ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব : আপনার যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে চান? তাহলে অবশ্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
কারণ আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা সম্পন্ন স্পষ্টভাবে, ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব ? এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং হচ্ছে এমন একটি লাভজনক স্কিল। যার মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করা যায়।
আপনি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া আরো অসংখ্য মাধ্যম রয়েছে। যে গুলো ব্যবহার করে, আপনারা সহজে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে, অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তাই বলতে গেলে বর্তমান সময়ে অনলাইন জগতে ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। তার জন্য আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজ ভালো করে শিখতে পারেন তবে একটি ভাল ক্যারিয়ার সৃষ্টি করে, নিতে পারবেন অবশ্যই অবশ্যই।
যদি সঠিক ভাবে দেখা যায় তাহলে, একজন সাধারন ভিডিও এডিটর বছরে মোটামুটি 5 থেকে 7 লাখ টাকা সাধারণ ফ্রীলান্সিং কাজগুলো করে আয় করতে পারেন।
আর এখানে আপনি যদি ভাবেন। যে, কিভাবে ভিডিও এডিটিং শেখা যাবে। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আমরা আর্টিকেলে আপনাকে ভিডিও এডিটিং শেখা সম্পন্ন পদক্ষেপ গুলো ধাপে ধাপে জানিয়ে দেবো।
ভিডিও এডিটিং কি ?
ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখতে হয়। সে বিষয়ে জানার আগে, আপনাদের ভিডিও এডিটিং এর বিষয়ে, গুরুত্বপূর্ণ স্পষ্টভাবে জেনে নিতে হবে।
ভিডিও এডিটিং হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়া যেখানে, একটি সম্পূর্ণ ভিডিও ফাইল বা মুভি তৈরি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ, ইমেজ এবং সাউন্ড, এডিট রিপ্লেস, এছাড়া সে গুলোকে একসাথে জোড়া বা যুক্ত করার কাজ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু সেগুলো আগে থেকেই এতটা আকর্ষণীয় থাকে না। কারণ ভিডিও গুলোকে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়।
ভিডিও এডিটিং এর প্রক্রিয়াকে যদি আরও সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় তবে, ভিডিও এডিটিং হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া ।
- মোবাইল দিয়ে ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার উপায় [বিস্তারিত এখানে]
- মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৭ টি এন্ড্রয়েড অ্যাপস ২০২৩
যেখানে একটি সাধারন ভিডিও ফাইল এবং ক্লিপটি কে কাট, ক্রম এবং স্প্লিট ইত্যাদি করে। সেখানে বিভিন্ন প্রকার এফেক্ট, সাউন্ড, এলিমেন্ট ইত্যাদি যুক্ত করে, ভিডিও ফাইল অনেক আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করা হয়।
তাই এই কাজ করার জন্য অনেক দক্ষতা এবং সঠিকতার প্রয়োজন। কারণ এখানে প্রতিটি সেকেন্ড এ সেকেন্ড এ ভিডিও কে এডিট করা লাগতে পারে।
তবে, এখান মনে হয় যে, আপনারা ভালো করে বুঝতে পারছেন ভিডিও এডিটিং মুলত কি। আর যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে উক্ত আলোচনাটি আরো একবার পড়ুন।
ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব ?
ভিডিও এডিটিং শেখা তেমন কোন কঠিন কাজ না। কিন্তু আপনাকে সম্পূর্ণ ভাবে, মনদিয়ে উক্ত কাজটি শিখার চেষ্টা করতে হবে।
ভিডিও এডিটিং শিখার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে হবে। এরকম ভাবে সঠিক নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে পারলে। আপনি বেসিক থেকে অ্যাডভান্স ভিডিও এডিটিংস্কিল গুলো খুব দ্রুত শিখে নিতে পারবেন।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে গেলে, আপনাকে শুরুতে এবং শেষ পর্যন্ত কি কি করতে হবে সে বিষয়ে। যেমন-
একটি এডিটিং সেটআপ তৈরি করুন
যেকোনো নতুন জিনিস শেখার জন্য আপনার কাছে এটি সেটআপ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেভাবে গিটার বাজানো শেখার জন্য আপনার কাছে একটা গিটার থাকা প্রয়োজন।
ঠিক সেরকম ভাবে, ভিডিও এডিটিং এর কাজ শেখার জন্য। আপনার কাছে, কাজ প্র্যাকটিস করার জন্য একটি সেটআপ অবশ্যই থাকতে হবে।
আপনি নিজের ঘর এর যেকোন রুমে। নিজের ভিডিও এডিটিং সেটআপ রাখতে পারেন। সেটাপের মধ্যে থাকবে, একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সাউন্ড সিষ্টেম, হেডফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ।
- অনলাইনে ভিডিও দেখে আয় | পেমেন্ট পাবেন বিকাশে
- ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার উপায়
- ছবি দিয়ে ভিডিও বানানোর অ্যাপস | ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার এখানে
আমরা জানি এমনিতে ভিডিও এডিটিং এর কাজ সরাসরি ইন্টারনেট এর কাজ তেমন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়।
কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন এফেক্ট, ক্লিপ, ইমেজ এবং টিউটোরিয়াল গুলো ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়।
তাছাড়া ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য আমরা মূলত, বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং উপায় গুলো ব্যবহার করে থাকি। তার জন্য একটি দ্রুত ইন্টারনেট সুবিধা অবশ্যই থাকা প্রয়োজন্
একটি ফ্রি বা পেইড কোর্স এর সাথে যুক্ত হতে হবে ?
