ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম : বর্তমান সময়ে, আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ছুটির দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়ে।

বিশেষ করে, স্কুল কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে, চাকরিজীবী সকলের কিন্তু বিভিন্ন প্রয়োজনে ছুটির দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে। যারা এখনো পর্যন্ত ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানেনা। এবং নিয়ম জানলেও কোন বিষয়ে কোন ধরনের দরখাস্ত লিখতে হয় সে বিষয়ে জানেনা।

ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম
ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তাই আপনারা যারা প্রশ্ন করে থাকেন। ছুটির দরখাস্ত লেখা নিয়ম কি? তাদেরকে আজকে আমি ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

এবং দরখাস্ত লেখার কিছু নমুনা দেখাব। যেগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে পারবেন।

তো চলুন, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম জেনে নেয়া যায়।

ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম (১)

তারিখঃ ২০/০৪/২০২৩ ইং

বরাবর

অধ্যক্ষ

এখানে কলেজের নাম

এবং ঠিকানা লিখবেন।

বিষয়ঃ অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন

জনাব,

যথাবিহিতা সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী। আগামী ২৩/০৪/২০২৩ ইং তারিখে আমার বড় বোন এর বিবাহ। এমতাবস্থায় আমাকে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকতে হবে। তাই আমি কলেজে উপস্থিত হতে পারবো না।

অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমাকে আগামী এক সপ্তাহ ২৩/০৪/২০২৩ ইং হতে ২৯/০৪/২০২৩ ইং পর্যন্ত ছুটি প্রদানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র/ছাত্রী

এখানে আবেদনকারীর নাম

শ্রেণী…….

বিভাগ…..

রোল নং….

বন্ধুরা উপরে অগ্রিম ছুটির জন্য যে আবেদনটি দেখতে পারলেন। সেটি অবশ্যই আপনারা একটি পাতার মধ্যে লেখার চেষ্টা করবেন। আপনারা চাইলে হাতেও লিখতে পারেন। আবার চাইলে কম্পিউটারও লিখতে পারেন।

চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত (চাকরির রিজাইন লেটার বাংলা)

কারণ বর্তমান সময়ে কম্পিউটারাইজ করাই ভালো। আর আপনি যদি একান্ত হাতে লিখতে চান? তাহলে হাতের লেখা সুন্দর করার চেষ্টা করবেন। এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় লেখার চেষ্টা করবেন না।

কারণ ছুটির দরখাস্ত এক পৃষ্ঠায় লিখতে হয়। আপনি যে বিষয় নিয়ে ছুটির দরখাস্ত লিখেছেনভ সে বিষয়ে যদি আপনার কলেজ থেকে বোনের বিয়ের প্রামাণতা চাই।

তবে প্রমাণস্বরূপ বিবাহের কার্ড ফটোকপি ছুটির দরখাস্তের সাথে পিনাপ করে লাগিয়ে দিতে পারেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম (২)

তারিখঃ ২০/০৪/২০২৩ ইং

বরাবর

প্রধান শিক্ষক

আপনার উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম

এবং ঠিকানা লিখবেন।

বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র/ ছাত্রী। আমি গত ১৫/০৪/২০২৩ ইং হতে ১৯/০৪/২০২৩ ইং পর্যন্ত অসুস্থ থাকা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। সে লক্ষ্যে আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে কোন ক্লাস করতে পারিনি।

অতএব, মদের সমেপে আবুল আবেদন যে, উপরোক্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমাকে ৫ দিনের ছুটিদানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক

আবেদনকারীর নাম

শ্রেণী- ১০ম

বিভাগ- মানবিক

রোল নং- ০৫

ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম (৩)

তারিখঃ ২০/০৪/২০২৩ ইং

বরাবর

আপনার অফিস বসের পদবী

অফিসের নাম এবং

ঠিকানা লিখবেন।

বিষয়ঃ নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন। 

মহোদয়,

যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী, (আপনার পদবী লিখবেন), অফিসের ঠিকানা লিখবেন। আমার পারিবারিক সমস্যার জন্য ২১/০৪/২০২৩ তারিখে ঢাকায় যাওয়া প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আজ অফিস ছুটির পর কর্মস্থল ত্যাগের জন্য আপনার নিকট একখানা আবেদন করিলাম।

অতএব, মহাদয় সমীপে আবুল আবেদন যে, আমার পারিবারিক সমস্যার জন্য ২১/০৪/২০২৩ ইং তারিখে ঢাকায় যাওয়া প্রয়োজন। এমতাবস্থায় অফিস ছুটির পর কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদানে আপনার সু-আজ্ঞা দেওয়া হয়।

বিনীত নিবেদক

আপনার বিশ্বস্ত

এখানে আপনার স্বাক্ষর

আপনার নাম

আপনার পদবী

অফিসের ঠিকানা লিখবেন।

[wp_show_posts id=”3308″]

ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম (৪)

তারিখঃ ২০/০৪/২০২৩ ইং

বরাবর

ব্যবস্থাপক

ব্যাংকের নাম এবং শাখার নাম

ব্যাংকের ঠিকানা।

বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন।

মহাত্মন/ জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার অধীনস্থ ব্যাংক শাখার একজন সিনিয়র অফিসার। আমি গত ১৫/০৪/২০২৩ ইং হতে ১৯/০৪/২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত অসুস্থ থাকার ফলে অফিসে অনুপস্থিত ছিলাম।

অতএব, মহোদয় সমাপে আকুল আবেদন যে, উপরোক্ত বিষয়ে বিবেচনা করে আমাকে ছুটি প্রদানে বাধিত করবেনভ

বিনীত নিবেদক

আপনার স্বাক্ষর

আপনার নাম

আপনার পদের নাম

ব্যাংকের নাম

ব্যাংক শাখার নাম।

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তারা উপরোক্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরি ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে পারলেন।

এখন আপনার কোন ধরনের ছুটির দরখাস্ত প্রয়োজন হয় সেটি বেছে নিয়ে, হাতে কলামে লিখতে পারেন। আবার চাইলে কম্পিউটারাইজ করতে পারেন।

তবে বর্তমান সময়ে, আপনি যদি অফিসিয়াল কোন চিঠি বা দরখাস্ত লিখেন। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারাইজ করাই ভালো। আবার আপনি যদি স্কুল কলেজের জন্য ছুটির দরখাস্ত লিখেন। সে ক্ষেত্রে হাতে কলমে দরখাস্ত লেখার চেষ্টা করবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে চান? তারা আমাদের দেওয়া ছুটির দরখাস্ত লেখার নমুনা অনুসরণ করে, খুব সহজে যে কোন ছুটির দরখাস্ত লিখে নিতে পারবেন।

তো ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিষয়ে, আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment