বাউন্স রেট কমানোর উপায় : বর্তমানে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে অনেকেই অনেক ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকি, সেসকল ওয়েবসাইটে আমাদের অনেক ধরনের বাউন্স রেট বেড়ে যায়।
বাউন্স রেট বেড়ে যাওয়ার ফলে তাদের ওয়েবসাইটটি উন্নত করতে পারে না। যারা ব্রণ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের পোস্ট।
আমরা জানাবো বাউন্স রেট কি এবং বাউন্স রেট কমানোর উপায়। আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তবে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাউন্স রেট কি ?
যখন কোন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন টপিকের উপর সার্চ করে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে সেই বিষয়গুলো ওয়েবসাইটে মোট কত সময় সময় থাকে কিংবা কত দ্রুত ওয়েবসাইট থেকে চলে যায়।
একটি বিষয়কে অনুসরণ করলে তাকেই বলা যায় বাউন্স রেট। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইটে যখন কোন বিষয় নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ করে ভিজিটর আসবে যেমন গুগল থেকে আসবে ফেসবুক থেকে আসবে বিভিন্ন সিগনাল থেকে আসবে।
তবে একটা বিষয় বোঝা যায় যে ভিজিটর যে কোন সোর্স এর মাধ্যমে আসুক না কেন সেটা বড় বিষয় না বিষয়টা হচ্ছে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এসে কতটা সময় আপনার আর্টিকেলটি পড়ছে সেটাই হচ্ছে বাউন্স রেট।
অর্থ্যাৎ, যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে। সেই ওয়েবসাইটে তখন বিভিন্ন সোর্স থেকে ভিজিটর আসবে। যেমন, গুগল থেকে আসবে, বিং থেকে আসবে অথবা ফেসবুক থেকেও আসতে পারে।
তবে আপনার সেই ওয়েবসাইটে কোথা থেকে ভিজিটর আসবে। সেটা বড় কথা নয় বরং, সেই ভিজিটর গুলো আপনার ওয়েবসাইটে এসে কতটা সময় ব্যয় (Spend) করছে।
বাউন্স রেট দেখার উপায়
আমরা ওপরের আলোচনায় আপনাকে জানিয়েছি বাউন্স রেট কি? এখন আমরা আপনাকে জানাবো বাউন্স রেট দেখার উপায়। আপনারা সকলেই গুগোল এনালাইসিস এর পরিচয় জানেন এবং চিনেন গুগোল এমন একটি যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।
মনে করুন আপনার ওয়েবসাইট এ মোট কতগুলো ভিজিটর আসে তারা আপনার ওয়েবসাইটের কোন ধরনের আর্টিকেলগুলো পরে যে সকল ভিজিটর আপনার সাইটে আছে তাদের আইপি সহ অনেক কিছু শেখার মাধ্যমে জানা যায়।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর দের সঠিক তথ্য জানতে চান তবে সবার আগে আপনাকে ওয়েবসাইটকে গুগল এনালাইটিক্স এর সাথে যুক্ত করতে হবে যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট লিঙ্ক থেকে গুগোল এনালাইটিক এর সাথে যুক্ত করবেন তখন আপনি আনা লাইট এর হোমপেজ অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
বাউন্স রেট কেমন হলে ভালো
আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট গুগোল এনালাইটিক এ যুক্ত করবেন তারপর সেখান থেকে আপনি যদি চেক করতে চান তখন আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট কত সে বিষয়ে জানতে পারবেন।
আমরা জানি বর্তমান সময়ে যে কোন ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট পরিমাণটা অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য বাজেট কত থাকা ভালো।
আপনাদের একটি ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট কম হওয়া ভালো নাকি বেশি হওয়া ভালো সে বিষয়ে আমরা এখন জানাবো তবে শুনুন আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট এর বাস রেট কম হয় তাতে ভালো কিন্তু বাসলেট যদি শূন্য হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কিন্তু সার্চ করলে খুঁজে পাওয়া যাবে না তাই আপনাকে বাউন্স রেট একটু বাড়িয়ে নিতে হবে।
আপনাকে ওয়েবসাইটের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে আপনার স্বাভাবিক থাকে। মনে করুন আপনার ওয়েবসাইটটি যদি সার্ভিস সাইট হয়ে থাকে তবে এমন সাইট গুলো বাসেত এর পরিমাণ 10% থেকে শুরু করে 30 পারসেন এরমধ্যে থাকতে হবে।
আর যদি আপনার ওয়েবসাইটটি ই কমার্স নিয়ে কাজ করেন তবে সেই ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট 30 থেকে 40 এর মধ্যে থাকতে হবে তাহলে বাউন্স রেট ভালো হবে।
আর আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করার কাজ করেন করেন তবে সেখানে 40% থেকে 60% বাউন্স রেট থাকলে ভালো এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে এর বেশি যাতে বাউন্স রেট পরিমাণ না হয়।
বাউন্স রেট বেশি হলে সমস্যা কি
আপনাদের ওয়েবসাইটে যদি বেশি বাউন্স রেট হয়ে থাকে তবে আপনার ওয়েবসাইটে সমস্যা হবে। আপনার বাউন্স রেট যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় তবে আপনি যদি ওয়েবসাইটে এসইও করেন তবে এতে কোনো কাজ হবে না।
