দরখাস্ত লেখার নিয়ম

দরখাস্ত লেখার নিয়ম : বর্তমান সময়ে আমরা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে চারটি জীবন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়।

তবে আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানি না।

যার ফলে আমাদের নানাবিধির সমস্যা দেখা দেয়। দরখাস্ত এর ইতিকথা সৃষ্টি আদি যুগ থেকে এটির প্রচলন হয়ে আসছে।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম
দরখাস্ত লেখার নিয়ম

প্রাচীন ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়। বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন ধরনের দখাস্ত / আবেদন পত্রের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়।

তাই আপনারা যারা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে চান? তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করুন।

দরখাস্ত কিভাবে লেখবো?

দরখাস্ত লেখার অসংখ্য নিয়ম আছে। কেউ চাইলে চাকরির জন্য দরখাস্ত লিখতে পারেন। কেউ অফিসের বিশেষ প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে পারেন অফিস থেকে ছুটি নিতে দরখাস্ত লিখতে পারেন।

আবার শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের কাছে দরখাস্ত লিখতে পারেন।

এক্ষেত্রে দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন কারণ হতে পারে এবং দরখাস্ত করলে ভিন্ন ভিন্ন হবে। কিন্তু যে সকল দরখাস্ত থাকুক না কেন?

আপনি সঠিকভাবে একটি দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে পারলে। যে কোন দরখাস্ত খুব সহজে লিখতে পারবেন। কারণ প্রতিটি দরখাস্ত লেখার নিয়ম একই।

কেন দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানা দরকার ?

এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, কেন দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে, আমাদের চাকরি বা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ছুটের দরকার হয়। তাই আমাদের দরখাস্ত লিখতে হয়।

আপনি যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সেক্ষেত্রে ছুটির প্রয়োজন হলে, দরখাস্ত ছাড়া ছুটি পাওয়া যায় না।

তবে আমাদের দরখাস্ত এর সঠিক দরখাস্ত লেখার নিয়ম না জানার ফলে, আমরা চাইলেও দরখাস্ত লিখতে পারিনা। অনেকে দরখাস্ত লিখতে পারলেও সেটি গুছিয়ে লিখতে পারেনা।

[wp_show_posts id=”3303″]

আবার অনেক মানুষ আছে লোক লজ্জার হয়ে, কারো থেকে সহযোগিতা নিতে চায় না দরখাস্ত লেখার জন্য। যারা দরখাস্ত লেখা ছাড়া ছুটি কাটান। তাদের চাকরি ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম

দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনেক সহজ। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আপনারা চাইলে যে, কোন সময় দরখাস্ত লেখার নিয়ম কানুন গুগল সার্চ করে পেয়ে যাবেন।

যেহেতু আপনি গুগল থেকে অথবা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনার প্রয়োজনে এর দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহেতু আপনারা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জেনে নিতে পারবেন।

তো কিভাবে দরখাস্ত লিখবেন। সে বিষয়ে আপনাকে কিছু তথ্য অনুসরণ করতে হবে।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য

দরখাস্ত লেখার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। যেগুলো কোনক্রমে বাদ দেওয়া সম্ভব হবে না। আপনি যে কোন দরখাস্ত লিখেন না কেন দরখাস্ত লেখার সময় আপনাকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে দরখাস্ত লিখতে হবে।

আর দরখাস্ত লেখার সময় কি কি তথ্য অনুসরণ করে লিখতে হবে। সেগুলো হচ্ছে-

  • আবেদনের তারিখ সঠিকভাবে লিখতে হবে।
  • প্রাপক / যার কাছে দরখাস্ত করবেন তার নাম পদবী এবং ঠিকানা লিখবেন।
  • আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করবেন।
  • সম্ভাষণ, মহোদয়, জনাব, স্যার বা ম্যাডাম ইত্যাদি লিখবেন।
  • আবেদনের বিষয়ে অনুযায়ী গঠনমূলক বর্ণনা করবেন।
  • আবেদনকারীর নাম এবং ঠিকানা লিখবেন।

