ফেসবুকে লাইক বাড়ানোর উপায় : সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুকে আছে প্রায় কোটি কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী। আর বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবসা স্থাপন করা জনপ্রিয়তা ও মানুষের কাছে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষ করে বললে বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক মানুষের নেশায় পরিণত হচ্ছে।
আপনি কি একজন উদ্যোক্তা বা আপনার পণ্য ও পরিষেবা বাজারজাত করতে চাচ্ছেন। ফেসবুক এ নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর রাস্তা খুঁজছেন।
তাহলে সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ফেসবুক নিযুক্ত ফ্যান পেজ তৈরি করা কিন্তু অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হতে পারে। আর এই কাজটা কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব হবে না।
তার জন্য সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে বা নিজের ব্যবসা কে পরিচিত করে তুলতে। ফেসবুকে লাইক বাড়ানো কিন্তু একটি ভালো উপায় হিসেবে প্রমাণিত হবে।
তাই আজ আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেবো। কিভাবে ফেসবুকে লাইক বাড়ানো যায়, ফেসবুক লাইক বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কিভাবে ফেসবুকে বেশি লাইক পাওয়া যাবে ?
ফেসবুকে লাইক পাওয়ার দুইটি মাধ্যম রয়েছে প্রথমত আপনার প্রোফাইলের রিচ কিংবা বিস্তৃতি বাড়ানো। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে, আপনার প্রোফাইল বা কনটেন্ট এর ব্যস্ততা বাড়ানো।
ফেসবুকে লাইক বৃদ্ধিতে এই দুইটি মাধ্যম কার্যকর ভাবে কাজ করে থাকে। যেখানে প্রোফাইলের বাড়ানোর আপনার আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা কাজকে বুঝানো হয়।
আপনার প্রোফাইলের গৃহীত যত বেশি থাকবে। তত বেশি সংখ্যক মানুষ এর কাছে আপনি পৌঁছাতে পারবেন। বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলে তবে আপনি লাইক বেশি পাবেন।
এছাড়া প্রোফাইল এর এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানোর মানে হচ্ছে যারা আপনার কনটেন্ট দেখছেন। তাদের কাছ থেকে বেশি বেশি লাইক পাওয়ার ব্যবস্থা করা।
আপনার যখন এমন সকল বিষয় বস্তু তৈরি করবেন যা আপনার অডিয়েন্স রা দেখতে পছন্দ করবে। তখন সে ক্ষেত্রে আপনার লাইক পাওয়ার সক্ষমতা আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
- ফেসবুক ভিআইপি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার উপায়
- ফেসবুক প্রোফাইল লক করার নিয়ম [বিস্তারিত এখানে]
- কিভাবে ফেসবুক ফ্যান পেজ খুলবেন [ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম]
উপরোক্ত কথাগুলো শুনতে সহজ লাগলেও এখানে আপনাকে ফেসবুক লাইক বাড়ানোর আরো উপর্যুক্ত রাস্তা বলে দেবে। কাজে লাগিয়ে আপনি সহজেই আপনার ফেসবুক লাইক বাড়াতে পারবেন।
ফেসবুকে লাইক বাড়ানোর উপায়
তো আপনি যদি ফেইসবুক থেকে লাইক বাড়ানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক একটা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
আজ আমরা আপনাকে ফেসবুকে লাইক বাড়ানোর এমন কিছু টিপস জানিয়ে দেবো। যেগুলো অনুসরণ করতে পারলে আপনার যে কোন পোস্টে পরিমানে লাইক করবে।
তার জন্য নিচে তথ্য গুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।
অডিয়েন্সদের পছন্দ সম্পর্কে জানুন
আপনাদের দর্শকদের যুক্ত করতে পারবেন এমন কিছু কন্টেন্ট তৈরি করুন। তার কারণ মানুষের ভালো লাগলে তাবেই লাইক পাওয়াটা সম্ভব হবে। তা না হলে না।
কিন্তু তাদের পছন্দ খুঁজতে হলে আপনাকে বেশ কিছু সময় অপচয় করতে হবে তাদের পেছনে। আপনার নির্দিষ্ট সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ এর ভিত্তিতে। আপনার পোষ্ট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।
আপনি আরও বেশি লাইক পেয়ে যাবেন। কিন্তু তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের টুলস এর সাহায্য নিতে হবে।
মনে করুন ফেসবুক এর অফিসিয়াল অ্যানালিটিক্স বিজনেস ম্যানেজার নামে, অ্যানালিটিক্যাল টুলস আপনি দেখতে পারবেন। আপনার অডিয়েন্স কি পোস্ট গুলো পছন্দ করছেন বা পছন্দ করছে না।
সেখানথেকে আপনি একবার তথ্য পেয়ে গেলে দেখে নিবেন যে আপনি সঠিক সংখ্যা উপর ফোকাস করছেন কিনা। এঙ্গেজমেন্ট মেট্রিক্স যেমন- অ্যাপেল রেট আপনার মত ফলোয়ারদের সংখ্যার তুলনায়।
একটা পোস্টে প্রাপ্ত অনুমান এর লাইক সংখ্যা এবং ভাইরালিটি রেট আপনার পোষ্টের প্রাপ্ত ইউনিক ভিউ এর সংখ্যার তুলনায় শেয়ার করেছে।
এমন অডিয়েন্সের সংখ্যা আপনাকে আপনার অডিয়েন্স দের জন্য ভাল কনটেন্ট সিলেক্ট করে নিতে সহায়তা করবে।
পোস্ট করার নির্দিষ্ট সময় জানুন
আপনি ফেসবুকে পোস্ট করলেন এমন সময়ে যখন ব্যবহারকারীরা একটিভ থাকে না। আর তারা সক্রিয় না থাকলে আপনার লাইক তো কোন ভাবেই আসবে না। কারণ কেউ তো আপনার পোস্ট দেখছে না।
তার জন্য লাইক বাড়ানোর জন্য একটি সহজ উপায় হচ্ছে এই যে। যে সময়ে আপনার অডিয়েন্স রা সব থেকে বেশি ফেসবুকে সক্রিয় থাকবে তখন পোস্ট করতে হবে।
যদিও কালানুক্রমে টাইমলাইনের দূরত্ব ঘুচে গেছে। কিন্তু ফেসবুক অ্যালগোরিদম এখনো সাম্প্রতিক অগ্রাধিকার প্রদান করে। অডিয়েন্সের একা থাকার সময় জানাটা মোটেও সহজ কাজ হয়ে ওঠেনা।
কিন্তু সাধারণভাবে সমীক্ষা বলে যে মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার ব্যবহারকারীরা কমবেশি সক্রিয় থাকে। তাই পোস্ট করার জন্য এটিকে সবথেকে আদর্শ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়।
মোটকথা আপনি যদি ফেসবুকে বেশি বেশি লাইক পেতে চান। তাহলে পোস্ট করার নির্দিষ্ট সময় জানতে হবে। যখন দর্শকরা ফেসবুকে একটিভ থাকবে। সে সময় আপনাকে পোস্ট করতে হবে। তাহলে লাইক এর সরাসরি হয়ে যাবে।
কল টু অ্যাকশন
কল টু অ্যাকশন হচ্ছে দারুন কার্যকরী একটি মাধ্যম যা অডিয়েন্সের যেকোনো পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে।
এই সিটিএ গুলো কার্যকর হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এই যে এটি আপনার চাওয়া এবং দর্শকদের চাওয়ার মধ্যযুগ হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনি যখন ফেইসবুক এ কোন কিছু পোস্ট করবেন। তখন আপনার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে যে সেখান থেকে লাইক বা শেয়ার পাওয়া।
তবে একজন অডিয়েন্স আপনার পোস্ট দেখে অনেক বেশি হলে শুধু লাইক করার কথাই চিন্তা করবে। অথচ আপনার লাইক এর পাশাপাশি দরকার থাকে শেয়ারের মাধ্যমে আরও ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো।
এখানে আসে কল টু অ্যাকশন। এটি অডিয়েন্সের আপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি করে থাকে। যাতে তারা আপনার ফেসবুক পোস্ট বেশি করে লাইক এবং শেয়ার করার কথা চিন্তা করে দেখেন।