তবে চিন্তা নেই আপনি যদি বাউন্স রেট বেশি হয় সেই সমস্যা সমাধান কিভাবে করবেন তবে শুনুন আপনি কিসের জন্য এসইও করবেন নিশ্চিত আপনার একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য। আমরা জানি বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটে অন্যদিকে প্রতি খেয়াল না করে ওই সাইটের মালিকরা শুধুমাত্র ভিজিটরদের প্রতি আগ্রহ বেশি কারণ প্রতিটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর দিয়েই।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট 100 পারসেন হয়ে যায় তখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর প্রবেশ করার পর এই অল্প সময়ের মধ্যেই চলে যায় এরফলে গুগলের কাছে কিন্তু একটা নেগেটিভ সিগনাল বহন করে গুগল মনে করে যেহেতু ভিজিটর আপনার সাইটে আসার পরে চলে যাচ্ছে এর মানে আপনি ভিজিটরকে তেমন কিছু সুবিধা দিতে পারছেন না।
সে কারণে আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেলগুলো গুগল থেকে রেংক হারিয়ে যায়। তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট 100% এর কম করতে পারেন তবে আপনার ওয়েবসাইট অনেক ভালো থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে পোস্টগুলো আপনার ভিজিটর অনেক সময় নিয়ে পড়বে।
ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়
আপনি উক্ত আলোচনার মাধ্যমে জেনে গেছেন বাউন্স রেট কি এবং বাউন্স রেট কি যেন বেড়ে যায় এবং বাউন্স রেট বেশি হলে কি সমস্যা হয়। এখন আমরা আপনাকে জানাবো আপনার সাইটের বাউন্স রেট বেড়ে গেলে কিভাবে কমানো যায়।
আপনি যদি আপনার সাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায় জানতে চান তবে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বাউন্স রেট কমানোর উপায় জেনে নিন এখানে-
আরো দেখুনঃ
- ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
- কিভাবে গুগল নিউজ ওয়েবসাইট যুক্ত করতে হয় ?
- নিস কি ? ব্লগের জন্য নিস বাছাই করার উপায় [বিস্তারিত এখানে]
Pro Tips For Decrease Bounch Rate
আপনি যদি আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট কমাতে চান তবে প্রথমে আপনাকে খুঁজে নিতে হবে আসলে কি কারনে আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট বেশি হচ্ছে।
যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এই সমস্যাটি খুঁজে নিতে পারবেন তখনই আপনি নিচে দেওয়া তথ্যগুলো ব্যবহার করবেন তো চলুন দেখা যাক কি কি বিষয় অনুসরণ করে আপনি আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট কমাতে পারবেন।
Site Loading Speed :
আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট কমানোর জন্য আপনাকে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাইট লোডিং স্পীড।
সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড যাতে তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে হয়। আপনি যদি এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেন তবে আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ওয়েবসাইটের স্পিড নির্ধারণ করে ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট কমাতে পারবেন।
Content Improvement :
আপনার ওয়েবসাইটে যেসকল আর্টিকেল পাবলিশ করেন সে সকল আর্টিকেল যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন না হয় তবে আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট অনেক বেড়ে যায় তাই আপনাকে বাউন্স রেট কমানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেলগুলো মানসম্মত করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট কমে যাবে।
Make Easy Interface :
আপনি যে ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করছেন সেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন কেমন সেই বিষয়ে আপনাকে অনেক গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ওয়েবসাইটের ডিজাইন আপনার পছন্দ নয় বরং ভিজিটরদের কাছে যে সিস্টেমটি পছন্দ হবে সে দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন ভিজিটরদের চাহিদা অনুযায়ী যদি করতে পারেন তবে আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট কমে যাবে।
আপনি যদি উক্ত দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন তবে আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট সহজেই কমিউনিটি পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারলেন বাউন্স রেট কি এবং বাউন্স রেট কমানোর উপায়। আমাদের আর্টিকেলটা যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে আমরা আশা করতে পারি আপনিও বাউন্স রেট এর বিষয়ে সঠিক ভাবে জানতে পেরেছেন।
আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার যদি উপকার হয় তবে আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন বিষয়ক সকল ধরনের সমাধান জানতে নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।