যেসব কারণে দরখাস্ত বাতিল হয়

বর্তমান সময়ে যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখেন কিন্তু তাদের দরখাস্ত বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়। কিছু কিছু ভুল বা ত্রুটির ফলে অনেক সময় দরখাস্ত বাতিল হয়।

[wp_show_posts id=”3308″]

তো দরখাস্ত লেখার নিয়ম আমাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে লিখতে হবে। তো কি কি কারণে দরখাস্ত বাতিল হয় সে বিষয়ে আপনাকে সংক্ষিপ্তভাবে বলে দিচ্ছি।

  • দরখাস্তের নির্ধারিত ফরমেট অনুসরণ না করলে বাতিল হয়।
  • দরখাস্ত এর নির্দিষ্ট ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ না করলে বাতিল হয়।
  • নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর না করলে বাতিল হয়।
  • এর নির্দেশনা মত ছবি না দিলে বাতিল হয়।
  • বয়স ঠিকমতো না অন্তর্ভুক্ত করলে বাতিল হয়।
  • আবেদনের নির্দিষ্ট ফি জমা না দেওয়ার ফলে বাতিল হয়।
  • অভিজ্ঞতা চাওয়া হলে সেটি না দিলে বাতিল হয়।
  • প্রমাণপত্র যে চাইলে সঠিকভাবে উপস্থাপন না করলে বাতিল হয়। ইত্যাদি।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম (নমুনা সমূহ)

আপনাদের কাজের ধরন অনুযায়ী বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম আলাদা আলাদা হয়। কেউ যদি চেষ্টা করে সব ধরনের দরখাস্ত একই নমুনা একসাথে শেয়ার করে দিতে পারবে না। কিন্তু দরখাস্ত এর ফরমেট কিন্তু একই ধরনের।

তারপরও সকলের সুবিধার জন্য সবচাইতে বহু ব্যবহৃত কয়েকটি দরখাস্তের নমুনা আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো। যেগুলো অনুসরণ করে আপনার প্রয়োজনীয় কাজে দরখাস্ত সাবমিট করতে পারবেন।

স্কুল এন্ড কলেজের দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখঃ ০৮/০৬/২০২৩ ইং
বরাবর
প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ
বিদ্যালয়ের নাম লিখবেন।

বিষয়ঃ বড় বোনের বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন।

জনাব,

যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি দশম শ্রেণীর একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। আমার রোল নং……….., শাখা………..। আগামী ১০/০৬/২০২৩ ইং তারিখে আমার বড় বোনের বিয়ের জন্য ০৭ দিন ছুটি প্রয়োজন।

অতএব, মহোদয় সমীপে আকুল আবেদন যে, উপরে উল্লেখিত বিষয়ের সুদৃষ্টি রেখে আমাকে সাত দিন ছুটি মঞ্জুরে সু-আজ্ঞা হয়।

নিবেদক

আপনার স্নেহময় ছাত্র
নাম লিখতে হবে
শ্রেণী- দশম
রোল- ০৫

উপরোক্ত নমুনা অনুযায়ী আপনারা খুব সহজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া আরো অন্যান্য কোন বিষয়ে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হলে, সব নিয়ম ঠিক রেখে আপনার বিষয়ের আঙ্গিকে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করবেন। তাহলেই দরখাস্ত পুরোপুরিভাবে হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত দরখাস্ত লেখার নমুনা অনুসরণ করে, খুব সহজেই দরখাস্ত লিখে প্রয়োজন এর কাছে ব্যবহার করতে পারেন।

তো আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লেখা নমুনা প্রকাশ করা রয়েছে। আপনার যে, ধরনের দরখাস্ত লেখা আবেদন লেখার প্রয়োজন হয় সেটি ভিজিট করে জেনে নিতে পারে।

ধন্যবাদ…

Leave a Comment