কেওয়াইসি কি : KYC Full Form in Bengali – আমাদের এই আর্টিকেলে আজ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান, যে কেওয়াইসি কি? এবং কেওয়াইসি বলতে কি বুঝায় তাহলে, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে আপনি একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে মিউচুয়াল ফান্ড, গোল্ড লোন, শেয়ার বাজার এবং অন্যান্য লোন নেওয়া, গোল্ড ইনভেস্ট ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে আমাদের কেওয়াইসি করতে হয়।
কিন্তু আপনি যদি ভালো করে না জানেন তাহলে, কোন চিন্তার কারন নেই কারন আজ আমি আপনাকে জানাতে চাচ্ছি কেওয়াইসি কি? এবং কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ সম্পর্কে।
সময় নষ্ট না করে জেনে নেয়া যাক কেওয়াইসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
কেওয়াইসি (kyc) কি ?
আপনার কি জানেন কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ কি? যদি না জানেন তাহলে কোন সমস্যা নেই আমি এখন আপনাকে জানাবো – (কেওয়াইসি) KYC Full Form in Bengali হচ্ছে, Know Your Customer.
[wp_show_posts id=”3308″]
- K = Know
- Y = Your
- C = Customer
আর কেওয়াইসি কে বাংলাতে বলতে গেলে বলা যায়, Know Your Customer – জানো নিজের গ্রাহকদের।
এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারা সম্পন্ন করা হয়। এখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় ও আই এর মাধ্যম গুলো যাচাই করে।
Know Your Customer (Kyc) এর মাধ্যমে, গ্রাহকদের কাজকর্ম, পরিচয়, ঠিকানা এবং যে টাকা গ্রাহক বিনিয়োগ করতে চান সেটির সম্পূর্ণ বৈধতা এবং ন্যায্য এ বিষয়গুলো নিয়ে যাচাই করা হয়ে থাকে।
[wp_show_posts id=”3303″]
Know Your Customer (Kyc) স্ট্যান্ডার্ড গুলোকে এভাবে পরিকল্পিত করা হয় যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো কে ফান্ড, Corruption Money Laundering ইত্যাদি থেকে রক্ষা করা যায়।
তাই সহজভাবে বলতে গেলে, Kyc একটি প্রতিষ্ঠানকে, তার বিনিয়োগকারীর পরিচয় এবং ঠিকানা গেম প্রমাণিত করতে সক্ষম করে তোলেন।
যে কোন গ্রাহক যিনি ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার মার্কেট, গোল্ড ইত্যাদিতে ইনভেস্ট শুরু করতে চান তাকে সবার আগে নিজের Kyc জমা দিতে হয়।
কিন্তু আপনাকে বারবার কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে না। মানে যখন আপনি জীবনে প্রথমবারের জন্য বিনিয়োগ শুরু করতে যাচ্ছেন শুধুমাত্র তখনই কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
[wp_show_posts id=”3308″]
ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ ইত্যাদি করতে আপনার সেই প্রথমবার করা কেওয়াইসি দিয়েই কাজ হয়ে যাবে।
KYC Full Form In Bengali – কেওয়াইসি (KYC) এর পূর্ণরূপ কি ?
কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- Know Your Customer. আর এটির বাংলা পূর্ণরূপ হচ্ছে, নিজের গ্রাহকদের চেনা বাজানা।
কেওয়াইসি (Kyc) কেন জরুরি ?
