বিনা জামানাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক : বাংলাদেশ অনেক ক্ষুদ্রতম একটি দেশ। এ দেশে অধিকাংশ শিক্ষিত লোকেরা কিন্তু বেকার।
যারা পড়াশোনা করে, বড় বড় শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছে কিন্তু চাকরির বাজার এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে সকলের ভাগ্যেই চাকরি করার সৌভাগ্য হয়নি।
তাই আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষিত, বেকার তরুণ তরণীরা বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করার উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
তাই তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অসংখ্য দরিদ্র শিক্ষিত লোক রয়েছে।
যারা ব্যবসা শুরু করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে। কিন্তু বিনা জামানাতে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন না।
তাই অনেকের ইচ্ছা থাকলেও কিন্তু ব্যবসাতে জড়িত হতে পারে না টাকা না থাকার ফলে। তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার জন্য জানাতে এসেছি।
- কিভাবে হোম লোন পাওয়া যাবে ? জেনেনিন বিস্তারিত
- ডিপিএস কি ? কত ধরনের ডিপিএস আছে এবং ডিপিএস এর সুবিধা ও অসুবিধা
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এই বিষয় নিয়ে।
তো আপনি যদি একটি ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে আর কোন চিন্তার কারণ নেই আজ আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো। বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক গুলো।
তাই আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনিও জেনে নিতে পারবেন বাংলাদেশ কোন কোন ব্যাংক গুলো বিনা জামাতে ঋণ দেয়।
তো চলুন আর দেরি না করে, জেনে নেয়া যাক। বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক ?
বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন? বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক ? এ বিষয়ে সঠিক তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ এর বর্তমানে একটি মাত্র ব্যাংক যা বিনা জামানাতে ঋণ প্রদান করে।
আর বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক। আর সেই ব্যাংকটির নাম হচ্ছে, কর্মসংস্থান ব্যাংক।
উক্ত মূলত বেকার জনগোষ্ঠীদের সহায়তা করার জন্য ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম চালু করেন।
কিন্তু আপনি যদি বিনা জামাতে ঋণ নিতে আগ্রহে থাকেন। তবে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম নীতি মধ্যে করতে হবে। তার কারণ উক্ত ব্যাংক এর ঋণ কার্যক্রম কিছু নির্দিষ্ট মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক। কাদের জন্য বিনা জামানতে, ঋণ কার্যক্রম প্রযোজ্য এবং আপনি তাদের মধ্যে পড়েন কিনা।
কারা পাবেন বিনা জামানতে ঋণ ?
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে আপনারা যদি কোন প্রকারের জামানা ছাড়া ঋণ গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে যে সকল রিকোয়ারমেন্ট এর মধ্যে পড়তে হবে। সেগুলো হচ্ছে-
- সর্বনিম্ন ক্লাস ফাইভ পাশ থাকতে হবে। আর আগের সময় গুলোতে ছিল অষ্টম শ্রেণি পাস।
- আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। কিন্তু ৪০ বছর শিথিল যজ্ঞ।
- ঋণ পেতে চাইলে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিডা, বিসিক, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এছাড়া অন্যান্য সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ সনদপত্র থাকতে হবে।
উপরোক্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো যদি আপনার সঙ্গে মিল দিয়ে যায়। তবে আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানাতে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
বিনা জামানতে কত টাকা ঋণ নেয়া যাবে ?
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে আপনারা সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে 5 লক্ষ টাকা নিতে পারবেন।
এখন এই টাকার অংকের মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় টাকার পরিমান সিলেক্ট করতে হবে।
ওক্ত ঋণ মূলত ৮% সুদে প্রদান করা হয়। তবে আপনি যদি কিস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে। কোন ধরনের ঋণ খেলাপি করে থাকেন ।তবে তাড়িয়ে ১০% করতে পারে।
কিভাবে বিনা জামানতে ঋণ গ্রহণ করবেন ?
আপনাদের উপরে উল্লেখিত সকল বিষয়াদি আপনার সঙ্গে যদি মিলে যায়। এবং আপনি যদি ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সাথে একমত পোষণ করেন।
তবে এবার জেনে নিতে পারেন কিভাবে এর লোন গ্রহণ করা যায়।
উক্ত ঋণ সার্ভিস কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। সেজন্য প্রথম অবস্থায় কর্মসংস্থান ব্যাংক এর ঋণ নেওয়ার আবেদন ফরম রয়েছে সেটি পূরণ করতে হবে।
আপনারা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে ফর্ম পেয়ে যাবেন এবং আরো যে যাবতীয় তথ্য আছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য তাদের সাথে কন্টাক্ট সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।
আমরা নিচের অংশে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন নম্বর এবং ফ্যাক্স, ইমেইল এড্রেস যুক্ত করে দিচ্ছি, দেখুন।
- টেলিফোন নম্বর- 01719-960769
- ওয়েবসাইট- kb.gov.bd
- ইমেইল ঠিকানা- [email protected]
উপরে উল্লেখিত যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা সহজেই কর্মসংস্থান ব্যাংকের যে, সকল কাস্টমার প্রতিনিধি আছে তাদের সাথে কথা বলতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এই সম্পর্কে আশা করি, আপনারা বিস্তারিত জেনে গেছেন। এক্ষেত্রে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক হতে ঋণ নিতে চাইলে, নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ.