অ্যালগরিদম কি : তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানাব, অ্যালগরিদম কি? এবং এলগরিদম কাকে বলে। এছাড়া, অ্যাগরিদম এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
আপনি যদি অ্যাগরিদম এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
বর্তমান আধুনিক সময়ে, অ্যালগরিদম নামটি হয়তো আপনারা সকলেই শুনেছেন। কিন্তু নাম শুনে থাকলেও কিন্তু আসলে এই অ্যাগরিদম এর বিষয়টি কি সেটি নিয়ে বেশির ভাগ মানুষদের কোন স্পষ্ট ধারণা নেই বললেই চলে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে, থেকেই আমরা বিভিন্ন প্রকার কাজ করে থাকি। আর যে কোন কাজ করার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়।
যে কোন কাজ কিন্তু আমাদের জন্য এক প্রকার সমস্যার মতো এবং কাজ এর মধ্যমে বা কাজ করে আমরা যে কোন সমস্যার সমধান করতে পারি।
কাজ এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বের করার জন্য আমরা কিছু ক্রম নির্ধারিত করে থাকি।
[wp_show_posts id=”3303″]
আপনাকে একটি উদাহরণ হিসেবে বুঝানোর চেষ্টা করছি। যেমন- মনে করুন : আপনাকে কফি বানাতে বলা হলো।
এখন কফি বানানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু স্টেপ বা একটি ক্রম অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
ঠিক সেরকম ভাবে আপনি কফি বানাচ্ছেন। তবে আপনাকে কিছু স্টেপ বা একটি ক্রম হিসেবে কাজটি সম্পূর্ণ ভাবে শেষ কতে হবে।
কফি বানানোর জন্য আমাদের কি কি করতে হবে চলুন দেখে নেওয়া যাক। যেমন-
- প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেটিকে গরম করতে হবে।
- তারপরে, পানিতে কফি, চিনি ও দুধ ঢালতে হবে।
- আপনার কফি যদি প্যাকেট যাত হয় তাহলে সেটি সরাসরি ঢেলে দিবেন।
- তারপরে, আপনার কফি তৈরি হওয়ার পরে, মগে বা গ্লাসে গ্লাসে ঢালতে হবে।
- এখন আপনার তৈরি করা কফি খেতে পারবেন।
আপনারা উপরে দেওয়া উদাহরণ কে অ্যাগরিদম হিসেবে বুঝি দিলাম। কারণ কফি তৈরি করার প্রক্রিয়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ বা একটি ক্রম অনুসরণ করা হয়েছে।
যদি উক্ত ক্রম উল্টোপাল্টা হয়, তাহলে কিন্তু কফি তৈরি করা যাবে না। মানে, আপানি যদি কফি গরম পানির বিপরীতে ঠান্ডা পানি দিয়ে তৈরি করেন। তাহলে কিন্তু কোন স্বাধ আসবে না।
[wp_show_posts id=”3303″]
আপনি যদি উক্ত উদাহরণটি মনযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আসা করা যায়। আপনি অ্যালগরিদম আসলে কি এই বিষয়ে ধারণা নিয়েছেন।
তো চলুন নিচের অংশ থেকে আপনাকে পরিপূর্ণ ভাবে অ্যাগরিদম কি এই বিষয়ে জানিয়ে দেই।
অ্যালগরিদম কি ? (What is Algorithm)
কম্পিউটারে কাজ করার জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রাম গুলো লিখা হয়। এই কম্পিউটার প্রোগ্রাম গুলোতে বিভিন্ন প্রকার স্টেপ গুলো লিখে থাকি। যে গুলো অনুসরণ করে একটি কম্পিউটার কিছু বিশেষ কাজ করতে পারে।
আপনি যখন কম্পিউটার কে কোন কাজ করার নির্দেশ দেন। তখন আপনাকে এটা ভাবতে হয় যে, কিভাবে কম্পিউটার আপনার দেওয়া নির্দেশ দেওয়া কাজ গুলো করতে পারে।
আর এই জন্য আমরা ব্যবহার করি কম্পিউটার অ্যাগরিদম গুলো।
আপনাকে আরো সহজ করে বলতে গেলে বলা যায়। অ্যাগরিদম হলো এমন একটি বিশেষ নির্দেশনাবলী সেট বা ক্রম যার মাধ্যমে আমরা যে কোন বিশেষ সমস্যার সমাধান করতে পারি।
[wp_show_posts id=”3308″]
অ্যালগরিদম এর সংজ্ঞা ?