কেওয়াইসি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কাস্টমারদের পরিচয় ভালো করে ভেরিফাই করা হয়ে থাকে। কেওয়াইসি নির্দেশনা গুলোর উদ্দেশ্য এটাই যে, যাতে ব্যাংক এবং ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স গুলোকে।
ক্রিমিনাল এলিমেন্টসদের দ্বারা Mmoney Lundering Activities এর মতো অপরাধ মূলক কার্যক্রম গুলো করা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
[wp_show_posts id=”3306″]
এর মত মেয়ে ব্যাংক এবং ফিনানন্সিয়াল ইনস্টিটিউশন তাদের গ্রাহকদের এবং তাদের আর্থিক লেনদেন গুলো ভাল করে জানতে পারে। গ্রাহকদের কিছু স্বাধীন এবং নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্ট ডাটা তথ্যগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পরিচয় শনাক্ত করা এবং যাচাই করার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে, কেওয়াইসি।
পরিচয় যাচাই করার উদ্দেশ্য জেনে নিন-
স্বতন্ত্র গ্রাহকদের ক্ষেত্রে, ব্যাংক এর দ্বারা গ্রাহকদের পরিচয় তথ্য, ঠিকানা এবং রিসেন্ট ফটোগ্রাফি প্রাপ্ত করা হয়। জয়েন হোল্ডার এবং ম্যান্ডেট হোল্ডারদের জন্য এই একই ধরনের তথ্য দিতে হয়।
নন-ইন্ডিভিজুয়াল কাস্টমার দের ক্ষেত্রে ব্যাংক দ্বারা বিভিন্ন ডেন্টিফিকেশন ডাটা গুলো প্রাপ্ত করা হয় যাতে অপারেটিং অ্যাড্রেস, অথরাইজ সিগনেটোরিয়াস, বেনেফিসিয়াল ওনার্স, লিগাল স্টেটাস ভেরিফাই করা যায়।
কেওয়াইসি ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়াতে মূলত, আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন, ফেস ভেরিফিকেশন, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর সাথে জড়িত থাকে।
কেওয়াইসি ডকুমেন্ট গুলো কি কি ?
ইন্ডিভিজুয়াল কেওয়াইসির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো হচ্ছে-
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- আধার কার্ড
- পাসপোর্ট
এসকল ডকুমেন্টগুলো যেকোনো একটি আপনার proof of identity ও proof of address সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।
[wp_show_posts id=”3303″]
KYC কত প্রকার ও কি কি ?
কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন দুই ধরণের প্রসেস হয়ে থাকে। এ দুটি প্রক্রিয়া সুবিধাজনক এবং কার্যকর যেমন-
01. Aadhaar Based কেওয়াইসি (KYC)
একে ঐশী ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াকে মূলত, Aadhaar এর মাধ্যমে করা হয়। কেবিসির এই প্রক্রিয়া আপনারা সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে, ঘরে বসে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া অনলাইনে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান তাহলে অবশ্যই এই Aadhaar Based KYC প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করতে হবে।
[wp_show_posts id=”3308″]
এ প্রক্রিয়াতে আপনার নিজের আধার কার্ড এবং স্ক্যানিং কপি আপলোড করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আধার based KYC এর দ্বারা একজন গ্রাহক যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চায়। তাহলে শেষ হলো মাত্র 50 হাজার পর্যন্ত প্রত্যেক বছর বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে।
02. In-Person Verification কেওয়াইসি (KYC)
এ ধরনের কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন অফলাইনে থেকে করা হয়। এবং আপনাকে প্রতিষ্ঠানটির এগিয়ে প্যারিসের ভেরিফিকেশন করতে হবে।
আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ার মার্কেট এর মধ্যে নিয়মিত বিনিয়োগ করতে চান। তবে আপনার এই ধরনের In-Person Verification KYC করা অত্যন্ত জরুরি।
এ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে গ্রাহকের আইডেন্টিটি এবং পার্মানেন্ট এড্রেস ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে, প্রাসঙ্গিক প্রমাণ হিসেবে ডকুমেন্ট জমা করতে হবে।
আপনারা চাইলে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে আইডেন্টিটি এবং এড্রেস প্রমাণ হিসেবে, self-attested PAN Card, passport, NID Card ইত্যাদি জমা দিতে পারেন।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কেওয়াইসি এর প্রকার গুলো সম্পর্কে। কেওয়াইসি মূলত দুই প্রকার আমরা সে বিষয়ে ওপরে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছি যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে উপরের আলোচনাটি আরেকবার পড়ে নি।
আরো পড়ুনঃ
- ট্রেডিং ব্যবসা কি ? ট্রেডিং কত প্রকার ও কি কি ? [বিস্তারিত এখানে]
- কর্ম ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার [বিস্তারিত এখানে]
- সাইবার ক্রাইম (cyber crime) কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কেওয়াইসি কি? Kyc full form in bengali সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি উপকার হয়।
তবে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন, তাহলে আমরা উৎসাহিত হব আরো নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিকস আপনাদের জানাতে।
আর বিশেষ করে, আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।