জনতা ব্যাংক লোন : বাংলাদেশ এর একটি জনপ্রিয় ব্যাংকের নাম হচ্ছে, জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর জনতা ব্যাংক লোন গ্রহণ করা অনেক লাভজনক।
জনতা ব্যাংক লোন এখানে লাভজনক বলতে আপনি যখনই কোন লোন প্রকল্প তাদের সাথে সম্পাদন করবেন। তখন অনেক সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি জনতা ব্যাংক লোন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। এবং লোন গ্রহন করতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমরা এখানে চেষ্টা করব জনতা ব্যাংক লোন সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রদান করা। তো চলুন আর দেরি না করে জনতা ব্যাংক লোন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত।
জনতা ব্যাংক লোন প্রকারভেদ
আপনি যদি জনতা ব্যাংক লোন নিতে চান? তবে 6 টি বিভিন্ন সেক্টরের নুন গ্রহন করতে পারবেন। মানে, ছয়টি বিভিন্ন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক লোন গ্রহন করতে পারবেন।
জনতা ব্যাংক লোন নেওয়ার যে, সকল সেক্টর আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হল। যেমন-
- পেনশন ভোগীদের জন্য বিশেষ ঋণ
- গৃহনির্মাণ লোন প্রকল্প
- পল্লী ঋণ প্রকল্প
- সকল পেশাজীবী’র জন্য জনতা ব্যাংক লোন
- শিক্ষা লোন কর্মসূচি
- গাভী পালন ঋণ কর্মসূচী
তো আপনার যদি জনতা ব্যাংক লোন গ্রহন করতে চান? তাহলে উপরোক্ত ক্যাটাগরি অনুযায়ী লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
তো চলুন এই প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
পেনশন ভোগীদের জন্য বিশেষ লোন
আপনি যদি যেকোনো একটি চাকরি এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন বা পেনশনভোগী হন তবে জনতা ব্যাংক এই সকল ব্যক্তিদের জন্য পেনশন সম্পর্কে বিশেষ লোন ব্যবস্থা চালু করেছে।
পেনশন ভোগীদের জন্য বিশেষ লোন সম্পর্কে কিছু তথ্য
- যে ব্যক্তি উক্ত লোন নেবে। সে ব্যক্তিকে অবশ্যই বিভিন্ন সরকারি চাকরি বা অন্য স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর নেওয়ার দলিল থাকতে হবে।
- উক্ত জনতা ব্যাংক লোন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেয়া যাবে।
- জনতা ব্যাংক লোনের সুদের হার ৯% পরিশোধ করতে হবে।
- লোন এর মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং ৬০ কিস্তিতে জনতা ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে হবে।
- প্রতি মাসে নিশ্চিত ভাবে জনতা ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে হবে।
[wp_show_posts id=”3308″]
পেনশন ভোগীদের জন্য বিশেষ লোন নেওয়ার জামানত
- যে ব্যক্তি জনতা ব্যাংক লোন নেবে সে ব্যক্তিকে অবশ্যই তার ব্যাংকের হিসাব জনতা ব্যাংকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
- যথাযথের মাধ্যমে লোন দেওয়া হবে এবং ব্যক্তির গ্যারান্টি দিতে হবে।
- ঋণ পরিশোধের নির্যাতাস্বরূপ যে ব্যক্তি ঋণ নেবে সে ব্যক্তির স্বামী, স্ত্রীর, পিতা-মাতা, সহদার ভাই, সাবালক সন্তান ইত্যাদি। তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।
- উক্ত প্রকল্প জনতা ব্যাংক লোন যেকোনো শাখায় থেকে নেওয়া যাবে।
গৃহনির্মাণ লোন প্রকল্প
আপনি যদি জনতা ব্যাংক থেকে লোন বিহা নির্মাণ লোন নেওয়ার চিন্তা করেন, তাহলে আপনাকে জনতা ব্যাংক লোন গ্রহণ গৃহনির্মাণ প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
তো চলুন আর দেরি না করে এখন জেনে নেয়া যাক। গৃহ নির্মাণ লোন প্রকল্পের ক্ষেত্রে কি ধরনের রিকুয়ারমেন্ট এবং লোনসীমা প্রযোজ্য হবে।
গৃহ নির্মাণ লোন নেওয়ার আদ্যোপান্ত
- যে ব্যক্তি রেহনির্মাণ লোন নিতে চাই। সে অবশ্যই বাংলাদেশ নাগরিক হতে হবে।
- উক্ত লোনের সীমা হচ্ছে মোট প্রকল্পিত প্রায় ৬০% মানে কোন একটি ভবন নির্মাণ করতে। যদি ১ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। তবে ব্যাংক থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নিতে পারবে।
- উক্ত গৃহ নির্মাণ লোনের সুদের হার ১১% চক্রবৃদ্ধি হারে।
