নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে (এখানে দেখুন)

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে : বর্তমান সময়ে জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ড করতে গেলে, বেশ কয়েকটি কাগজপত্র দরকার হয়।

একে একে সবগুলো কাগজপত্র এর বিষয়ে আমরা এখানে উল্লেখ করব। তবে কিছু কিছু এলাকা যেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাস সেখানে। নতুন ভোটার হতে বা এন আইডি কার্ড করতে গেলে কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে (এখানে দেখুন)
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে (এখানে দেখুন)

এবং সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

আমরা এখানে সেই সকল কাগজপত্র এর বিষয়ে জানাবো যেগুলো একজন প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।

আমাদের এই আর্টিকেল পড়ার ফলে, আশা করা যায় আপনারা এন আই ডি কার্ড করতে কি কি লাগে ? বা নতুন ভোটার হতে কি কি লাগবে ? সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

তো আপনি যদি নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে সে বিষয়ে জানতে চান? তবে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে ?

বর্তমান সময়ে লোকেরা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকে যেমন বয়স্ক ব্যাক্তিদের এন আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে যাদের জন্ম ২০০৭ সালে বা তার আগে তাদের ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড করতে কি কি লাগে।

এই প্রশ্নের উত্তর এটাই যে সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একই ধরনের কাগজপত্র প্রযোজ্য। শুধুমাত্র ব্যক্তি বিবাহিত হলে, পেশাগত কারণে, প্রতিবন্ধী হলে আরও ইত্যাদিতে কিছু কাগজপত্র বেশি লাগতে পারে।

এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ

নতুন ভোটার হতে চাইলে আবেদনকারীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনের সাথে বাধ্যতামূলক সংযুক্ত করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে যাচাই করতে হবে এবং হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ যুক্ত করা যাবে না। যদি হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন হয়ে থাকে।

সে ক্ষেত্রে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে। তারপর ভোটার আইডি কার্ডের আবেদনের সাথে সংযুক্ত করবেন।

শিক্ষাগত সনদপত্র

নতুন ভোটার আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তার- পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি সার্টিফিকেট কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

এক্ষেত্রে যাদের কোন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট নেই তার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

কিন্তু শিক্ষা সনদ থাকা সত্তেও শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন করে। যদি নতুন ভোটার হন। তাহলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র কপি

নতুন ভোটার আবেদনকারীর সাথে অবশ্যই পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

এক্ষেত্রে যাদের পিতা ও মাতা মৃত্যুবরণ করেছে তার পিতা ও মাত’র মৃত্যুর সনদ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

কাবিননামা/ বৈবাহিক সনদ

নতুন ভোটার আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আবেদনের সাথে কাবিননামা/ বৈবাহিক সনদ জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে অবিবাহিত হলে, কাবিননামা/ বৈবাহিক সনদ প্রযোজ্য না।

স্বামী- স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র কপি

যারা বিবাহিত অবস্থায় নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন তারা অবশ্যই স্বামী- স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র কপি  ভোটার আবেদনের সাথে যুক্ত করবেন।

রক্তের গ্রুপ রিপোর্ট

নতুন ভোটার আবেদনকারীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে, তার রিপোর্ট এর কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

প্রত্যয়ন পত্র

ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর মেয়র, ওয়ার্ড মেম্বার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

নাগরিক সনদপত্র

নতুন ভোটার আবেদনকারীর নাগরিকত্বের সনদ আবেদনের সাথে বাধ্যতামূলক ভাবে সংযুক্ত করতে হবে।

ইউটিলিটি বিলের কপি

নতুন ভোটার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল ইত্যাদি আবেদন এর সংযুক্ত করতে হবে। (বাধ্যতামূলক)। এক্ষেত্রে বাড়ির যেকোনো একজন সদস্য নামে হলেই চলবে।

ট্যাক্স রশিদ

নতুন ভোটার আবেদন কারী আবেদনের সঙ্গে চৌকিদারী ট্যাক্স রশিদ, পৌর কর এর রশিদ, বাড়ি ভাড়ার রশিদ বাধ্যতামূলক বাড়ির যেকোনো একজন সদস্যের নামে হতে হবে।

অঙ্গীকারনামা

নতুন ভোটার আবেদনকারীর আবেদনের সঙ্গে পড়বে ভোটার হয়নি মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংযুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের বয়স অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি বাধ্যতামূলক।

পাসপোর্ট

নতুন ভোটার আবেদনকারী ব্যক্তির যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে। তবে অবশ্যই আবেদনের সাথে পাসপোর্ট এর কপি সংযুক্ত করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স

নতুন ভোটার আবেদনকারের যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে। তবে তার একটি কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

প্রতিবন্ধী সনদ

নতুন ভোটার আবেদনকারী যদি একজন শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হয়। তবে তার আবেদনের সাথে প্রতিবন্ধী সনদ সংযুক্ত করতে হবে।

সার্ভিস আইডি কার্ড

নতুন ভোটার আবেদনকারী চাকরিজীবী হয়ে থাকলে। তার সার্ভিস আইডি কার্ডের ফটোকপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

তো বন্ধুরা আপনার যারা নতুন ভোটার হতে চান। এবং ভোটার হতে কি কি লাগে সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী ছিলেন।

তারা উপরোক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে আজই সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া আপনারা নিজের ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটারের আবেদন করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আর কিভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করবেন। সে বিষয়ে আমাদের এই ওয়েবসাইটে একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল প্রকাশ করা আছে।

আপনারা সেটি অনুসরণ করে, অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারেন।

তো আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর বিশেষ করে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে এ বিষয়ে আপনার বন্ধুদের জানাতে নিচে দেওয়া যে, কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে, শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment