ব্যবসা কি : আমরা যখন মুনাফা লাভের আশায় বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন ও বন্টন সহ সকল বৈধ অর্থনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত হয়। তখন সে কাজটাকে বলা হয় ব্যবসা। বর্তমান সময় অনেকে আছে যারা ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা জানেনা তাই আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাতে চাচ্ছি ব্যবসা কি এবং ব্যবসা কাকে বলে ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি।
আপনি যদি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তবে আমার জন্য আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ব্যবসা এমন একটি বিষয় যা কাজে লাগিয়ে লোকেরা প্রচুর পরিমাণে টাকা লাভ করে থাকে। আপনিও যদি তাদের মত প্রতিমাসে কিছু পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে চান, তবে যার সাথে যুক্ত হতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
এমন একটি বিষয় পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ উৎপাদন বা অর্জনের দিকে পরিচালিত কার্যকলাপ একটি ব্যবসায় একটি বাণিজ্যিক ক্রিয়া-কলাপ বা মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের সাথে জড়িত। একটি প্রাণ একটি সংস্থা বা সস্তা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পণ্য দ্রব্য ও সেবা কর্ম কেনাবেচা করে এটি দেশের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা লাভ করা।
ব্যবসা কি?
ব্যবসা হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দ্রব্য নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে মানুষের চাহিদা পূরণ করা কে বলা হয় ব্যবসা। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনি অল্প পরিমাণ পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
বর্তমানে চাকরির পেছনে ছোটাছুটি না করে তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে আপনিও যদি ব্যবসা করে উন্নতি করতে চান তবে আপনিও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা শুরু করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন আমরা আশাকরি উক্ত আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্যবসা কি।
আপনি যদি না বুঝে থাকেন তবে উক্ত আলোচনা করে আবারো পড়েনি কারণ ব্যবসা হচ্ছে কোন বিষয়ের উপর মানুষের চাহিদা পূরণ করার জন্য যে সকল পণ্য বা প্রোডাক্ট গুলো মানুষের কাছে প্রদান করা হয়। কিছু টাকা লাভের আশায় সেই পদ্ধতিকে বলা হয় ব্যবসা।
ব্যবসা কাকে বলে ?
এমন একটি বিষয়কে বোঝানো হয় যেখানে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট মানুষের চাহিদা পূরণ করার জন্য বিক্রি করার মাধ্যম কে বলা হয় ব্যবসা। যখন কোন ব্যবসা শুরু করবেন তখন অবশ্যই আপনার কিছু প্রতি প্রয়োজন হয় যখন এ বিষয়গুলো আপনি পূরণ করতে পারবেন তখনই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি যদি নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বা কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে পরামর্শ নিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করেন তবে সেই ব্যবসাতে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
- ঘরে বসে অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা করে আয়
- অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য [বিস্তারিত এখানে]
- লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২২
- ড্রপশিপিং ব্যবসা করে আয় করার উপায় [জেনে নিন এখানে]
ব্যবসায়ার বৈশিষ্ট্য কি ?
আমরা আপনাদের জানিয়েছি ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা কাকে বলে আপনি যদি বিষয়গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন তবে আপনি সেই বিষয়গুলোর মাধ্যমে ব্যবসা সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আমরা আপনাদের জানাব ব্যবসার কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে আপনি যদি সে বিষয়গুলো জানতে চান তবে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি ভালো ভাবে অনুসরণ করুন।
ব্যবসার বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে-
পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়: আমরা সব সময় সকল ব্যবসায়ী পণ্য দ্রব্য ও পরিষেবা কেনাবেচার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসার মুনাফা লাভ করা হয়ে থাকে। যখনই কোনো পণ্য ও পরিষেবা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পূরণ করতে হয় তখনই আপনি সেই সকল পণ্য দ্রব্য গুলো অল্প টাকায় ক্রয় করে মানুষের কাছে কিছু টাকা লাভের আশায় বিক্রি করতে পারেন।
- পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়
- লেনদেনের পৌনঃপুনিকতা
- মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন
- ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা
- ক্রেতা এবং বিক্রেতা: হোয়াটসঅ্যাপ
- উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ততা
- পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম
- মানুষের চাহিদা পূরণে সক্ষম
- সামাজিক দায়বদ্ধতা
ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি?
