বর্তমানে ইউটিউব বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দারিয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের ছেলে মেয়েরা ইউটিউব এর প্রতি অনেক আকৃষ্ট।
আমরা জানি ইউটিউব জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে ইউটিউববারদের মধ্যে সাধারণ অনেক প্রশ্ন জাগে। সেই প্রশ্নের মধ্যে বড় প্রশ্ন হলো ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ?
এছাড়া সাধারণত যারা নতুন ইউটিউব শুরু করেছেন বা ইউটিউব শুরু করার কথা ভাবছেন তাদের মধ্যে কিছু প্রশ্ন থাকে যেমন: ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ? ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব? ইউটিউবে কিসের মাধ্যমে টাকা আয় করার যায় এবং ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা তোলা সম্ভব?
উপরিউক্ত সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের লেখা গুলো মনযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান তবে সেখান থেকে কত টাকা পাবেন সেটা আপনার জেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আরো পড়ুনঃ
- কম্পিউটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সেরা ৭ টি ফ্রি ওয়েবসাইট [বিস্তারিত এখানে]
- কম্পিউটারে ফ্রি ভিডিও গেমস ডাউনলোড করার ৫ টি সেরা ওয়েবসাইট [এখানে দেখুন]
- মোবাইল গেম ডাউনলোড করার ৫ টি সেরা ওয়েবসাইট [জাভা গেম খেলা ডাউনলোড]
তাই সবার আগে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলতে হয়। ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়, কিভাবে ইউটিউব এ টাকা ইনকাম বাড়ানো যায় এবং ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় গুলো কি কি সে সম্পর্কে জানতে এখানেই দৃষ্টি রাখুন।
কারণ এই আর্টিকেল পড়েই জানতে পারবেন ইউটিউব প্রতি 1000 ভিউতে কত টাকা দেয় সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল খোলা অনেক সহজ একটি কাজ। আমরা এখানে আপনার সুবিধার জন্য ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম দিয়েছি।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে শুধু মাত্র একটি ব্যক্তিগত জিমেইল/ই-মেইল একাউন্ট ও প্রাথমিক কিছু তথ্য ছক পূরণ করতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল খোলতে সাধারণত আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, বয়স, লিঙ্গ, ছবির মতো তথ্য গুলো প্রয়োজন হবে।
ইউটিউব চ্যানেল খোলা বর্তমানে অনেক সহজ একটি ব্যাপার। এখানে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম দিয়ে দিচ্ছি। ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য শুধুমাত্র একটি নিজস্ব জিমেইল একাউন্ট ও প্রাথমিক কিছু তথ্য পূরন করাই যথেষ্ট। জিমেইল একাউন্ট খুলতে সাধারনত নাম, ফোন নাম্বার, বয়স, লিঙ্গ ও ছবি এসব তথ্যের প্রয়োজন হয়৷
আপনি যখন একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলবেন তখন নিচে দেওয়া ছবির মতো একটি চ্যানেল হবে।
যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলার কাজ শেষ হবে তখন আপনাকে জিমেইল একাউন্ট লিখে, পাওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করত হবে। তার পরে সেখানে আপনি নিজের তৈরি করা ভিডিও আপলোড করে অনলাইন টাকা ইনকাম কতে পারবেন।
সব চেয়ে মজার বিষয় হলো ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে কোন প্রকার টাকা খরচ করতে হয় না সবকিছু একদম বিনামূল্যে। আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তবে এখনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় ?
বর্তমানে সব চেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের আয় করার মাধ্যম হচ্ছে Google AdSense একাউন্ট। আপনি যখন একটি ইউটিউব চ্যানেল এর নির্ধারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেন তখন সেই চ্যানেলটির ভিডিও গুলো মনিটাইজ করার জন্য গুগল এডসেন্স এ আবেদন করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স টিপ আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর আবেদন যাচাই বাছাই করার পরে সেই ইউটিউব চ্যানেল এড দেওয়ার উপযুক্ত হলে, আপনার ইউটিউবে ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন তথ্য বহুল ভিডিও থাকে তাহলে গুগল এডসেন্স আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি এডসেন্স টিম অনুমোদন করে দিবে।
ইউটিউব চ্যানেল গুগল এডসেন্স থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরে সেই চ্যানেলটির ভিডিওতে বিজ্ঞাপন/এড শো করে। তখন থেকে বিজ্ঞাপন ভিউ হিসাব করে ইউটিউব চ্যানেলের মালিককে গুগল এডসেন্স টাকা দিয়ে থাকে।
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স ব্যবহার না করেও অনেক ইউটিউবার’রা এফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রোডাক্ট/পণ্য রিভিউ, নিজস্ব কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনাকম করতে পারে
ইউটিউব চ্যানেল থেকে AdSense বিজ্ঞাপন পাওয়ার উপায় ?
