ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন বের করার নিয়ম : আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বা অন্য কোন তথ্য বের করতে আগ্রহী থাকেন।
তাহলে আজকে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
মনে করুন কোন কারণে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে, ফটোকপি কোন ডকুমেন্ট নেই সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন। এ বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত তাই তো!
তো বন্ধুরা চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা চাইলে, সহজেই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করে নিতে পারবেন।
আর জন্ম নিবন্ধন বের করতে পারলে। আপনারা সহজেই স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে। জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এবং এখান থেকে আপনারা ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে, জন্ম নিবন্ধন সনদ নাম্বার বের করে নিতে পারবেন।
- Nid একাউন্ট লক হলে করণীয় ?
- Nid সংশোধন আবেদন বাতিল করার উপায়
- NID Card হারিয়ে গেলে কি করবেন | স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় কি ? [রি-ইস্যু সমাধান]
বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা জন্ম নিবন্ধনের অরজিনাল কপি থাকার পাশাপাশি। অনেক গুলো ফটোকপি করে রাখে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাজে লাগানোর জন্য।
কিন্তু কোনভাবে আপনার জন্মনিবন্ধন নাম্বার আপনার কাছে নেই। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে ফেলেছেন। বা জন্ম নিবন্ধন সনদ একদম নষ্ট হয়ে গেছে, কোন কিছু বোঝা যায় না সব অস্পষ্ট।
এক্ষেত্রে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে, জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করার উপায় রয়েছে।
কারণ আপনি যখন জন্ম নিবন্ধন হানাদের নাম্বার ব্যবহার করে, জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করেছিলেন তখন সেটি সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল।
Nid সংশোধন আবেদন বাতিল করার উপায়
আর আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সানা পেয়ে যাবেন এবং নতুন ভাবে উত্তোলন করতে যাবেন তখন অবশ্যই পনর্মুদ্রণ করতে হবে।
তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক। ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে, জন্ম নিবন্ধন বের করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে।
ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন বের করার নিয়ম
তো বন্ধুরা আমরা যে নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করার উপায় জানিয়ে দেবো সেই নিয়মে আপনি যখন জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করতে পারবেন।
তখন সবার আগে আপনার সংগ্রহ করা সেই নম্বর দিয়ে, জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান করে আপনার জন্ম নিবন্ধনের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
তারপর আপনারা সেই তথ্য মতে, নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন বের করার নিয়ম
তো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি পাওয়ার জন্য আপনাকে, নিবন্ধনের অফিসিয়াল এই everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে তথ্য যাচাই করার জন্য।
সেখানে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্মতারিখ ব্যবহার করে, তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।
তারপর জন্ম নিবন্ধন পুনঃর্মুদ্রণের জন্য আবেদন অপশনে গিয়ে, প্রয়োজনীয় তথ্য যুক্ত করে আপনার আবেদন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নতুন জন্ম নিবন্ধন কপি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন
এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি জন্ম নিবন্ধন নম্বর কোনোভাবেই না থাকে। তবে তার একটি সমাধান করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনারা মনে রাখবেন। ইচ্ছা থাকলে, কিন্তু উপায় হয়। এবং সকল সমস্যার সমাধান কিন্তু রয়েছে।
তো আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর অবশ্যই ব্যবহার করেছিলেন। এবং সেই সনদের নাম্বার আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করেই সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বর্তমানে সকল কাগজপত্র অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে জন্য আপনার এই জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করার জন্য বিভিন্ন অফিসে বা বিভিন্ন কার্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি করার কোন প্রয়োজন হবে না।
নিজের ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে এবং জাতীয় পরিচয় তথ্য আপনার জন্ম নিবন্ধন এর অন্যান্য তথ্য বের করতে সহায়তা করবে।
তার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সামনে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd তে প্রবেশ করবেন।
তো এক্ষেত্রে আপনার যদি টেকনোলজি জ্ঞান মোটামুটি ভালো থাকে। এবং আপনি যদি ওপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট তৈরি করে রেজিস্টার করে রাখেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে
তবে আপনাকে শুধুমাত্র একাউন্টের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
এরপর সেখান থেকে বিস্তারিত প্রোফাইল নামে একটি অপশন দেখানো হবে।
আপনারা একটু নিচের অংশে গেলে, জাতীয় পরিচয় পত্রের যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। সেই সাথে আপনি যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে করেছিলেন।
সেহেতু অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়েছে। তাই আপনি সেখানে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার
এক্ষেত্রে কেউ যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট না খোলা থাকেন। সেক্ষেত্রে সেখান থেকে আপনারা ‘রেজিস্টার করুন’ অপশনে ক্লিক করে, নতুন একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নেবেন।
তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য দেখতে পারবেন। সেখান থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি সংরক্ষণ করে নিবেন।
আপনি যদি এই সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।
একাউন্ট রেজিস্টার করে বা লগইন করে, সহজেই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন বের করে নিতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করার নিয়ম জানতে চেয়েছিলেন।
তারা উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে সহজেই জন্ম নিবন্ধন নম্বর বের করে। স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয় হতে, নতুন করে জন্ম নিবন্ধন কপি উত্তোলন করতে পারবেন।
তো আমাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি কাজ করতে পারেন। তাহলে সহজেই আপনার হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেল এই পর্যন্তই, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আর ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত এবং জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত নতুন নতুন আপডেট পেতে, নিয়মিত ভিজিট করুন, ধন্যবাদ।