পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড : বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইনে প্রশ্ন করে থাকেন। পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় কি?
তো আমি আপনাকে প্রথমে বলতে চাই আপনি যদি পুরাতন ভোটার হয়ে থাকেন। এবং পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ফ্রিতে ডাউনলোড করতে চান? তাহলে কোন উপায় পাবেন না।
কিন্তু অনলাইন থেকে মাত্র ২১ টাকা ফি প্রদান করে, পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
নতুন ভোটার হওয়ার পরে অনলাইন থেকে নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয় পত্র কপি ডাউনলোড করার সুযোগ থাকলেও। পুরাতন ভোটারদের ফ্রিতে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সেজন্য সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা সরকারের ফি জমা দিয়ে এনআইডি রি-ইস্যু’র আবেদন করার প্রয়োজন হয়।
কিন্তু নতুন হক আর পুরাতন হক সকল ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
মাত্র 21 টাকা সরকারি প্রদান করে। আর সেই ফি এর টাকা আপনাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
তো আপনি যদি পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
আর এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায়
আপনারা অনলাইন থেকে পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে, একটি অন্য ওয়েবসাইট ঠিকানায় ভিজিট করতে হবে।
আর সেই ওয়েব সাইটে হচ্ছে- prottoyon.gov.bd আপনারা এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তো আপনারা উপরোক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর অবশ্যই একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর একান্ত তৈরি করতে কোন প্রকার টাকা খরচ করতে হবে না।
একদম বিনামূল্যে একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট খুলতে নিজের ছবিটি দেখুন-
তো আপনারা উপরে দেয়া ছবির মত পেজে যাওয়ার পর সেখানে। অ্যাকাউন্ট খুলুন বাটনে ক্লিক করে দিবেন। তারপর নাগরিক একাউন্ট তৈরি করুন নামে একটি পেজ দেখানো হবে। নিচে দেওয়া ছবির মত-
এখন উপরে দেওয়া ছবিটির মত, পেজে প্রবেশ করার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে হবে।
উপরোক্ত ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিবন্ধন করুন বাটনে ক্লিক করে দিবেন। আর নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করার পর যে পেজটি লোড হয়ে আসবে।
সেখানে মোবাইলে 6 ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড চলে যাবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন-
উপরোক্ত কাজটি করার পর আপনার একাউন্টে ক্রিয়েট হয়ে যাবে। এখন আপনাকে লগইন কর্নার নামে একটি পেজ দেয়া হবে।
সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে। নিচে দেওয়া ছবিটা দেখুন-
উপরুক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনারা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড যুক্ত করে লগইন বাটনে ক্লিক করলে, নিচে দেওয়া সবের মতো একটি ড্যাশবোর্ড চালু হবে।
উপরোক্তা সবের মতো ড্যাশবোর্ডে আসা, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য প্রিন্ট অপশন দেখানো হবে সেখানে আপনার স্মার্ট কার্ড এর নম্বর এবং জন্মতারিখ দেখা যাবে। সেটি আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে নিজে দেওয়া ছবিটি দেখুন-
সেখান থেকে আপনি সহজেই প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি নির্ধারিত ফি গুলো দেখতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ফ্রি এর পরিমাণ হতে পারে ২১.৬৩ টাকা। নিচের ছবিটা দেখুন-
উপরে থাকা ফি পরিশোধ করুন বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর পেজটি লোড হয়ে, কি পরিশোধের অপশন চলে আসবে যা আপনারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। নিচের ছবিটি দেখুন-
এখান থেকে আপনারা মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ রকেট নগদ যেকোনো একটি সিলেক্ট করে সেই পরিশোধ করতে পারবেন।
আমি একটি ভোটার আইডি কার্ড বের করেছি রকেট একাউন্ট থেকে ফি পরিশোধ করে। কিন্তু আপনি ইছামত যে কোন একটি একাউন্ট নির্বাচন করতে পারেন। নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন-
ভারতের ছবির মত একাউন্টে সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন। তাহলে ফি পরিশোধ হয়ে যাবে।
তারপর ওপরে থাকা ছবিতে আপনারা সিকিউরিটি কোড নামে যে অপশনটি দেখতে পারছেন সেখানে আপনার অ্যাকাউন্টের কোডটি ব্যবহার করে Go বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপর আপনি যে ফি পরিশোধ করেছেন তার একটি তালিকা আপনাকে দেখানো হবে। নিচের ছবিটির মত-
তারপর আপনার অনলাইন পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আপনার আবেদন আইডি নম্বর ************ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন। আপনি সেই বাটনের ক্লিক করার সাথে সাথে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে।
নিচে দেওয়া ছবিটির মতো ফরম্যাট দেখানো হবে-
আপনারা পুরাতন ভোটার হয়ে থাকলে এরকম অনলাইন কপি উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় খুঁজেন। তারা উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে, ২১ টাকা ফি পরিশোধ করে, সহজে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
তো বন্ধুরা আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।