ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম : আপনি কি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।

আজকে আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেবো। ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করার যাবতীয় পদক্ষেপ গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম

সকালে জনি ইউটিউব এমন একটি, ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম যেখানে আপনার চেষ্টা। এবং প্রতিবার থাকলে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়।

আপনার পরিচিত অনেক মানুষ আছে যারা ইউটিউব এ চ্যানেল তৈরি করে, সেখানে ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করে, প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।

তাই আপনার পরিচিত লোকেরাও যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিজের ক্যারিয়ার সৃষ্টি করে নিচ্ছে।

সেখানে আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন। আপনিও তাদের মত একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে, সহজে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

তাই আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের সফলতা অর্জন করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। তারপর ইউটিউব চ্যানেলে সুন্দরভাবে কাস্টমাইজ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

আপনি যত ভালোভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কাস্টমস করবেন তত বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ সম্পর্কে।

কাস্টমাইজেশন কি?

প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ কি। কারণ আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন। যদি সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান তাহলে কিন্তু সঠিকভাবে কিছুই করতে পারবেন না।

সাধারণ অর্থে কাস্টমাইজ শব্দের অর্থ হচ্ছে, কোন কিছুকে নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া। মনে করুন- আপনি একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের লাঞ্চার, ওয়ালপেপার ইত্যাদি সাজানো হতো সেটাই হচ্ছে কাস্টমাইজেশন।

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন কি?

আমি আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনারা বুঝে গেছেন কাস্টমাইজেশন আসলে কি বা কাকে বলে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ কি।

আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল নিজের মত করে সাজিয়ে নিবেন। তখন তাকে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন বলা হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে একটি ইউটিউব চ্যানেল এর কোন কোন বিষয়গুলো সাজাতে হবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

একটি ইউটিউব চ্যানেল কে প্রফেশনাল কাস্টমাইজ করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সাজিয়ে নিতে হবে যেমন-

  • ইউটিউব চ্যানেলের লোগো কেমন হবে।
  • ইউটিউব চ্যানেলের কভার ফটো কেমন হবে মানে ব্যানার।
  • এছাড়া চ্যানেলের হোমপেজ কেমন হবে।
  • ইউটিউব চ্যানেলের প্লে-লিস্ট কিভাবে রাখবেন।

ইত্যাদি বিষয়গুলো সাজিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন।

কেন ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করবেন ?

উপরের আলোচনাতে, ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ নিয়ে আলোচনা করেছে কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ গুলো করতে হবে। আর এই কাজগুলো করলে আমরা কি লাভ পাব। সে সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জানতে হবে।

কারণ একজন ইউটিউবার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তবে আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে না জানেন। তাহলে এই কাজ করার প্রতি আপনার আগ্রহ জাগবে না।

তাই একটি ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে একজন ইউটিউবার এর স্বপ্নের মতো এই কথাটি শুধুমাত্র সেই মানুষগুলো অনুভব করতে পারে। যারা কোনো না কোনো ভাবে ইউটিউব সেক্টরে ভিডিও ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছে।

মুলত যারা এই ইউটিউব সেক্টরে যুক্ত আছে। তারা সবাই সফলতা অর্জন করতে আগ্রহী থাকে। আর এই সফলতা পেতে, ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

[wp_show_posts id=”3308″]

কারণ একজন দর্শক কিন্তু আপনার চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করবে না। তারা বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, তারপর আপনার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবেন।

ইউটিউব অ্যালগরিদম অনুযায়ী বলা যায়। যখন কোন ভিজিটর আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোন একটি ভিডিও দেখে যদি ভালো লাগে। তখন সেই ভিজিটর পুনরায় আপনার চ্যানেলের আরো একটি ভিডিও দেখবে।

মানে যখন ইউটিউব বট খেয়াল করবে যে, একজন ভিজিটর আপনার পুরো ভিডিওটি দেখছেন। সেই সময় ইউটিউব বট আপনার ইউটিউব চ্যানেলের আরো একটি ভিডিও সেই ভিজিটরকে দেখানোর চেষ্টা করবে।

তখন সেই ভিজিটর যদি পরবর্তী ভিডিও পছন্দ করে তখন সে সরাসরি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর মধ্যে প্রবেশ করবে।

তারপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর মধ্যে অংশটি যদি তার কাছে, ভাল মনে হয়। তখন সে ভিজিটর আপনার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে দেবে। এছাড়া, লাইক কমেন্ট তো আছেই।

কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে সে ভিজিটর যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর ভেতরে গিয়ে দেখে। যে সবকিছু এলোমেলো ভাবে সাজানো আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সঠিকভাবে কাস্টমাইজ করা নেই।

তাহলে সে ভিজিটর আপনার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবে না, উল্টা ডিসলাইক করে চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে কখনোই ভিজিটর আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করবে না।

[wp_show_posts id=”3303″]

তার জন্য আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় আপনি পরিশ্রম করবেন ঠিকই কিন্তু কোন ফলাফল পাবেন না। মানে সফলতা অর্জন হবে না।

ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে কি কি লাগে ?

এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিটি নতুন ইউটিউবার মনে জেগে থাকে। কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে হয় এবং কাস্টমাইজ করার জন্য কি কি লাগে।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। একটি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করার জন্য কি কি দরকার হয়।

তার জন্য সবার আগে আপনার একটি ডিভাইস দরকার হবে সেখানে আপনার কাছে কম্পিউটার. ল্যাপটপ বা মোবাইল থাকলে চলবে।

তারপর আপনাকে Dimension এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে ।এখন আপনার আরো প্রশ্ন হতে পারে যে, Dimension এটা আবার কি তাহলে  দেখুন।

আমরা যখন কোন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করি। সেই ইউটিউব চ্যানেলে একটি প্রোফাইল ফটো এবং কভার ফটো ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু এটি আপনার জেনে নেওয়া উচিত। আপনি চাইলে সকল প্রকার ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ ইউটিউব আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট সাইজ এর ফটো ব্যবহার করার নিয়ম বেঁধে দিয়েছে।

মানে আপনি ইউটিউব চ্যানেল এর প্রোফাইল পিকচার সেট করতে চান। তাহলে আপনাকে ইউটিউব এর নির্দেশনা নির্দিষ্ট সাইজ অনুযায়ী লোগো যুক্ত করতে হবে।

এরকমভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কভার ফটো নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বা Dimension এ রাখতে হবে।

[wp_show_posts id=”3303″]

এখন কোন ফটোগুলো Dimension কেমন হবে সে সম্পর্কে আপনাকে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব। তা না হলে আপনারা কাস্টমাইজ করতে পারবেন না

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করবেন ?

এখন আমরা মূল আলোচনায় ফিরে এসেছি এতক্ষণ কাস্টমাইজ কি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ কি এবং কাস্টমাইজ করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি।

এখন আপনাকে জানাবো কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করবেন। একটি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে চাইলে সবার আগে যে বিষয়টি আসবে সেটি হচ্ছে, ইউটিউব চ্যানেলের লোগো বা প্রফাইল ফটো

ইউটিউব চ্যানেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ সেই লোগো ব্যবহার করে। ইউটিউব চ্যানেল বা প্রতিষ্ঠান এর পরিচয় বহন করে। তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেল টির ব্র্যান্ডিং করার জন্য অবশ্যই একটি লোগো ব্যবহার করতে হবে।

প্রচলন এখন জেনে নেয়া যাক। প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউব লোগো কিভাবে সেটআপ করতে হয়।

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য লোগো যুক্ত করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই লোগোর সঠিক সাইজ জানতে হবে। সেই সাইজ অনুযায়ী আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, একটি ইউটিউব লোগো তৈরি করবেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

তো চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক। ইউটিউব চ্যানেল লোগো লাগানোর সিস্টেম টি।

  • প্রথমে আপনাকে সরাসরি ইউটিউব অ্যাপ এ প্রবেশ করতে হবে।
  • তারপর ইউটিউব চ্যানেলটি সাইন আপ করতে হবে।
  • তারপর ইউটিউব চ্যানেল এডিট অপশনে প্রবেশ করবেন।
  • এরপরে, ইউটিউব চ্যানেলের কাস্টমাইজ অপশনে ক্লিক করার পর আপনারা লোগো নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন।
  • আপনি যে লোগোটি তৈরি করেছেন সেটি সরাসরি এখানে আপলোড করে দিবেন যদি ইউটিউব এর সাইজ অনুযায়ী থাকে।
  • ইউটিউব চ্যানেলের লোগো তৈরি করা সাইজ কত সেটি আপনারা এখানেই জেনে নিতে পারবেন। যদি আপনার লোগো সাইজ ঠিক না থাকে তাহলে সেই মাপ অনুযায়ী একটি লোগো তৈরি করে নিন তারপর আপলোড করুন।

উপরে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনারা সহজেই লোগো যুক্ত করতে পারবেন লোগো যুক্ত করার পর আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব এর একটি ব্যানার যুদ্ধ করতে হবে।

[wp_show_posts id=”3306″]

ব্যানার যুক্ত করার জন্য আপনাকে পুনরায় যেভাবে লোগো যুক্ত করেছেন। তার নিচে দেখতে পারবেন ব্যানার নামে একটা অপশন দেওয়া রয়েছে।

সেখানে আপনারা ইউটিউব এর নির্ধারিত সাইজ অনুযায়ী একটি ব্যানার তৈরি করবেন। তারপর সেখানে আপলোড করে দেবেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের হোমপেজের ওপারে থাকবে।

ইউটিউবে ব্যানার যুক্ত করার পর আপনারা আরো একটি কাজ করতে পারবেন সেটি হচ্ছে ইউটিউব ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব বাটন যুক্ত করতে পারবেন।

ইউটিউব ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব বাটন যুক্ত করার জন্য আপনারা ব্যানারের নিচে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে একটি সাবস্ক্রাইব বাটন যুক্ত করতে পারবেন।

[wp_show_posts id=”3303″]

সেখানে আপনারা ইউটিউব এ জগতে দিয়েছেন। সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যে কোন সাইজের ছবি সেখানে যুক্ত করতে পারবেন। কোন সমস্যা নেই সেখানে ক্লিক করে ভিজিটররা সহজেই সাবস্ক্রাইব করতে পারবে।

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর এই তিনটি কাজ সঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে মোটামুটি ভাবে আপনার কি ইউটিউব চ্যানেলটি কাস্টমাইজ সম্পন্ন হবে।

এছাড়া আরো অনেক কাস্টমাইজ করা বাকি রয়েছে। যেগুলো আপনারা ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন অপশন থেকে সম্পন্ন করতে পারবেন। বিশেষ করে, আপনারা সেই কাজগুলো ভিডিও আপলোড করার সময়েও করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

বন্ধুরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হলো- ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করতে চান।

তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব এর জন্য একটি লোগো সিলেক্ট করতে হবে। এবং ইউটিউবে কি ধরনের ব্যবহার করতে চান। সেটি নির্ধারণ করতে হবে। তারপর youtube-এর নির্দিষ্ট আপনাকে তৈরি করে আপলোড করতে হবে।

আপনি যদি উপরে দেওয়া পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে পারেন। তাহলে সুন্দরভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন যা দর্শকদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ বাড়বে।

আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বিশেষ করে এই ওয়েবসাইট থেকে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment