আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা : আউটসোর্সিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে কোন ব্যবসা যেখানে সম্ভব সেখানে টাকা এবং সময় সাশ্রয় করা যায়।
এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং এর যেমন কিছু ভালো সুবিধাও রয়েছে, আবার তেমনি কিছু অসুবিধা রয়েছে।
এজন্য অনেকেই যারা আউটসোর্সিং এর সাথে সম্পৃক্ত। তারা অনেকে জানতে চায় আউটসোর্সিং এর সুবিধা গুলো কি আবার আউটসোর্সিং এর অসুবিধা গুলো কি?
আপনিও যদি এ বিষয়ে জানতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
- নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭ টি টিপস
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি | এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
কারণ আমরা এখানে আপনাকে ধাপে ধাপে জানিয়ে দেবো। আউটসোর্সিং এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে। যা থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন আউটসোর্সিং এর বিস্তারিত।
আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
আমরা জানি প্রতিটি বিষয়ের একটি ভাল দিক থাকে আর একটি খারাপ দিক থাকে। সেরকমভাবে আউটসোর্সিং এরও কিছু সুবিধা আছে আবার শেষ সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে।
তো আউটসোর্সিং এর সুবিধা গুলো কি এবং অসুবিধা গুলো কি এ বিষয়ে জানতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।
আউটসোর্সিং এর সুবিধা
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বায়ার কোন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক দামে এমনকি কখনো কখনো অল্প পরিমাণের পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নিতে পারে। যা হয়তো নিয়মিত কর্মীদের মাধ্যমে করিয়ে নিলে অনেক বেশি খরচ হয়।
অনেক জটিল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়া হয় জন্য কাজের মান উন্নত। ফ্রিলেন্সার পরবর্তী কাজ পাওয়ার আশায় প্রতিটি কাজের নিজস্ব দক্ষতার ছাপ রাখেন। তাই কাজের মান অনেকটাই ভালো থাকে।
পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে কাজ করিয়ে নেয়া যায় এজন্য, প্রচলিত কর্মের কোন প্রয়োজন পড়ে না।
বায়ার’রা খন্ডকালীন রূপে কাউকে কাজের জন্য নিয়োগ দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার নিজের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ পান। যার ফলে অনেকে পুরনোকালীন চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে, খন্ডকালীন চাকরি হিসেবে আউটসোর্সিং এ সংযুক্ত থাকতে পারে।
আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কর্মদাতা কে কোন অফিস নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যার ফলে অবকাঠামো বিভিন্ন সুবিধা যেমন- কর্মীর বসার জায়গা, উন্নত মানের কম্পিউটার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রয়োজন পড়ে না। এতে করে খরচ অনেকটাই কম।
বায়র’রা টাইম জনের সুবিধা থেকে কাজে লাগাতে পারে। পৃথিবীর এক প্রান্তে যখন রাত থাকে তখন অন্য প্রান্তে দিন। এরকম ভাবে বিভিন্ন আউটসোর্সিং এর কাজ ফ্রিল্যান্সাররা সকালে কাজ করতে পারে।
আর বায়ার’রা যখন ঘুমিয়ে থাকে। এতে করে, বায়ারদের কোন চিন্তা করতে হয় না কাজের দিক দিয়ে। তারা নিশ্চিন্তে রাতের ঘুমাতে পারে। সকালে উঠে দেখতে পারে তাদের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে পারে, যার ফলে যথেষ্ট পরিমাণের টাকা রোজগার করার সুযোগ রয়েছে।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে। তো যারা শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী এই শিল্পকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।
তো বন্ধুরা আপনারা উপরোক্ত আলোচনায় জানতে পারলেন। আউটসোর্সিং এর কিছু সুবিধা সমূহ সম্পর্কে। আরো অন্যান্য সুবিধার রয়েছে যা আপনারা আউটসোর্সিং এর সাথে যুক্ত হলে বুঝতে পারবেন।
আউটসোর্সিং এর অসুবিধা
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিলে অনেক সময় কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয়তা তৃতীয় ব্যক্তির দ্বারা ভঙ্গ হতে পারে।
এক্ষেত্রে যখন কোন প্রতিষ্ঠান কোন কোম্পানির নিয়োগ সেবাকে আউটসোর্স করে দেয় তখন প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা হুমকির শিকার করতে পারে। কারণ যে ফ্রিল্যান্সারের কাজগুলো করেন। তিনি কিন্তু সেই কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন।
বিভিন্ন সময় বায়ার’রা সঠিক আউটসোর্স কর্মে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলে যথাযথ সময়ে তারা কাজটি সম্পন্ন নাও করে নিতে পারে। সেজন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি নিজস্ব পরিমণ্ডলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতের কারণ হতে পারে।
সার্বিক বিবেচনায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করানো অর্থশাস্ত্রে তারপরও এতে কিছু হাইড করা কষ্ট থাকতে পারে যা পরবর্তীতে, বায়ারদের খরচ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোকে ভালোভাবে চালাতে চাইলে অবশ্যই মুনাফা সৃষ্টি করতে হবে। বায়ার কর্তৃক কাজের মূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকলে সব সময় এই হার একক থাকলে। তখন মুনাফা সৃষ্টির জন্য সেই কোম্পানির কাছে যে পটি খোলা থাকে। তা হচ্ছে খরচ কমানো। আর এটি করতে গিয়ে কাজের মান অনেক খারাপের দিকে চলে যায়।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আরেকটি তো টাকা নিজ দেশে উত্তোলন করতে গিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক ধরনের সমস্যায় পরে যান।
বিশেষ করে, ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডে তাদের উপযোগী গ্রহণ করতে হয়। যা আউটসোর্সিং কোম্পানি গুলো নির্দিষ্ট করে রেখেছে।
তো আপনারা আউটসোর্সিং এর সম্পর্কে সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারলেন।
শেষ কথাঃ
আউটসোর্সিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পারলেন। কোন জিনিসের যেমন সুবিধা আছে। আবার তেমনি অসুবিধা রয়েছে।
তাই আপনারা যারা আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই এই সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি?
এছাড়া আউটসোর্সিং সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আরও অন্যান্য আর্টিকেল করতে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।