আমাজন শপিং বাংলাদেশ : বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ নিজের ঘরে বসে শপিং করতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি হয়তো একজন।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে। যারা মূলত অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করার জন্য আমাজনের নাম শুনেন নাই। তবে কিভাবে আমাজন থেকে শপিং করবে।
অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা বা যেকোনো ধরনের পছন্দের পণ্য কেনার জন্য যে, সকল মার্কেটপ্লেস বিষয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
এগুলোর মধ্যে সবার প্রথমে স্থান রয়েছে, আমাজন (amazon) শপিং বাংলাদেশ।
আমাজন হচ্ছে একটি ইন্টারনেট জায়ান্ট। এখান থেকে আপনি যে কোন প্রকার পণ্য কিনতে পারবেন নির্দ্বিধায়। আর কোন প্রকার ঝামেলা শিকার না হয়ে।
তাই আপনি যদি আমাজন শপিং বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমাজন কি ?
আমাজন হচ্ছে, এমন একটি ইন্টারনেট/ অনলাইন জায়ান্ট এবং অনলাইন শপিংয়ের জন্য বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে থাকা এমন একটি প্রতিষ্ঠান।
যেখান থেকে আপনি পছন্দমত যে, কোন পণ্য কিনতে পারবেন।
আপনারা যদি ইউরোপ বা মেডেলিস্ট এ ছাড়া আমেরিকার যে, কোন দেশের দিকে লক্ষ্য করে দেখেন তবে দেখতে পারবেন।
তারা মূলত তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য এর বেশ কিছু শতাংশ আমাজনের মাধ্যমে শপিং করে থাকে।
তো আমাজন হচ্ছে এমন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি কোন একটি প্রোডাক্ট/ পণ্য অর্ডার করার কিছু সময়ের মধ্যে।
তারা আপনার দরজার সামনে সেই পণ্যটি নিয়ে হাজির হবে।
তো আশা করি, আপনি বুঝতে পারছেন আমাজন কি? মোটকথা আমাজন হচ্ছে একটি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম।
আমাজন শপিং কি?
তো বন্ধুরা আপনারা যারা নিজের ঘরে বসে অল্প খরচের মধ্যে আপনার পণ্য ক্রয় করে ঘরে আনতে চান।
তবে আপনি আমাজন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার শপিং যদি সম্পূর্ণ করেন। তবে এ পদ্ধতিকে বলা হবে আমাজন।
আমাজন শপিং মূলত আমাজনের মাধ্যমে আপনার কেনাকাটা করার বিষয়ে উল্লেখ করে যা নিঃসন্দেহে ভালো একটি বিষয় বা উদ্যোগ।
অ্যামাজন এমন একটি শপিংমল। যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় যেকোনো পণ্য বা প্রোডাক্ট সহজে অর্ডার করতে পারবেন।
এবং এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার কাছে সেটি পেয়ে যাবেন।
আমাজন শপিং বাংলাদেশ কিভাবে করবেন ?
তো আপনি যদি আমাজনের মাধ্যমে শপিং করতে আগ্রহ থাকেন। তবে আপনি চাইলে সরাসরি amazon এর ওয়েবসাইট থেকে শপিং না করে।
বিশ্বব্যাপী তাদের যে অফিস গুলো রয়েছে। সেখান সেই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, শপিং করতে পারবেন।
মানে আপনি যদি বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়ে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমাজনের সেক্টর আছে। আপনারা কাজে লাগিয়ে নিজের ঘরে বসে আমাজন শপিং বাংলাদেশ থেকে করতে পারবেন।
আর আপনি যদি চান আমাজন থেকে শপিং করার ফলে যে, কোন একটি প্রোডাক্ট বাংলাদেশে নিয়ে আসতে। তবে আপনাকে প্রথমে নেচে দেওয়ার লিংকে ক্লিক করতে হবে।
তো আপনার যখন উপরিউক্ত লিংকে ক্লিক করবেন। তখন আপনাকে অবশ্যই আমাজনের অধীনে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আমাজন একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনাকে অবশ্যই, আপনার সঠিক ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।
আমাজন একাউন্ট তৈরি করার জন্য। উক্ত ওয়েবসাইট পেজের সবার উপরের দিকে “সাইন ইন” নামের একটি অপশন দেওয়া রয়েছে, সেখানে ক্লিক করবেন। তারপর “ক্রিয়েট নিউ একাউন্ট” এ চাপ দিবেন।
আমাজন একাউন্ট তৈরি করা সম্পন্ন হলে আপনারা সেই আগের লিংকে ভিজিট করবেন। তারপর আপনার পছন্দের যেকোনো পণ্যের উপরে সার্চ করে দেখে নিতে পারবেন।
আপনার পছন্দের পণ্য সার্চ করার ক্ষেত্রে, আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে।
তারপর আপনি যে, দেশে ডেলিভারি করাতে চান। সে দেশটি সিলেক্ট করতে হবে। যেমন- বাংলাদেশ।
আপনার যখন চেক আউট করে নেবেন তখন আপনি দেখতে পারবেন। সেই পণ্যটি ক্রয় করতে হলে আপনাকে কত ডলার দিতে হবে । এবং এটি কতদিনের মধ্যে আপনার কাছে শিফট হবে। tracking code: 923310
এক্ষেত্রে আপনারা চাইলে বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড এর সঙ্গে আপনার পণ্যটি ক্রয় করতে পারবেন। আর তাদের দেওয়া দাম পরিশোধ করতে পারবেন।
যে সকল পেমেন্ট মেথড এর সহযোগিতায় আপনি আমাজন শপিং বাংলাদেশ করতে পারবেন।
সেগুলো হচ্ছে-
- ডেবিট কার্ড
- ক্রেডিট কার্ড
- ব্যাংক ট্রান্সফার
- আমাজন গিফট কার্ড ইত্যাদি
উপরুক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনারা আমাজন শপিং বাংলাদেশ পেজে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন ইমেইল এড্রেস দ্বারা।
তারপর আপনার পছন্দের যে কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করে কিনতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা আমাজন শপিং বাংলাদেশ থেকে করতে চান? তারা আমাজন ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে।
সেখানে পছন্দ মতো যে, কোন পণ্য অর্ডার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন।
তো বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
এছাড়া ঘরে বসে আমাজন শপিং বাংলাদেশ থেকে কিভাবে করতে হয়। সে বিষয়ে জানাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ.