নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা ফরম PDF : নতুন ভোটার নিবন্ধন এর কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং প্রায় প্রতি বছর এ প্রক্রিয়া চলমান থাকে।
নির্বাচন চলাকালীন সময় ব্যতীত, যেকোনো সময় নির্বাচন অফিস থেকে ২ নং ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করে। বা অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে, খুব সহজে নতুন ভোটার হওয়া সম্ভব হয়।
নতুন ভোটার হতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এর সঙ্গে অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার দরকার হয়।
নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা তৈরি করা যদিও অনেক সহজ কাজ কিন্তু তারপরও অনেকে সঠিকভাবে অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে পারে না।
আর নতুন ভোটার আবেদনের সাথে অঙ্গীকারনামা জমা দেয় না বিধায়, নতুন ভোটার হতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়।
বর্তমান সময়ে, ভোটার হতে গেলে আপনার কাছে অঙ্গীকারনামা না চাইলেও সেটি দেওয়া প্রয়োজন। কারণ পরবর্তী সময়ে যাতে, কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
তাই আপনারা নতুন ভোটার হতে চাইলে, অঙ্গীকারনামা জমা দিয়ে দিবেন।
নতুন ভোটার
আর বর্তমান সময়ে যাদের জন্ম ১০-০১-২০০৪ সাল বা তার আগের জন্মগ্রহণ করেছে তাদেরকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করে নিচ্ছে।
একজন ভোটার আবেদনকারীর জন্ম তারিখ যদি ০১-০১-২০০৩ সাল হয় তাহলে তার অঙ্গীকারনামা নাও চাওয়া হতে পারে।
কারণ ২-৪ বছর আগে তার ভোটার হওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু যে ব্যক্তি অভারএজ বা জন্ম তারিখ ২০০০ সালের আগে তার ক্ষেত্রে নতুন ভোটার হতে গেলে, অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা চাওয়ার কারণ হচ্ছে সে ব্যক্তি একাধিকবার ভোটার হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
বর্তমান সময়ে একাধিক ভোটার হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে বিধায় প্রতিটি ভোটারের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা চাওয়া হয়। কারণ বর্তমান সময়ে একাধিক ভোটার হওয়ার পরে নাম অনেক ভয়াবহ হয়।
বিশেষ করে একাধিক ভোটার হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং সাথে সাথে জরিমানাও করা হয়। আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের চাহিদা পূরণের জন্য গোপনে একাধিক ভোটার হয়ে যায়।
তাই আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান? তবে অবশ্যই ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে। তারা জানেনা কিভাবে, নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লিখতে হয়। তাই আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদনের সাথে, অঙ্গীকারনামা কিভাবে তৈরি করে সংযুক্ত করতে হয় সে বিষয়ে জানাবো।
নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা ফরম PDF
তো বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ভোটার হতে চান? তাদের অবশ্যই ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা ভোটার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
আপনারা চাইলে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা ফরম pdf ফাইল অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে পূরণ করতে পারেন।
তো আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লিখতে না পারেন সেক্ষেত্রে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য আমরা একটি লিংক প্রস্তুত করেছি। সে লিংকে ক্লিক করে আপনারা সহজেই ভোটার অঙ্গীকার নামা pdf ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড করুন- ভোটার অঙ্গীকারনামা pdf
এছাড়া, আপনি চাইলে নিজে নিজে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লিখতে পারবেন।
আমরা যে অনুযায়ী আপনাকে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নমুনাটি দেখাবো। সেই অনুযায়ী আপনার নাম ঠিকানা প্রস্তুত করে, সহজেই ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লিখে ফেলতে পারবেন।
নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা (নমুনা)
আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান এবং অঙ্গীকারনামা জমা দিতে চান? সে ক্ষেত্রে সে অঙ্গীকারনামায় বেশি কিছু লেখার প্রয়োজন নেই। সেখানে মূল কথাগুলো অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করতে হবে।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নমুনা সম্পর্কে।
নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, আমি মোঃ / মোছাঃ (এখানে আপনার নাম লিখবেন), পিতাঃ (এখানে আপনার পিতার নাম লিখবেন), মাতাঃ (এখানে আপনার মাতার নাম লিখবেন), গ্রাম/ মহল্লাঃ (আপনি যে গ্রামে বসবাস করেন সেটি লিখবেন), ডাকঘরঃ (এখানে ডাকঘরের ঠিকানা লিখবেন), উপজেলাঃ (আপনি যে উপজেলায় বসবাস করেন সে উপজেলার নাম লিখুন), জেলাঃ (আপনার জেলার নাম লিখুন)।
আমি অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। চাকরিরত/ লেখাপড়ার জন্য বাড়ির বাহিরে অবস্থান করায় আমি সময় মত নতুন ভোটার হতে পারিনি। তাই নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আপনার দপ্তরে আবেদন দাখিল করেছি। যে, পূর্বে কোন সময় বাংলাদেশের কোথাও ভোটার হয়নি এবং এই প্রথমবার ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছি।
যেহেতু একাধিক ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ তাই আমি দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এবং আমি মেনে নিতে সর্বদা বাধ্য থাকব।
এমতাবস্থায় আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবই নয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর / টিপসহি
(এখানে আপনার নাম)
(এখানে আপনার পিতার নাম)
(এখানে আপনার ঠিকানা)
(মোবাইল নাম্বার)
আপনারা নতুন ভোটার হওয়ার সময় অন্যান্য কাগজপত্র এর সঙ্গে, উপরোক্ত আলোচনায় নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা তৈরি করে নিয়ে আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য, সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন কিন্তু ভোটার অঙ্গীকারনামা না প্রস্তুত করেন। সেক্ষেত্রে হয়তো আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ফেরত আসতে হতে পারে।
তাই আপনারা সঠিকভাবে একটি ভোটার অঙ্গিকার নামা লিখবেন। এছাড়া আপনারা চাইলে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করে ভোটার অঙ্গীকারনামা ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ডাউনলোড করার পর সেই ফর্মটি নিজের হাতে পূরণ করে, ভোটার নিবন্ধন এর সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো- নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা ফর্ম কিভাবে লিখতে হয়। এবং অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার উপায় কি।
আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান? তাহলে অবশ্যই অঙ্গীকারনামা ফরম আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডের নতুন নতুন আপডেট পেতে চান, তবে ভিজিট করুন।