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে চান? তাহলে অবশ্যই যেকোনো জিনিস রাখার জন্য আপনাকে, একজন দক্ষ ব্যক্তির থেকে জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
এখন সেটি আপনার উপর নির্ভর করবে যে, আপনি কিছু টাকা খরচ করে। প্রফেশনালদের থেকে শিখতে চান? নাকি ফ্রিতে বেসিক নলেজ পেতে চান? ভিডিও এডিটিং এর।
- ইউটিউব ভিডিওর জন্য ফ্রি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট
- ইউটিউব ভিডিওর জন্য নতুন টপিক কিভাবে খুজবেন ?
ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য বিষয়টি একই হয়ে দাঁড়াচ্ছে দেখুন। কাজ শেখার জন্য আপনাকে একটি ভালো ভিডিও এডিটিং কোর্স এর সাথে অবশ্যই সংযুক্ত হতে হবে।
এখন এটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ওপর যে, আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে ফ্রি ভিডিও এডিটিং টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো দেখবেন। নাকি Udemy প্লাটফর্মে কিছু টাকা খরচ করে, প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং শিখবেন।
আপনি যদি টাকা খরচ না করতে চান? তাহলে শুরুতে ইউটিউব থেকে আপনারা বেসিক ভিডিও এডিটিং এর কাজ গুলো শিখে নিতে পারেন। নিজের ঘরে বসে অনলাইনে।
একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
যেকোন ভিডিও এডিট করার জন্য আপনারা কি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দরকার হবে। এমনিতে ইন্টারনেটে অনেক ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আপনারা পেয়ে যাবেন।
কিন্তু আপনি যত ভালো এডিটিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে, ভিডিও এডিট করবেন এডিটিং এর ফলাফল ঠিক সেই রকম জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
এছাড়া একটি প্রিমিয়াম এডিটরের আপনারা অনেক এডভান্স ফিউচার এবং ফাংশন গুলো বিষয়ে জানতে পারবেন। যে গুলো হয়তো ফ্রী এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাবেন না।
আপনার ভিডিও এডিটিং এর কাজ প্রফেশনাল ভাবে শিখতে চান? তাহলে অনলাইন মার্কেটে অনেক অল্প দামে ভালো ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আছে। যে গুলো ব্যবহার করার পরামর্শ আমি আপনাকে দেবো। সেগুলো হচ্ছে-
- Adobe Premier Pro.
- After Effects.
- Final Cut Pro.
আপনি যদি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান তাহলে, Shotcut, Blender, OpenShot ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
উপরে আমরা যে প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানিয়ে দিলাম সেটি ছিল সেই ব্যক্তিদের জন্য। যারা নিজের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করা শিখতে চান।
কিন্তু এরকম অনেক মানুষ আছে যারা নিজের স্মার্টফোন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করতে আগ্রহ থাকে।
সেক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইলে ভিডিও এডিটিং শেখা জনপ্রিয় উপায় রয়েছে।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করবেন ?
আপনি যদি নিজের মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করা শিখতে চান। তাহলে অবশ্যই ওপরে আলোচনা করার সকল স্টেপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং এর সাথে যুক্ত হওয়ার একটি আপনাকে অবশ্যই ফলো করতে হবে। কারণ ডিভাইস যেকোনোটা ব্যবহার করছেন না। কেন কাজ শিখার জন্য আপনাকে একজন শিক্ষকের প্রয়োজন হবেই।
আপনি যদি ভিডিওটি শুধুমাত্র দেখতে অনুভব করতে বা কিভাবে কাজ করে এর বেসিক বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে টাকা খরচ করে, এগুলো করতে হবে না। আপনার মোবাইল থেকে একাজগুলো সহজে করতে পারবেন।
আমরা নিচে দেওয়া কিছু জনপ্রিয় মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলোর বিষয়ে জানিয়ে দেবে। যে গুলো মাধ্যমে মোবাইলে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর মজা গ্রহণ করতে পারবেন যেমন-
- Kinemaster apps
- Adobe Rushapps
- Flimora Go apps
- PowerDirector apps
- Quik apps
কিভাবে একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ খুঁজবেন ?
আপনারা উপরের আলোচনা অনুসরণ করার পর এখন ভালো করে কাজ শিখে নেওয়ার পরে। আপনি বিভিন্ন কোম্পানি এবং ক্লায়েন্টদের জন্য তাদের প্রজেক্ট গুলোতে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারেন।
তার জন্য আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ অনেক সহজে খুজে পাবেন। আপনারা নিজের চাকরির পাশাপাশি একজন ফ্রিল্যান্সার ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে পার্টটাইম উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়া, আপনি যদি চান ফুলটাইম হিসেবে ভিডিও এডিটরের কাজ করবেন। আপনারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ সম্পূর্ণ ফোকাস দিতে পারবেন।
একজন ফ্রিল্যান্সার ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ খোঁজার জন্য। বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গিয়ে কাজ করতে পারে যেমন-
- upwork
- freelancer
- fiverr ইত্যাদি।
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ভিডিও এডিটিং করে, অনলাইনে উপার্জন করতে চান। তাহলে উপরের দেওয়া মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ খুঁজে করতে পারবেন।
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো অনলাইনে?
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব : গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন। ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে। আমরা আশা করি আমাদের পোস্টের মাধ্যমে আপনি নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন।
ভিডিও এডিটিং আপনারা কিন্তু রাতারাতি শিখতে পারবেন না। কিন্তু নিয়মিত প্যাকটিস এর মাধ্যমে যখন নতুন নতুন টেকনিক গুলো জেনে যাবেন।
তখন একজন বেসিক এডিটর থেকে, এডভান্স লেভেলে কখন চলে আসবে, সেটি নিজেও বুঝতে পারবেন না।
তো বন্ধুরা যাইহোক আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।
বিশেষ করে, আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চান? তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।