তাছাড়া আপনার পোস্ট যদি সত্যি তাদের ভালো লেগে যায়। তাহলে তারা সেটিকে লাইক বা শেয়ার করতে আপত্তি করে না।
বিভিন্ন পেজে কমেন্ট করুন
আপনি যদি ফেসবুকে বেশি বেশি লাইক বাড়াতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস অনুসরন করতে হবে। সেটি হচ্ছে বিভিন্ন পেইজে কমেন্ট করা।
আপনার বিষয়বস্তুর সাথে মিলে যায় এমন পেজগুলোকে ফলো করুন। মনে করুন আপনি যদি একজন অঙ্কন শিল্পী হয়ে থাকেন।
তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সিমিলার পেজের পোস্ট ছবি গুলো লাইক করুন। এবং কমেন্ট করে সে পেজ গুলোর সাথে সংযুক্ত হন।
কিন্তু অকারণে মন্তব্য এবং লিংক ব্যবহার করবেন না সে ক্ষেত্রে স্প্যাম হিসেবে পড়ে যেতে পারেন। বিভিন্ন পেজ এর সাথে জড়িত থাকলে তা আপনার এক্সপোজার বাড়াতে সহায়তা করে।
এসকল লাইক এবং কমেন্টের ব্যপারগুলো আপনাকে নেটওয়ার্কিং করতে সহায়তা করে। যার মাধ্যমে আপনার পেজের ব্যবহারকারীদের আপনার পেজের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
এবং তাদের কাছে আপনার পেজ ফলো করার বিষয়টিও ফেসবুক থেকে অটোমেটিক সাজেশন দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।
নিজের ফেসবুক গ্রূপ তৈরী করুন
ফেসবুক থেকে বেশি বেশি লাইক পাওয়ার আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো নিজের ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা। কারণ বর্তমান সময়ে ফেসবুক গ্রুপ থেকে বেশি লাইক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু শুধু তৈরি করলেই চলবে না রেখে সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে প্রস্তুত করতে হবে একটি গ্রুপ সক্রিয় রাখার উপায় হচ্ছে, বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা।
বিভিন্ন গ্রুপে যোগদান করলে তাদের জিজ্ঞাসা করুন তারা কি বিষয়ে পোস্ট দেখতে আগ্রহ থাকে। তাছাড়া আপনার ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন ধরনের ইভেন হোস্ট এবং পোস্ট করুন্
আপনি এগুলো করতে Google Hangout, Blab এছাড়া কোন ভার্চুয়াল ওয়েবিনারের সাহায্য নিতে পারেন।
আপনার ফেসবুক গ্রুপে থাকা ব্যবহারকারীদের তাদের বিষয়ে শেয়ার করার জায়গা করে দিবেন।
এতে করে তারা একে অপর কে জানতে পারলে, আপনারই নেটওয়ার্ক বেড়ে যাবে। যার ফলে, আপনার ফেসবুক গ্রুপে বেশি বেশি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা কিভাবে ফেসবুকে লাইক বাড়ানো যায় এবং ফেসবুকে লাইক বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে, আমরা আজ আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। আপনি যদি ফেসবুকে বেশি বেশি লাইক কমেন্ট পেতে চান। তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।
আমি শেষ মুহূর্তে একটি কথা বলতে চাই অনেকেই আছে গুগল এবার অনলাইনে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে, জানতে চাই। ফেসবুকে অটো লাইক পাওয়ার উপায় কি।
আপনি যদি ফেসবুকে অটো লাইক নিতে চান? সেক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় মানে ডিজেবল।
তো আপনি যদি প্রকৃত ভাবে ফেসবুকে বেশি বেশি লাইক পেতে চান। সেক্ষেত্রে অপরাধেও তথ্যগুলো বিশেষভাবে অনুসরণ করুন।
তো বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে, এ বিষয়ে আপনার বন্ধুদের জানাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।