আমরা এক দেশ থেকে অন্য কোন দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই ভিসা করার দরকার হয়। কিন্তু কিভাবে ভিসা করতে হয়? এবং ভিসা করতে কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়ে অনেকেই জানেন না।
তাই আজকের এই পোস্টে, যেভাবে ভিসা করতে হয় এবং ভিসা করতে যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে। তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তো আপনি যদি ভিসা কিভাবে করতে হয়, সেই বিসয়ে না জানেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য। বিস্তারিত তথ্য পেতে আমাদের লেখা গুলো মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
যেভাবে ভিসা করতে হয়
আপনারা যারা জানতে চান? ভিসা কিভাবে করতে হয়। তাহলে তারা এই পোস্টে থেকে ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
আমরা জানি ভিসা হলো একটি অনুমতি পত্র। যা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়্
ভিসা ছাড়া আপনারা কখনেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পাবেন না। তো যারা নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে চাই। সাধারণত তাদের ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে জানানোর জন্য হাজির হয়েছি।
আপনারা এক দেশে হতে অন্য দেশে যেতে চাইলে। আপনার কাছে পাসপোর্ট এর সঙ্গে অবশ্যই ভিসা দরকার হবে।
বর্তমানে বিভিন্ন মেয়াদের ভিসা পাওয়া যায়। আপনি কোন কাজের জন্য নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে যাবেন। তার উপর ভিত্তি করে আপনার ভিসার মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে।
কোন মানুষ চাইলে, অযথাই ভিসা করতে পারবে না। ভিসা আবদেন করার জন্যে যোগ্যতা লাগবে। সেই সঙ্গে কিছু শর্তাদি আছে। যা পূরণ করার পরে একজন মানুষ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
তাই আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কোন কাজের জন্য অন্যদেশে যেতে পারবেন। সেটি নির্ধারণ করে নিতে হবে।
কারণ অনেক ভিসা ক্যাটাগরি আছে। আমরা বিভিন্ন ক্যাটাগিরর ভিসার সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
সেগুলো হল-
- স্টুডেন্ট ভিসা।
- কাজের ভিসা।
- ভ্রমণ ভিসা।
- মেডিকেল ভিসা।
- বিজনেস ভিসা।
- গৃহ কর্মী ভিসা।
- ভিজিট ভিসা।
- ট্রান্সিট ভিসা ইত্যাদি।
আপনাদের যোগ্যতা থাকলে, উক্ত ভিসা গুলোতে আবেদন করতে পারবেন। ভিসা আবেদন করার জন্য আপনারা বাংলাদেশের সরকারি ভিসা সাইটে প্রবেশ করে, সেখান থেকে আবেদন করতে পারবেন।
তো আপনি যদি ভিসা করতে আগ্রহী থাকেন। তবে গুগলে সার্চ করবেন “Bangladesh visa” লিখে।
তারপরে www.visa.gov.bd নামের একটি সাইট পেয়ে যাবেন। উক্ত সাইটে প্রবেশ করে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তো আমরা আশা করি যে, উক্ত আলোচনা অনুসরণ করে বুঝতে পারলেন যে, কিভাবে ভিসা করা যায়।
ভিসা করতে কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগে?
যেভাবে ভিসা করতে হয়। তার বিষয়ে আমরা উক্ত আলোচনায় বলেছি। এখন এই বিষয়টি জানার পরে, আপনাদের অবশ্যই জানতে হবে। ভিসা করতে কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগে?
আপনারা যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে পাসপোর্ট এর পাশাপাশি ভিসার গুরুত্ব অনেক বেশি।
আপনারা কোন দেশে যাওয়ার আগে, যে কাজে যাবেন। সেই বিষয়ে আপনার যদি যোগ্যতা থাকে। তাহলে সেই যোগ্যতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
তো আসুন জেনে নেওয়া যাক, ভিসা করতে যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে?
সেগুলো হলো-
- যে ব্যক্তি ভিসা সংগ্রহ করতে চাই, তার কাছে অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং তার মেয়াদ থাকতে হবে 6 মাস এর বেশি।
- ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট এ ন্যূনতম 3 টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- ভিসা আবেদন পত্রে পাসপোর্ট নম্বর সঠিক ভাবে লিখতে হবে। সেই সঙ্গে ভিসা আবেদন পত্রের নাম সঠিক ভাবে লিখতে হবে।
- ভিসা আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানার বিদ্যুৎ বিল এর সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
- ভিসা আবেদন পত্রটি সঠিক ভাবে পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যে আবেদন পত্র ভিসা সেন্টারে জমা দিতে হবে।
- যে ব্যক্তি ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তাকে অবশ্যিই স্ক্যান করা ছবি জমা দিতে হবে।
- ভিসার আবেদন জমাদান কারী সেন্টার এবং টাকা জমা দানকারী সেন্টার এর নাম অবশ্যই একই হতে হবে।
- ভিসা আবেদন কারীর যদি আগের কোন পাসপোর্ট থাকে। তাহলে তার মূল পাসপোর্টের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আর যদি কোন ভাবে সেটি হারিয়ে যায়। তাহলে থানার ডিজি কপি যুক্ত করতে হবে।
- ভিসা আবেদন কারী ব্যক্তি কোন ধরণের কাজে লিপ্ত সেটি সঠিক ভাবে তথ্য দিতে হবে।
- ভিসা আবেদনকারীর জন্ম তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
- ভিসা জন্য সাধারণত আবেদনপত্রের সঙ্গে উক্ত কাগজপত্র গুলো সংযুক্ত করতে হবে।
উপরে উল্লিখিত যে সকল ডকুমেন্ট এর বিষয়ে জানলেন। এগুলো যদি আপনার কাছে থাকে। তাহলে সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভিসা হাতে পেতে কতদিন লাগে?
ভিসা হাতে পেতে কতদিন লাগে যদি জানতে চান? তাহলে বলব- ভিসা হাতে পেতে কি পরিমাণের সময় লাগবে।
একটি পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেছেন। এবং কোন ক্যাটাগরির ভিসা আবেদন করেছেন তার উপর।
তার মানে, আপনি যদি ভ্রমণ এর উদ্দেশে কোন দেশে যেতে চান? তাহলে ভিসার আবেদন করার পরে, ১ মাস এর মধ্যে ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।
আবার কোন কোন দেশে ভ্রমন ভিসার আবেদন করলে, ৭ দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যেও ভিসা হাতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, যেভাবে ভিসা করতে হয় এবং ভিসা করতে যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।
এখন এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
এছাড়া, বিভিন্ন দেশের ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার দাম কত ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবাসইট টি নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।