ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে এন আই ডি নাম্বার এবং কার্ড পাওয়ার উপায় : আমরা জানি আমাদের কাছে অতি সহজেই টাকা-পয়সা হারায় না।
কিন্তু নতুন ভোটার হওয়ার পরে, ভোটার নিবন্ধন স্লিপ অনেকের কাছ থেকে খুব সহজেই হারিয়ে যায়।
যার ফলে, তারা এনআইডি নাম্বার পাওয়া বা এনআইডি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। প্রায় প্রতিটি সময় শুনতে হয়। ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেছে এখন কি করব?
ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে এনআইডি নম্বর এবং কার্ড পাওয়ার উপায় কি? তো বন্ধুরা চিন্তা করে লাভ নেই। যে, কোন সমস্যার অবশ্যই কোন না কোন সমাধান রয়েছে।
কিন্তু তার জন্য বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়। তো কি কি বাড়তি ঝামেলা দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
এবং কিভাবে আপনারা ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে এনআইডি নাম্বার এবং কার্ড পাবেন।
ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে সমস্যা
বাংলাদেশে প্রতিটি নির্দিষ্ট বয়সে ভোটার হওয়া নাগরিকদের অধিকার। যাদের জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০৭ সাল বা তার আগে জন্মগ্রহণ করেছে তারা সবাই ভোটার নিবন্ধন করতে পারবে।
কিন্তু যাদের বয়স ১৮ বছর এর কম তারা শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণ করতে পারবেন কিন্তু ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম আসবে না।
আর বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর অটোমেটিক ভাবে, ভোটার তালিকায় তাদের নাম চলে যাবে। আর তখন তারা ভোট দিতে পারবে।
আমাদের জানামতে অনেক লোক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার হয়।
আবার অনেক হালনাগাদ এর সময় ভোটার না হতে পারে। সরাসরি নির্বাচন অফিসে গিয়ে, নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে।
নতুন ভোটার হওয়ার সময় আবেদনকারী কে অবশ্যই ২ নং নিবন্ধন ফরম এর নিচের অংশ ছিড়ে দেয়া হয়। যাকে প্রাপ্ত স্লিপ বা ২ নং ভোটার নিবন্ধন স্লিপ বলা হয়।
উক্ত ভোটার স্লিপের ডান পাশে 8/9 সংখ্যার একটি ইউনিক নম্বর দেওয়া থাকে যাকে ফর্ম নম্বর বলা হয়। শুধুমাত্র ফরম নাম্বার, এন আই ডি নাম্বার এবং ভোটার নাম্বার দিয়েই, একজন ভোটারের বিস্তারিত তথ্য জানা যায় বা দেখা যায়।
নতুন আন্ডাএজ ভোটারের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য বা এন আইডি নম্বর পাওয়ার জন্য ফর্ম নাম্বার ছাড়া আর কোন ভাবে দেখা সম্ভব হয় না।
আর যদিও দেখা যায় তা অনেক ঝামেলা পূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মানে বোঝা যাচ্ছে, এ নিবন্ধন শ্লেভ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, অনেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি অসাধারণতার কারণে হারিয়ে ফেলে। যার ফলে পরবর্তীতে ভোগান্তের শিকার হয়।
ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে এনআইডি নম্বর ও কার্ড পাওয়ার সহজ উপায়
আপনি যদি একজন প্রকৃত ভোটার হয়ে থাকেন মানে পূর্বে ভোট দিয়েছেন বা ১৮ বছর এর বেশি বয়স হয়েছে তবে এখনো ভোটার আইডি কার্ড পানে তাদের ক্ষেত্রে যা করতে হবে তা হচ্ছে আপনার-
গ্রাম/ মহল্লা/ পাড়া’র জন্য যে ভোটার তালিকা আছে সে ভোটার তালিকায় দেখবেন আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ সহ 12 সংখ্যার একটি ভোটার নম্বর সংযুক্ত রয়েছে।
সেখানে ভোটার নম্বরটি লিখে নিবেন এবং উপজেলা নির্বাচনে অফিসে গিয়ে। সেই ভোটার নাম্বারের মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার বা এন আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি আপনার ওয়াট মেম্বার, মহিলা মেম্বার, কাউন্সিলর এবং মহিলা কাউন্সিলর এর নিকট সর্বশেষ ভোটার তালিকা পেয়ে যাবেন।