- প্রতি মাসে কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করে দিতে হবে।
- এক বছর প্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ 15 বছর এর মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে।
- জামানত হিসাবে সংশ্লিষ্ট নির্মানাধীন ভবন এর রেজিস্টার্ড ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।
পল্লী লোন প্রকল্প
বৃত্তহীন এবং স্বল্প বৃত্ত পুরুষ এবং নারীদের জন্য জনতা ব্যাংক পল্লী লোন প্রকল্প চালু করেছে। যার মাধ্যমে বৃত্তহীন মানুষ পল্লী ঋণ প্রকল্প নিতে পারবে।
পল্লী লোন প্রকল্প এর আদ্যোপান্ত
- পল্লী লোন প্রকল্প হতে ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেয়া যায়।
- এ লোনের সুদের হার ৯%।
- কিস্তির ধরন নির্ধারিত করা হবে যে, ব্যক্তির লোন নেবে। সে ব্যক্তির বর্তমান আইকৃত টাকার পরিমানের মাধ্যমে।
- যে প্রকল্প এর জন্য আপনি টাকা নিবেন। সে প্রকল্প এর ধরন অনুযায়ী লোন নেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে।
- জামানত হিসেবে, তৃতীয় পক্ষ ব্যক্তির 50 হাজার টাকা দেওয়ার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি থাকতে হবে।
সকল পেশাজীবী জন্য জনতা ব্যাংক লোন
আপনি যদি সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তবে জনতা ব্যাংক লোন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উক্ত লোনের আদ্যোপান্ত
- যে কোন ব্যক্তির যত টাকা মাসিক বেতন পাবে সে বেতনের সর্বনিম্ন হিসাবে 12 গুন পর্যন্ত টাকার পরিমাণে লোন গ্রহণ করতে পারবে।
- উক্ত লোনের সুদের হার ৯%।
- প্রতি মাসে কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
- লোনের মেয়াদ হবে, দুই বছর থেকে চার বছর।
- উক্ত লোনের জামানত হিসেবে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র প্রযোজ্য।
শিক্ষা লোন কর্মসূচি
শিক্ষা লোন কর্মসূচি সেই ব্যক্তি নিতে পারবে। যে, ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংস্থা ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে দুই বছর রয়েছে তারা।
জনতা ব্যাংক শিক্ষা লোন সম্পর্কে
- উক্ত লোন নেয়কৃত ব্যক্তি কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।
- উক্ত লোনের সুদের হার ১১%।
- মাসিক এবং সেমিস্টার অনুযায়ী লোন পরিশোধ করতে হবে।
- উক্ত লোনের মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।
- যথাযথ মাধ্যমে সাক্ষরিত সরকারের ঋণগ্রহীত গ্যারান্টি দিতে হবে।
উপরোক্ত রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী একজন ব্যক্তির জনতা ব্যাংক শিক্ষালুন সার্ভিস উপভোগ করতে পারবে।
গাভী পালন লোন
কোন ব্যক্তি যদি কৃষিকাজে সরাসরি ভাবে নিযুক্ত থাকে, সে ব্যক্তি যদি প্রকৃত কৃষক হয়। তবে সে ব্যক্তি গাভি পালন ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।
গাভী পালন লোনের তথ্য
- একটি গ্যাপের জন্য 90 হাজার টাকা বাবদ সর্বোচ্চ চারটি দাবি ক্রয় করতে পারবে মানে ৯০ হাজার টাকা করে লোন দেয়া হবে।
- এক্ষেত্রে সুদের হার ৯%।
- ইস্তের ধরনের হিসেবে পাক্ষিক ও জামানতের কোন প্রয়োজন নেই
তো আপনি যদি জনতা ব্যাংক প্রকল্প লোন গ্রহণ করতে চান। তাহলে উপরোক্ত যে কোন ক্যাটাগরি নির্বাচন করে লোন গ্রহণ করতে পারেন।
আমরা এখানে জনতা ব্যাংকের সকল প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো জনতা ব্যাংক লোন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
তো আপনি যদি জনতা ব্যাংক হতে লোন গ্রহন করতে চান। তাহলে উপরোক্ত যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে, লোন গ্রহণের জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
তো, আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো। আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে, জনতা ব্যাংক লোন সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের জানাতে, একই সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।