অ্যাগরিদম হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া বা একটি ফর্মুলা। যার ফলে একটি সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
এটি মূলত এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কিছু সীমিত নিয়ম থেকে থাকে যে গুলো নির্দেশ বললেও বলা যায়।
প্রতিটি নিয়ম বা নির্দেশ গুলো কে একটি’র পর একটি ক্রমাগত ভাবে লিখা হয়। আর প্রতিটি নিয়ম কোন না কোন বিশেষ অপারেশন গুলো করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়ে থাকে।
আর সকল নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করে, এগিয়ে যাওয়ার ফলস্বরুপ শেষে গিয়ে সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়।
সহজে করে বলতে গেলে, এই নিয়ম গুলোর ফলে সমস্যার সমাধান খুজে পাওয়া সম্ভব হয়।
তবে, আমরা যদি একেবারে সরল ভাবে অ্যাগরিদম এর বিষয়ে বুঝতে চেষ্টা করি তবে এভাবে বুঝাবে যেমন-
অ্যাগরিদম হল যে কোন সমস্যার সমাধান খুজে বের করার একটি স্টেপ বা স্টেপ প্রক্রিয়া।
এখন যদি আরো ভালো ভাবে বলা হয় তাহলে বলা যায় – অ্যাগরিদম এর মধ্যে কিছু স্টেপ আছে যেখানে প্রতিটি স্টেপ একটি বিশেষ ক্রিয়াকলাপের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
[wp_show_posts id=”3306″]
একটি স্টেপের মাধ্যমে শুরু করা এবং শেষে গিয়ে একটি মাত্র স্টেপ থেকে যায়, যার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা হয়।
আর এই ২ টি স্টেপের মধ্যে অন্যান্য আলাদা আলাদা স্টেপ গুলো আছে। যে গুলো আবার আলাদা আলাদা কাজ গুলো করে থাকে।
এখন আশা করা যায় যে, অ্যালগরিদম কি বা এলগরিদম বলতে কি বুঝায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বুঝতে পারছেন।
অ্যালগরিদম এর ব্যবহার ও গুরুত্ব
এমনিতে, প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে এলগরিদমের ব্যবার প্রচুর পরিমাণের হয়ে থাকে। মূলত, আইটি সেন্টার, বিজনেস মডেল, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে অ্যাগরিদম এর গুরুত্ব অপরিসিম।
তো চলুন নিচের অংশ থেকে জেনে নেওয়া যাক। অ্যালগরিদম কিভাবে এবং কোন কোন জায়গাতে ব্যবহার করা হয়।
Computer Programming
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে একটি প্রোগ্রাম লিখার পূর্বে তার অ্যালগরিদম লেখা হয়ে থাকে। যে কোন প্রোগ্রাম যদি আপনি চিন্তা ভাবনা না করে, লেখা শুরু করেন তবে সেখানে অনেক ভুল চলে আসার সম্ভাবনা থাকবে।
তার জন্য যদি প্রোগ্রাম তৈরি করার পূর্বে আপনি একটি এলগরিদম তৈরি করে, নিতে পারেন। তাহলে Errors গুলো কম হবে।
[wp_show_posts id=”3308″]
ফ্লোচার্ট তৈরি করার আগে এলগরিদম লিখা হয়। তা না হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়।
Computer Scientist ও Software Engineer
Computer Scientist ও Software Engineer অবশ্যই বিভিন্ন অ্যাগরিদম গুলো ব্যবহার করে।
অ্যাগরিদম ব্যবহার এর ফলে, তাদের সময় অপচয় এবং পরিশ্রম অনেক বেশি পরিমাণের কমে যায়।
মনে করুন- এখন একটি সফটওয়্যার কোম্পানি আছে। যাকে একটি ব্যাংক এর জন্য অ্যাপস তৈরি করতে বলা হলো।
