ডিজিটাল মার্কেটিং মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করাটা এখন বাংলাদেশের একটি বড় ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তামানে পৃথিবীর সকল কিছু আজ হাতে মুঠোয়। আমাদের দেশটি হলো ডিজিাল। তারই প্রেক্ষিতে কাজ গুলো ধাপে ধাপে ডিজিটালে রূপ নিচ্ছে।
আমাদের এই পেজে আপনাকে দেখাবো ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন? এই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে যাবতীয় তথ্য দেখাবো। তাই উক্ত তথ্য গুলো জানতে আপনি আমাদের এই পেজের পুরো আর্টিকেল মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি পূর্ণঙ্গ ধারনা পাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং দুইটি শব্দের মাধ্যমে গঠিত। প্রথম শব্দটি হলো ডিজিটাল।ডিজিটাল অর্থ হলো আধুনিক। দ্বিতীয়টি হলো মার্কেটিং অর্থ হলো প্রচার ও বিজ্ঞাপন। মানুষকে কোন কিছু জানানোকে মার্কেটিং বলে। উক্ত দুইটিকে এক সাথে মিলিয়ে বলতে গেলে বলা যায় আধুনিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রচার বা বিজ্ঞাপন করাকেই মার্কেটিং বলে।
উক্ত ডিজিটাল মার্কেটিং গুলো অনলাইনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে মার্কেটিং এর কাজ করার যায়। এই মাধ্যম গুলোকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে ?
এই উপরোক্ত কথা গুলা শুনে হয়তো বুঝতে পারছেন মার্কেটিং কি। কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে হয় তার বিস্তাতি তথ্য জানতে আমাদের এই পেজের পুরো আর্টিকেল মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং
আমরা উক্ত আলোচনায় দেখিয়েছি মার্কেটিং কি। আপনি অবশ্যই উক্ত আলোচনাতে কিছু হলেও ধারণা পেয়েছেন। এখন আপনাদের বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে জানাব।
আমরা জানি ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করা যায়। এখন সময় হলো কি করে কোথায় মার্কেটিং করবেন। এ সম্পর্কে জানতে নিচের অংশ গুলো দেখুন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার করার ইচ্ছা থাকলে প্রধমেই আসবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এ বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করবো। সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হলো সাধারণ ভাবে বলতে গেল সোশ্যাল মিডিয়ার অর্থ হলো সামাজিকতা। আমরা বর্তমানে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে পায় যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইস্ট্রাগ্রাম ইত্যাদি।
উপরিউক্ত মাধ্যম গুলোকেই সোশ্যাল মিডিয়া বলে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে সোশ্যাল মার্কেটিং মানে কি? সোশ্যাল মিডিয়া মানে হলো আপনি কোন জিনিস বা পণ্য হতে পারে সেই গুলো ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে মানুষের সামনে তোলে ধরা বা প্রচার করাকে বুঝায়।
তবে তাই যদি হই জেনে নেয়া যাক বর্তমানেক কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি পরিমাণের কাজ রয়েছে। প্রথমে বলতে গেলে বলা যায় ফেসবুক। কারণ বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ?
এই সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বের অধিকাংশ লোক ব্যবহার করে। আপনি যদি কোন কোম্পানির সাথে কাজ করেন তাহলে তাদের কাছে কোম্পানি প্রডাক্ট বা পণ্য সেল করার জন্য আপনি ফেসবুক ব্যবহার করে সেখানে মানুষের কাছে প্রচার করে কোম্পানি মালিকদের কাছে কমিশন নিতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম
বর্তমানে সব চেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইমেইল মার্কেটিং। বর্তমানে অনেক মার্কেটপ্লেস আছে সেখানে অনেক লোকের সাহায্যে ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ করানো হয়। বর্তমান দেখা যায় অনেক প্রতিষ্ঠানই এই মার্কেটিং নিয়ে কারছেন। তাদের ব্যবসায় আয় বাড়ানোর জন্য ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করছেন।
বর্তমানে অনলাইন জগতে সব কিছু হাতে মুঠোয়। তাই আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য দ্রব্য প্রচার করতে চান তাহলে সব চেয়ে ভালো মাধ্যম ইমেইল মার্কেটিং। এর ফলে আপনাকে অন্যের দোকানে দোকানে গিয়ে পণ্যের প্রচারনা চালাতে হবে না ঘরে বসেই ইমেইল মার্কেটিং করে প্রচারণার কাজ চালাতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
ফ্রিল্যান্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয়
বর্তমানে একটি পরিসংখ্যান করে দেখা যায় যে, বিশ্বে প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষ ইমেইল ব্যবহার করে। এবং প্রতিটি লোক দৈনিক একবার হলেও তাদের মেইল চেক করেন। তাই আপনি যদি প্রতিষ্টানের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস প্রচার করতে চান তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন।
আপনারা হইতো বুঝতে পারছেন ইমেইল মার্কেটিং কি ভাবে করতে হয়। আশা করি বুঝতে পারছেন। আর যদি না বুঝে থাকেন তবে উপরের অংশটি আবারো দয়া করে পড়ুন।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও)
