, আপনারা একাধিক তথ্য ভুলের সংশোধন আবেদন করতে পারবেন।

• মৃত্যু নিবন্ধন ফি কত টাকা

এজন্য, আপনারা সর্বোচ্চ চারবার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

জন্ম নিবন্ধনে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন (অনলাইন)

তো এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করতে, কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

তো আপনাদের হাতে থাকা যে, কোন ডিভাইস ব্যবহার করে, ক্রম ব্রাউজার থেকে- bdris.gov.bd/br/correction লিখে সার্চ করে, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

আপনারা উপরোক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে, জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর এবং জন্মতারিখ সঠিকভাবে প্রদান করে অনুসন্ধান করতে পারবেন।

আপনারা জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে অনুসন্ধান করার পর যদি অনলাইনে থাকা তথ্য আপনার তথ্যের সাথে মিলে যায় তাহলে নিশ্চিত করুন অপশনে ক্লিক করে কনফার্ম করে দিবেন।

• জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা ২০২৩ (এখানে দেখুন)

এরকম ভাবে আপনারা পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধনে থাকা কোন কোন বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে চান? সে বিষয় গুলো সিলেক্ট করে নিতে হবে।

এজন্য আমরা সবার আগে বলে নিতে চাই যে জন্ম নিবন্ধন সনাদের স্থায়ী ঠিকানা বর্তমানে সংশোধন করার কোন অনলাইন সিস্টেম চালু হয়নি।

কিন্তু এর আগে জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করার নিয়ম চালু থাকলেও পরবর্তীতে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এবং সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, আপনারা এখন ঠিকানা পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন না।

সর্বশেষ জন্ম নিবন্ধনের নীতিমালা অনুযায়ী আমরা জানতে পারি। একজন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনে উল্লেখিত ঠিকানা তার আসল ঠিকানা বা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে যদি কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন এর ঠিকানা অমিল থাকে। তবে আপনারা স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে যোগাযোগ করবেন।

• জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই (অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করুন)

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আরও একটি তথ্য দিতে চাই আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনুসন্ধান করবেন এবং তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য মোবাইল এর ব্রাউজারের জন্ম নিবন্ধন লিখে সার্চ করবেন।

জন্ম নিবন্ধনে স্থায়ী ঠিকানা অনলাইনে সংশোধন না করতে পারলে পরামর্শ

আপনারা জার্মান নিবন্ধনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর। সেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে অনুসন্ধান করলে আপনার তথ্য চলে আসবে।

এখানে যদি কোন তথ্য ভুল থাকে বা আপনার জন্ম নিবন্ধন যদি হাতে লেখা হয়। সে ক্ষেত্রে আপনারা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

• জন্ম নিবন্ধন অনলাইন সনদ ডাউনলোড

সে সময় আপনার নিকটস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়ে মানে- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এর কার্যালয়ে যোগাযোগ করে, জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

কিন্তু জন্ম নিবন্ধন এর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করে দিবে বলে কেউ যদি আপনার কাছ থেকে টাকা দাবি করে, তাহলে তাদেরকে টাকা প্রদান করা থেকে বিরত থাকবেন।

এছাড়া বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে যাবতীয় কর্মকান্ড সম্পাদিত হয়। তাই নির্ধারিত পরিমাণ টাকার বাইরে অন্য ব্যক্তিকে টাকা প্রদান করে, জন্ম নিবন্ধন করে নেবেন না।

নিজে নিজেই জন্ম নিবন্ধন সনদ করবেন। তাহলে সরকারি ফি জমা দিয়েই জন্ম নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন সনদে স্থায়ী ঠিকানা বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে। সেটি কোন ধরনের সমস্যা না সৃষ্টি করে তাহলে এরকম ভাবে থাকুক।

অন্যান্য কোন তথ্যের সংশোধন করতে চাইলে, আপনারা সেটি সহজে করতে পারবেন উপরোক্ত নিয়মে।

• ছোট বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ?

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করার নিয়ম অনলাইনের মাধ্যমে জানতে চান? তারা কিন্তু কোনভাবেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ এর তাই ঠিকানা সংশোধন করতে পারবেন না।

কারণ নিবন্ধকের কার্যালয় এখনও পর্যন্ত অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করার অপশন চালু করেনি।

কিন্তু আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে সার্চ করার পর যদি খোঁজে না পাওয়া যায় বা তথ্যগত কোন ভুল থাকে।

এছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি হাতে লেখা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনারা স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে, নতুন করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে নিতে পারবেন।

তখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয় স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা আরো অন্যান্য তথ্য নতুন করে সংযোজন করে দিতে পারবেন।

তো বন্ধুরা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।

আর বিশেষ করে, আমাদের এই ওয়েবসাইটের লেখা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।