এখন সেই সফটওয়্যার কোম্পানি বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারে জন্য একটি সমস্যঅ যার সমাধান স্টেপ বাই স্টেপ ক্রম হিসেবে করা যাবে।
এক্ষেত্রে, যদি কোন ভুল বা সমস্যঅ হয়। তাহলে সেখানে সেগুলোকে ঠিক করে নেওয়া সম্ভব হয়। আর তাই এর মাধ্যমে অ্যাপ ডেভেলপ করতে অনেক সুবিধা হয়।
[wp_show_posts id=”3308″]
Mathematical Problem Solve
Mathematical Problem গুলোর সমাধান করার জন্য অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়।
মনে করুন- আপনি যদি জানতে চান যে, একটি সংখ্যা – ve না +ve? এখন আপনি এবং + চিহ্ন দেখেই বলে নিতে পারবেন। আপনি বুঝছেন যদিও, কিন্তু কম্পিউটার এই বিষয়ে কেমনে বুঝতে পারবে।
তাই এর জন্য আপনাকে লিখতে হবে একটি অ্যাগরিদম। যদি কোন সংখ্যা 0 থেকে বড় হয় তাহলে সেটি +ve নাম্বার এবং যদি কোন সংখ্যা 0 থেকে ছোট হয় তাহলে সেই সংখ্যা –ve নাম্বার হবে।
AI, space research
AI, Space research রোবটিক্স ইত্যাদি এই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে।
অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য
আমরা উপরের আলোচনা তে আগেই বলেছি যে, অ্যাগরিদম হচ্ছে একটি স্টেপ বা স্টেপ প্রক্রিয়া। এখন আমি আপনাকে জানাব, অ্যাগরিদম এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
[wp_show_posts id=”3303″]
Unambiguous – যে অ্যাগরিদম গুলো আপনি লিখবেন সেগুলো স্পষ্ট ও সঠিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রতিটি স্টেপ বা লাইনের কিছু মিনিং হওয়া অনেক জরুরী।
Finiteness – প্রতিটি অ্যালগরিদম কিছু সীমিত স্টেপ এর মধ্যে শেষ হয়। আর প্রতিটি স্টেপ সীমিত পরিমাণে রিপিট হয়।
Input – প্রতিটি অ্যালগরিদম এর মধ্যে 0 যা 0 থেকে অধিক সঠিক স্টেপ হতে হয়।
Output – যেরকম ভাবে অ্যালগরিদম এর ইনপুট স্টেপ হয়। ঠিক সেই ভাবে এর আউটপুট স্টেপ হওয়া অনেক জরুরী। কিন্তু আউটপুট অবশ্যই সেটাই আসা জরুরী যার জন্য আমরা অ্যালগরিদম লিখেছি।
Effectiveness – টাইম এবং স্পেস এর মাধ্যমে কার্যকারিতার অনুমান লাগানো সম্ভব। যদি অ্যালগরিদম কম টাইম এবং স্পেস এর মধ্যে লেখা হয়েছে কিংবা কম সময়ে এক্সিকিউট হয়েছে এবং কম স্পেস এ রান হয়ে থাকে। এটিকে এর Effectiveness বলা হয়।
আরো দেখুনঃ
- কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক (keyboard shortcuts)
- কম্পিউটারে ফ্রি ভিডিও গেমস ডাউনলোড করার ৫ টি সেরা ওয়েবসাইট [এখানে দেখুন]
- আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিভাগ [বিস্তারিত এখানে]
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই পোস্ট আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো – অ্যাগরিদম কি? অ্যাগরিদম নিয়ে লেখা আমাদের এই পোস্ট যদি আপনার কাছে, ভালো লাগে তবে, আপনার বন্ধুদের সাথৈ শেয়ার করে দিবেন।
তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টের সাথে জরিত আরো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
বিশেষ করে, আপনি যদি আমাদের সাইট থেকে নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চান। তাহলে নিয়মিত ভাবে ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।