Nid Wallet এর কাজ কি : বর্তমান সময়ের যারা অনলাইন থেকে এনআইডি সার্ভিস নিয়েছেন। তারা অবশ্যই এনআইডি ওয়ালেট এর সাথে পরিচিত।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় এনআইডি ওয়ালেট এর দরকার হয়।
তবে যারা অনলাইন থেকে এখনো এনআইডি সার্ভিস গ্রহণ করেনি ভবিষ্যতে নেবেন। তাদের কাছে এনআইডি ওয়ালেট নামটি অপরিচিত মনে হতে পারে।
তাই তাদের উদ্দেশ্য করে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করা হয়েছে।
আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব এনআইডি ওয়ালেট কি ? এবং Nid Wallet এর কাজ কি ?
তো আপনি যদি এনআইডি ওয়ালেট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
Read More: Bangladesh National ID card check online
Nid Wallet কি?
Nid Wallet হলো একটি মোবাইল অ্যাপস। এই এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ডেভেলপ করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ।
আপনারা জানেন বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে এন আইডি কার্ডের প্রায় সকল সার্ভিস গ্রহণ করা যায়।
অনলাইন থেকে সহজে এন আইডি সার্ভিস পেতে, নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে। এনআইডি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়।
এনআইডি অ্যাকাউন্ট লগইন করে প্রয়োজনীয় মতে, এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা। এনআইডি কার্ড আবেদন। এছাড়া এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করা যায়।
সেই লোকে এনআইডি একাউন্টে বাংলাদেশি নাগরিক এর ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এজন্য একজন ব্যক্তির এন আই ডি অ্যাকাউন্টে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যাতে, অন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন না করতে পারে।
সেজন্য এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমটি ওয়ালেটের মাধ্যমে সিকিউর করা হয়।
আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন এনআইডি ওয়ালেট মূলত কি।
Nid Wallet এর কাজ কি ?
অনলাইনের মাধ্যমে এন আইডি একাউন্ট তৈরি করার সময় আবেদনকারীর মুখ/ ফেস ভেরিফাই করার দরকার হয়।
এন আই ডি ওয়েবসাইটে থাকা ছবির সাথে আবেদনকারীর ফেস ভেরিফাই করার জন্য এন আই ডি ওয়ালেট অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।
মানে এনআইডি ওয়ালেট এর মূল কাজ হচ্ছে ফেজ ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে সঠিক ব্যাক্তিকে সনাক্ত করা।
এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার প্রথমে এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে পরবর্তী ধাপে যাওয়া যায়। আর দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করতে হয়।
তারপরের ধাপে আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার দিয়ে বার্তা প্রেরণ করতে হয় এবং মোবাইলের 6 ডিজিট যাচাই করার কোড চলে আসে। আর সেই কোড দিয়ে সাবমিট করলে একটি QR কোড দেখানো হয়।
এন আইডি ওয়ালেট এর মাধ্যমে QR কোড স্ক্যান করার পরে, এন আইডি ওয়ালেট এ আবেদনকারী ফেস স্ক্যান করতে হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ডের সার্ভারে থাকা সবের সঙ্গে আবেদনকারীর ফেস মিল পাওয়া গেলে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়। তারপর পেজটি রিডাইরেক্ট হয়ে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যায়।
এছাড়া প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হলে কি কি করণীয় সে বিষয়ে এই ধাপের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আকারে বিবরণ দেওয়া রয়েছে।
অ্যানাডিক একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সময়, QR কোড স্ক্যান করে ভয়েস স্ক্যান করা পর্যন্ত ওয়ালেট এর কাজ শেষ।
আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন। এনআইডি ওয়ালেট এর মূল কাজ কি ? আর যদি এ বিষয় না বুঝে থাকেন তাহলে উপরোক্ত আলোচনাটি আরো একবার পড়ে নিন।
Nid Wallet Apps ডাউনলোড করার নিয়ম
এন আই ডি ওয়ালেট অ্যাপটি অনেক শক্তিশালী। অনেক সহজে পাওয়া যায় এবং এর ফাইল সাইজ অনেক ছোট হয়। তাই আপনাকে পরামর্শ প্রদান করছি এন এ ডে ওয়ালেট আপনারা কখনোই এপিকে ফাইল ডাউনলোড করবেন না।
এনআইডি ওয়ালেট ডাউনলোড করার প্রয়োজন হলে সরাসরি আপনার মোবাইল থেকে গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ করবেন এবং এনআইডি ওয়ালেট লিখে সার্চ করবেন। তাহলে দেখবেন এনআইডি ওয়ালেট অসংখ্য অ্যাপ চলে এসেছে।
আপনারা সেখান থেকে যেকোনো একটি অ্যাপ সিলেক্ট করে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবেন তাও আবার একদম বিনামূল্যে।
আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করার জন্য একটি লিঙ্ক যুক্ত করে দিব। সেখানে ক্লিক করে আপনারা সহজে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
ডাউনলোড করুন- Nid Wallet Apps
Nid Wallet ছাড়া Nid Account করা সম্ভব কি ?
বর্তমান সময়ে অনেকে অনলাইনে খোঁজার চেষ্টা করে যে, এনআইডি ওয়ালেট ছাড়া এনআইডি অ্যাকাউন্ট করা সম্ভব কি?
তো এনআইডি একাউন্ট করতে চাইলে, যার একাউন্ট সেই ব্যক্ত ‘র উপস্থিতিতে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। সেজন্য এনআইডি ওয়ালেটের মাধ্যমে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমটাকে সিকিউর করা হয়।
মূলত ব্যক্তি উপস্থিত না থাকলে এনআইডি অ্যাকাউন্ট করা সম্ভব হবে না। তার কারণ এনআইডি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় আবেদনকারীর ফেস ভেরিফাই করার দরকার হয়। ফেস ভেরিফাই সম্পন্ন না হলে অনলাইন এর মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করা যাবে না।
তবে বর্তমান সময়ে দেখা যায় কিছু অসদুপায় অবলম্বন করে, আবেদনকারীর উপস্থিতি ছাড়াই অনলাইনে এনআইডি একাউন্ট তৈরি করে যাচ্ছে।
আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানানো হবে কিভাবে আপনারা আবেদনকারের অনুপস্থিতিতেই এনআইডি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
কিন্তু আমি কখনোই আবেদনকারীর উপস্থিত ছাড়া এনআইডি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরামর্শ দেবে না।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো এনআইডি ওয়ালেট কি ? এবং Nid Wallet এর কাজ কি এ সম্পর্কে।
আপনি যদি নিজে নিজে, এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে চান? সে ক্ষেত্রে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে ফেস ভেরিফাই করে। সহজেই অনলাইনে এনআইডি কার্ড আবেদন করতে পারবেন।
তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
ছাড়া, আমাদের এই একই ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি কার্ডের নতুন নতুন তথ্য জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।