আপনি উক্ত আলোচনা থেকে ব্যবসা সম্পর্কে অনেক ধারণা নিতে পেরেছেন এবং ব্যবসায় কি ব্যবসা কাকে বলে এবং ব্যবসার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি। আপনি যদি উক্ত বিষয় গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন। আপনিও ব্যবসার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন ভক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আপনি যদি সঠিকভাবে বুঝে থাকেন, তবে আপনিও একটি যার সাথে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবেন।
আপনি যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে বুঝে থাকেন তবে এখন আমরা আপনাকে জানাতে যাচ্ছি ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি। মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসা হচ্ছে মূলত ০৫ প্রকার যেমন-
মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় ০৫ প্রকার :
- একমালিকানা ব্যবসায়
- অংশীদারি ব্যবসায়
- যৌথ মূলধনী ব্যবসায় বা কোম্পানি সংগঠন
- সমবায় সমিতি
- রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়
আরো দেখুনঃ
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায় [বিস্তারিত এখানে]
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোন গুলো ২০২২
- গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার উপায় [রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা]
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা মাত্র ২০ হাজার টাকায় [বিস্তারিত এখানে]
একমালিকানা ব্যবসা- একমালিকানা ব্যবসায় একজন বা একক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে সেই ব্যবসাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলা হয়। একমালিকানা ব্যবসায় মাধ্যমে বিশ্বের ব্যবসায়ী ক্রিয়া-কলাপ শুরু হয়েছিল তাই এই ব্যবসাকে প্রাচীনতম ব্যবসায় সংগঠন বলা হয় এছাড়া একমালিকানা সংগঠন ব্যবসা জগতে বয়জ্যেষ্ঠ হিসেবেও বলা হয়। যখন কোন ব্যক্তি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করবে তখন একমালিকানা হিসেবে যাত্রা শুরু করলে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অংশীদারি ব্যবসা- যখন কোন ব্যবসা শুরু করতে যাবেন এবং যে ব্যবসা গুলো শুরু করার জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। তখন আপনাদের অবশ্যই অংশীদারি হিসেবে ব্যবসার পদ্ধতি শুরু করতে হবে। কারণ একত্রে মিলিত হয়ে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অংশীদারি ব্যবসা শুরু করতে হয় আর এই ব্যবসা কে বলা হয় অংশীদারি ব্যবসা।
যৌথ মূলধনী ব্যবসা বা কোম্পানি গঠন– যখন আপনার কোন ব্যবসা শুরু করবেন। একাধিক ব্যক্তি 76 মুনাফা লাভের লক্ষে কোম্পানি আইনের অধীনে যে ব্যবসা সংগঠন শুরু করতে হয়। তখন তাকে বলা হয় যৌথ মূলধনী ব্যবসা।
আমরা আলোচনায় চলেছি এক মালিকানা এবং অংশীদারি ব্যবসার মূলধন এর সীমাবদ্ধতা কিভাবে সীমাবদ্ধতা আইনগত সীমাবদ্ধতা ও অসীম দায় থেকে মুক্তি পেতে কোম্পানির সংগঠনের যৌথ মূলধনী ব্যবসায় ভূমিকা সৃষ্টি হয়। কোম্পানি সংগঠন একটি আইনগত ও সংগঠন বা কোম্পানি আইন আওতায় সংঘটিত হয়ে থাকে।
সমবায় সমিতি– অল্প সম্পন্ন পেশার মানুষ স্বেচ্ছায় নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে সঙ্গবদ্ধ হয়ে সমঅধিকারে সমবায় আইন এর আওতায় যে সংগঠন গড়ে তোলে তাকে সমবায় সমিতি বলে। অর্থ হচ্ছে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত প্রথম সমবায় সমিতি 1944 ইংল্যান্ডের রচডেল স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অল্প কতিপয় ব্যক্তি পারস্পারিক অর্থনৈতিক কল্যাণ এর উদ্দেশ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ ও অধিকারের ভিত্তিতে সমবায় সংগঠন সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশ সমবায় আইন 2001 সমবায় বিধিমালা 2004 এর আওতায় সমবায় সমিতি সংগঠন ও পরিচালিত হয়।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসা– বর্তমান সময়ে এছাড়া রাষ্ট্রীয় ব্যবসার সাথে জনগণের কল্যাণের স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে সরকার কর্তৃক গঠিত পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসা বলা হয় রাষ্ট্রীয় ব্যবসা। সরকারের নিয়ম-কানুন ও সরকারি উদ্যোগে গঠিত হয় রাস্ট্রপতির বিশেষ আদেশ ও বাংলাদেশের আইনসভা বিশেষ আইন বলে অর্থ বেসরকারি ব্যবসা কে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হতে পারেৃ। কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক বিটিআরসি বাংলাদেশ রেলওয়ে মতো আরও অনেক ধরনের ডিপার্টমেন্ট।
আপনারা যদি উক্ত আলোচনাটি সঠিকভাবে পড়ে থাকেন তবে আপনিও ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে ধারণা পেয়ে গেছেন। আপনি যদি ব্যবসা জানার বিষয়ে একেবারে নতুন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তবে আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা গুলো পেয়ে গেছেন।
আরো দেখুনঃ
- রিসেলার ব্যবসা কি ? রিসেলার ব্যবসা করে আয় করার উপায়
- ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার উপায় | ফার্মেসি ব্যবসা বাংলাদেশ
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারলেন ব্যবসা কি ব্যবসা কত প্রকার? ব্যবসা কাকে বলে? ইত্যাদি। আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি ভালো ভাবে অনুসরণ করেন তবে আপনিও ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনি যদি ব্যবসা করতে ইচ্ছুক হন তবে আমাদের লেখা গুলো অনুসরণ করে। আপনি যে কোন ব্যবসা সহজেই শুরু করতে পারবেন এবং মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য গুলো অল্প পরিমাণে টাকায় ক্রয় করে ডবল দামে বিক্রি করতে পারবেন।
কারণ কোন ব্যবসা শুরু করতে হলে সেই ব্যবসাতে কিছু প্রয়োজন হয় যখন আপনি ব্যবসার জন্য উপযুক্ত পুঁজি কাটাতে পারবেন তখন আপনি সেই ব্যবসাতে ভালো পরিমাণে টাকা লাভ করতে পারবেন। আপনি যদি ব্যবসা সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক ধরনের ব্যবসার আইডিয়া আপলোড করা রয়েছে চাইলে আপনি সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া প্রতিদিন একবার হলেও ভিজিট করুন আমরা এখানে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা আপলোড করে থাকি। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।