ডিজিটাল মার্কেটিং করার আরেকটি আকর্শনীয় উপায় হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেন যাকে বলা হয় (এসইও)। এসইও কি এবং এসইও দিয়ে কি কাজ করা হয় তা নিয়ে আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে চিন্তা নেই আমাদের এই পেজে এসইও এর কাজ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এসইও মূলত সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম মেনে কোনো আর্টিকেল/কন্টেন্ট বা ওয়েবসাইট টপিককে গুগলেরর প্রথম পাতা বা শুরুতে নিয়ে আসা কে বুঝানো হয়।
মোট কথা হলো গুগলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ফলাফল পেতে একটি আর্টিকেল/কন্টেন্ট এর র্যাংক করানোর জন্য এসইও করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করুন সম্পূর্ণ ফ্রীতে [বিস্তারিত এখানে]
বর্তমানে দেশে ও দেশের বাহিরে অনেক কোম্পানি রয়েছে তারা তাদের প্রডাক্ট বা পণ্য প্রচারের জন্য মূলত ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে। আর তাদের এই প্রচারণার সাইট গুলো গুগলের প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য এসইও করে থাকে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং করে আয়
এখানে কন্টেন্ট বলতে বোঝানো হয়েছে বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুক পোস্ট, ওয়েবাসাইট কন্টেন্ট বা ব্লগ পোস্ট গুলোকে। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রথম দিকে কোনো রকম মার্কেটিং করে টাকা ইনকামের ধান্দা করা যাবে না।
এখানে প্রথম প্রথম যে কাজটি করতে হবে তাহলো ভালো ভালো কবিতা গল্প বিনোদন ইত্যাদি দিয়ে পাঠকদের ভিউ করাতে হবে। যখন আপনার কন্টেন্ট গুলো দর্শক পড়ে আনন্দিত হবে তখন আপনার ইনকাম করার কন্টেন্ট প্রকাশ করতে থাকবেন।
আপনি এক পর্যায়ে দেখতে পারবেন ভালো ভালো বিনোদন মুলক কন্টেন্ট পড়ার পরে দর্শকরা আপনার কন্টেন্ট পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকবে। তখন আপনি আপনার ব্যবসার জন্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পন্য দ্রব্য নিয়ে প্রচারণা করতে পারবেন।
আশা করি উক্ত কথা গুলো শুনে বুঝতে পারছেন কন্টেন্ট মার্কেটিং কি। এবং কিভাবে এখানে কাজ করে দর্শকদের আকর্শীত করা হয়।
কেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করবেন?
আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে যে. ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন। আপনি যদি চোখ খোলে তাকান তাহলে বুঝতে পারবেন কেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন।
বর্তমানে সাড়া বিশ্বের সকল কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান গুলো যে কোন মার্কেটিং করার জন্য মার্কেটিং এর উপার নির্ভরশীল।
আপনি যদি একজন মার্কেটার হতে পারেন তবে কাজের অভাব নেই। আপনি যদি চান দেশের কোম্পানি গুলোতে কাজ করবেন বা বিদেশের কোম্পানি গুলো কাজ করবেন আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তবে সব জায়গায় আপনি প্রাধান্য পাবেন।
আপনার যদি নিজের কোন প্রতিষ্ঠান থাকে তবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে ব্যবসার উন্নতি করতে পারবেন অল্প সময়ের মধ্যে। তাই আপনার ব্যবসাকে উন্নত করতে কাজে নেমে পড়ুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার উপায়?
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। কি কি কাজ করতে পারবেন তা আমরা উপরের অংশে অনেক কিছু বলেছি। আশা করি বুঝতে পারছেন। এখন প্রশ্ন হলো মার্কেটিং কিভাবে শুরু করা যাবে।
আপনি যদি মার্কেটিং শুরু করতে চান তাহলে উক্ত সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে যাবেন না। কারণ একটি বিষয় নিয়ে আপনি এগোতে থাকলে সহজেই উন্নতি করতে পারবেন।
তাই আপনাকে কোন একটি নির্দিষ্ট মার্কেটিং সেক্টর বাছাই করে নিতে হবে। যেমন হতে পারে ফেসবুক আপনি এখান থেকে আপনার মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কেন একটি লাভজনক ক্যারিয়ার
উক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া যদি অন্য কোন মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করতে চান তবে আপনাকে এ বিষয়ে কোর্স করতে হবে।
আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং করার যখন ইউটিউবে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেই সকল ভিডিওতে কিছু কোর্স রয়েছে সেই কোর্স গুলো করে আপনি দ্রুত ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে লিপ্ত হতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
উক্ত আলোচনায় আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কিছু মাধ্যম প্রকাশ করেছি আপনি যদি উক্ত বিষয় অনুসারে কাজ করতে পারেন তবে আপনিও একজন ভালো মার্কেটার হতে পারবেন।
উপরিউক্ত মার্কেটিং করে ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করতে চাইলে আপনি মনযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি আবারো পড়তে পারেন।
আপনার যদি পোস্ট পড়ে কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
ট্যাগ: ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং।
অনলাইন কাজের সমাধান জানতে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
পেজটি পরে খুব ভালো লাগলো,,