আমাদের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি ডোমেইন কি? ডোমেইন কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তবে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
বর্তমানে আমরা অনলাইনে কোন কিছু সার্চ করার জন্য কিছু বিষয় খুজে থাকি। তার ফলে আপনার সামনে অনেক ওয়েবসাইটের নাম চলে আসে যেমন: expartjobs.com। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে একেই ডোমেইন বলে।
ডোমেইন কি? ডোমেইন কেন ব্যবহার করা হয়, কোথায় ব্যবহার করা হয় এবং এর দাম কত, প্রতি বছর রিনিউ করতে কত টাকা লাগবে সে বিষয়ে আপনি আমাদের এই নিবন্ধের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
উপরিউক্ত সকল তথ্য জানতে আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই পেজের পুরো আর্টিকেল মনযোগ দিয়ে পড়ুতে হবে।
ডোমেইন কি?
এক কথায় ডোমেইন হলো একটি নাম। বিস্তারিত বলতে গেলে মনে করুন আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করবেন। তখন আপনার একটি ডোমেইন প্রয়োজন হবে। কারণ উক্ত নাম আপনার ওয়েবসাইটকে মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলবে।
ভালো ভাবে বুঝার জন্য বলছি আপনি এখন আমাদের এই ওয়েবসাইটে ডোমেইন কি? ডোমেইন কত প্রকার আর্টিকেলটি পড়ছেন।
[wp_show_posts id=”3308″]
এই ওয়েবাসইটের ডোমেইন নাম হচ্ছে https://www.expartjobs.com. আপনারা বিশ্বে যত পরিমাণের ওয়েবসাইট দেখেতে পারবেন সেই প্রতিটি ওয়েবসাইটে একটি করে নাম আছে।
অনলাইনে সার্চ করলে অনেক ধরণের ওয়েবসাইট দেখো যায় যেমন: Facebook.com এছাড়া আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে যেমন: “অনলাইনে ভিডিও দেখে আয়” এটি নিয়ে গুগলে সার্চ করবেন তখন অনেক ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন সেই সকল ওয়েবসাইটের নাম গুলোই হলো ডোমেইন।
ডোমেইন কত প্রকার?
ডোমেইনকে আলাদা ভাবে ভাগ করার কিছু নেই। কিন্তু ব্যবহারের দিক থেকে ডোমেইন ৪ প্রকার। কি কি ভাগ রয়েছে জানতে নিচের অংশ দেখুন।
- SLD Domain
- TLD Domain
- CCTLD Domain
- GTLD Domain
- Name Cheap
উপরিউক্ত বিষয় গুলো হলো ডোমেইন এর প্রকার। আপনি যদি উক্ত এক্সটেনশন গুলো থেকে পছন্দ করে কিনতে চান তবে এখান থেকেই পাবেন।
ডোমেইন এক্সটেনশন কি?
ডোমেইন এক্সটেনশন হলো কোনো একটি “ডোমেইন” নামের শেষে [.] চিহ্ন থাকে তাকে এক্সটেনশন বলে। বর্তমানে আমরা অনেক ধরণের এক্সটেনশন দেখতে পায় সব গুলোই জনপ্রিয়।
আরো পড়ুনঃ
- মাইক্রো জব এর মাধ্যমে আয় | মাইক্রো জব সাইট থেকে ইনকাম
- ওয়েব হোস্টিং কি ? হোস্টিং এর দাম এবং আপনার কেমন হোস্টিং প্রোয়োজন (A 2 Z)
- লাইক কমেন্ট শেয়ার করে আয় | সরাসরি পেমেন্ট পাবেন বিকাশে
সবার প্রিয় এক্সটেনশনের নাম হলো [.com] এই এক্সটেনশন দিয়ে বিশ্বে কোটি কোটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। কারণ এটি মানুষের কাছে অনেক পরিচিত একটি এক্সটেনশন।
বর্তমানে কি কি এক্সটেনশ নিয়ে কাজ করা হয় সে বিষয়ে জানতে নিচের অংশ গুলো দেখুন।
- .com
- .NET
- .org
- .info
- .co
- .xyz
বর্তমানে উপরিউক্ত এক্সটেনশন ছাড়াও আরো অনেক এক্সটেনশন আছে। কিন্ত ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে তারা উক্ত এক্সটেনশন গুলোই জনপ্রিয় হিসেবে মনে করেন।
কিভাবে ডোমেইন কিনবেন?
বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজেই ডোমেইন কিনতে পারবেন। আপনি যদি চান দে বাংলাদেশ থেকে ডোমেইন-নাম ক্রয় করবেন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক কম দামে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পরবেন।
বাংলাদেশ দেশে ডোমেইন কিনার মজায় আলাদা। যেমন: আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ডোমেইন কিনতে চান তবে বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করে নিতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3306″]
আর যদি বাংলাদেশ থেকে না কিনে বিদেশি কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে চান তবে আপনি সেখান থেকেও সহজ উপায়ে নাম পছন্দ করে কিনতে পারবেন।
কিন্তু বাংলাদেশের কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনলে বিকাশের মাধ্যমে কিনতে পারবেন আর যদি বিদেশি কোম্পানি থেকে কিনতে চান তবে আপনার মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশি ডোমেইন কোম্পানি নাম
- www.exonhost.com
- www.dianahost.com
বিদেশি ডোমেইন কোম্পানি নাম
- www.namecheap.com
- www.xeonbd.com
ডোমেইন কিনতে খরচ?
আপনাদের এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, ডোমেইন কিনতে কত খরচ হবে। এটি নির্ভর করে আপনার কোম্পানির উপর, যেমন: একই ডোমেইন একেক কোম্পানিতে একেক দাম।
আপনি যদি বাংলাদেশি ওয়েবসাইট থেকে ডোমেইন কিনতে চান তবে ৫-৬ ডলার খরচ করেই কিনতে পারবেন।
আর যদি বিদেশি কোম্পানি যেমন: Namecheap থেকে কিনতে চান তাহলে আপনার ১০-১২ ডলার খরচ হতে পারে।
সব মিলিয়ে দেখা যায় আপনি যদি ডলারের মাধ্যমে কিনেন তবে ৮০০/- থেকে ১০০০/- টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
আপনি যদি সাড়া জীবনের চিন্তা মুক্তি হয়ে ডোমেইন কিনতে চান তবে Namecheap থেকে ক্রয় করা উত্তম। কারণ এই কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনলে আপনার সাড়া জীবন আর কোন চিন্তা থাকবে না।
আপনারা যে কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে পারেন সমস্যা নেই। তবে আপনার একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি কি?
আপনারা যখন কোন ডোমেইন কিনবেন তখন আপনাকে সেই কোম্পানির নাম মনে থাকতে হবে। কারণ আপনি যখন কোন ডোমেইন কিনবেন তখন আপনাকে এক বছরের জন্য সময় দেওয়া হবে।
[wp_show_posts id=”3310″]
উক্ত এক বছরের মধ্যে আপনার ডোমেইনটি রিনিউ করতে হবে। আপনি যদি এক বছরের মধ্যে ডোমেইন রিনিউ না করেন তবে আপনার ডোমেইনটি এক্সপ্রেয়ার হয়ে যাবে।
যদি এক্সপ্রেয়ার হয়ে যায় তখন কিন্তু সেই ডোমেইনটি আপনার কাছে থাকবে না। সেই উক্ত কোম্পানি অন্যের কাছে বিক্রি করে ফেলবে। তাই ডোমেইন এর এক বছর বয়স শেষ হওয়ার ১ মাস আগে রিনিউ করে নিতে হবে।
শেষ কথাঃ
আমাদের এই ওয়েবসাটে জানতে পারলেন ডোমেইন কি? ডোমেইন কত প্রকার? আমি আশা করি যে, উপরিউক্ত তথ্যের মাধ্যমে শিরোনামের বিষয় অনুযায়ী অনেক কিছু বুঝতে পারছেন।
আপনি যদি ডোমেইন কিনে একটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন তবে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।
আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।