আর যদি তাদের কাছে না পান। তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার তালিকা দেখতে পারবেন।
এক্ষেত্রে যারা ১৮ বছর এর কম বয়সেই, যাদের ভোটার তালিকায় নাম যায়নি পড়বে ভোট দেয়নি। এনআইডি নম্বর এবং এনআইডি কার্ড কিছুই পাইনি এবং নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেছে।
এখন কোন না কোন জরুরী কাজে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি নম্বর প্রয়োজন এবং এনআইডি কার্ড প্রয়োজন।
এই সকল ভোটারদের ক্ষেত্রে এন আই ডি নাম্বার পাওয়া বা এন আইডি কার্ড পাওয়ার বিষয়টি অনেক জটিল ব্যাপার। তার কারণ এনআইডি কার্ড পাওয়ার জন্য ফরম নম্বর বা ভোটার নম্বর কোনটাই আপনার কাছে সংরক্ষিত নেই।
সেজন্য আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেছে এবং আপনার তথ্য খুঁজে বের করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন।
নির্বাচন অফিসের অফিস স্টাফগঞ্জ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে আপনার তথ্যগুলো খুঁজে বের করে দিতে সহায়তা করবে। কিন্তু প্রচেষ্টা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ এবং ঝামেলাপূর্ণ।
ভোটার যদি তার ২ নং নিবন্ধন ফরম এ ব্যবহৃত নামের বানান, পিতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য সঠিকভাবে না দিতে পারে তবে অনেক সময় তা খুঁজে নাও পাওয়া যেতে পারে।
তাই আপনার ক্ষেত্রে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ভোটার হওয়ার সময় যে সকল নাম ব্যবহার করেছিলেন সেগুলো সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করবেন।
যদি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তথ্য খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তী ভোটার তালিকা আসা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সেখানে বিস্তারিত জানাবেন তারা আপনার হাতের ছাপ নিয়ে আপনার আইডেন্টিটি যাচাই করে দেখবে।
আপনার তথ্য যদি সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে তবে তারা আপনার এন আইডি নম্বর লিখে দেবে সেটি নিয়ে চলে আসবেন বাকি কাজ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে করে নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে যদি আপনার কোন ভোটার তথ্য না পাওয়া যায়। তবে তারা আপনাকে একটি নতুন স্লিপ প্রদান করবে।
সেখানে লেখা থাকবে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায় এবং তাদের স্বাক্ষর ও সীল দেওয়া থাকবে।
আপনার সাথেও যদি এমন হয় তবে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটার হতে হবে।
কিন্তু জেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া সিএফটি কোনোভাবেই হারানো যাবে না হারিয়ে গেলে। পুনরায় অনুরূপ স্লিপ পাওয়ার জন্য জ্বালানি নির্বাচন অফিসার যেতে হবে। এক্ষেত্রে মুখের কথায় কোন কাজ হবে না।
শেষ কথাঃ
তো আমাদের আজকের এই আলোচনাতে, আপনাদের জানিয়ে দেয়া হলো ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে এনআইডি নম্বর এবং কার্ড পাওয়ার সহজ উপায় নিয়ে।
আপনি যদি ভোটার স্লিপ হারিয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়ে থাকেন। তাহলে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি কাজ করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে সহজেই ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলেও আপনার এনআইডি নাম্বার এবং কার্ড পেয়ে যাবেন।
আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত নতুন নতুন তথ্য জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।