বর্তমানে গুগল এডসেন্স একটি সোনার হরিণ। গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে তাদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যা আমি উপরের অংশ বলেছি। কিন্তু আপনার সুবিধার জন্য আমরা আবারো বলবো যে, ইউটিউব চ্যানেল থেকে AdSense এড পাওয়ার জন্য কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে।
আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও মনিটাইজ করার জন্য গুগল এডসেন্স এ আবেদন করতে হবে। তাই ইউটিউব ভিডিও মনিটাইজ করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেল ১২ মাস অর্থাৎ ১ বছর এর মধ্যে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এর মাইলফলক অর্জন করতে হবে।
উক্ত শর্তগুলো গুগল এডসেন্স ২০১৯ সাল হতে বলবৎ করেছে। তার জন্য আপনি বুঝতেই পারছেন শুধু একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকলেই ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। টাকা আয় করতে হলে ইউটিউব চ্যানেলটি অনলাইনে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব ও ওয়াচ টাইম না হলে এডসেন্স থেকে অনুমোদন পাবেন না। তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করার জন্য বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও লিংক শেয়ার করতে হবে।
ইউটিউবে কত ভিউ হলে ইনকাম শুরু করা যায় ?
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় কিন্তু এখানে যারা ইউটিউবার রয়েছে তাদের মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে।
তাই আমি আগেই বলেছি ২০১৯ সালে থেকে শর্ত মোতাবেক ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও এক বছরে ৪০০০ হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। যখন আপনি এই শর্তটি পুরণ করতে পারবেন তখন থেকেই ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব ভিডিও প্রতি ভিউতে কত টাকা দেয় ?
ইউটিউব সাধারণত কোন চ্যানেল এর ভিউ হিসাবে টাকা দেয় না। ইউটিউব চ্যনেলে যে সকল ভিডিওতে বিজ্ঞাপন/এড দেখানো হয় সে গুলোতে দর্শকরা কি পরিমানের ক্লিক করছে সেই হিসাব অনুসরণ করে ইউটিউব চ্যানেলকে টাকা দেওয়া হয়।
যত বেশি দর্শক আপনার ইউটিউব ভিডিও দেখবে এবং বিজ্ঞাপন গুলোতে ক্লিক করবে তত বেশি টাকা আয় হবে। সেই সাথে একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে কি পরিমানের এড হয় সেই বিজ্ঞাপন গুলোর ক্লিক রেট কত হবে এবং বিজ্ঞাপন ভিউ রেট কত হবে তা বিবেচনা করে ইউটিউব চ্যানেল একজন ইউটিউবারকে টাকা দিয়ে থাক।
উপরিউক্ত কথা একটি পরিষ্কার যে, আমরা নিদিষ্ট করে বলতে পারিনা যে প্রতি ভিউতে কত টাকা দেয়। তবে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আপনার ভিডিও যদি বাংলাদেশ থেকে দেখে বিজ্ঞাপনে ১ টি ক্লিক করে তবে আপনি ০.৫$ ডলার পাবেন। আর যদি বিদেশের যে কোন দেশে থেকে আপনার ভিডিও বিজ্ঞাপনে ১ ক্লিক করে সেখানে আপনি ১$ ডলার থেকে শুরু করে ৫$ ডলার পর্যন্ত পেয়ে যাবেন।
ইউটিউবে আয়ের হিসাব ?
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও কত ভিউতে কত টাকা দেয় এবং ইউটিউবে প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেওয়া হয় সেটা সঠিক ভাবে কোন ইউটিউবার বলতে পারবেন না। কারণ আমরা আগেও বলেছি ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় ভালো ভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে, অনেক সময় কিছু ভিডিও থাকে সেগুলোতে বিজ্ঞাপন শো করে না।
আপনার ভিডিওতে যদি বিজ্ঞাপন না শো করে তবে দর্শরা ক্লিক করতে পারবে না আপনার টাকা ইনাকমও হবে না। সেক্ষেত্রে একটি ভিডিও যদি ১০০০ বার দেখা হয় বিজ্ঞাপন না শো করে তাহলে সেখানে ১০০০ ভিউ হলেও ইউটিউব কোন টাকা দিবে না।
আবার যদি আপনার ইউটিউবে একটি ভিডিও ১০০০ বার দেখার পরে ৮০০ বার বিজ্ঞাপন শো করে সেই ক্ষেত্রে দেখা যাবে ৮০০ ভিউ এর জন্য আপনি ৮-১০ ডলার আয় করতে পারবেন।
আর যদি ভিউ হিসেবে আপনার ভিডিওতে তেমন এড শোন না করে তাহলে সেখানে আপনি ১০-২০ সেন্ট আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
- এন্টিভাইরাস কি? কেন ব্যবহার করতে হয়? মোবাইলের জন্য সবচেয়ে ভালো ৫ টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
- দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার উপায় 2022 [ গুগল এডসেন্স পলিসি ]
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করার সঠিক গাইড 2022
আবার মনে করুন আপনার কোন একটি ভিডিও ১০০০ বার ভিউ হয়েছে কিন্ত ভিডিওতে মাত্র ৫০ টি বিজ্ঞাপন শো করেছে তার বিনিময়ে আপনি ২-৩ ডলার আয় করতে পারবেন।
আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ যে সকল ভিডিও ১০০০ ভিউ করে সেখানে ১০০০ টি বিজ্ঞাপন শো করে তার বিনিময়ে আপনি ৩-৫ ডলার ইনাকম করতে পারবেন। আর যদি উন্নতমানের দেশ যেমন: আমেরিকা, ইতালি, লন্ডল, ইউনাইটেড স্টেড এর মতো দেশ থেকে আপনার ভিডিও গুলোতে কম বিজ্ঞাপন শো করে তবোও আপনি বেশি ডলার আয় করতে পারবেন।
যেমন: বাংলাদেশে যদি ১০০০ ভিডিও ভিউ হয় তাহলে সেখানে থেকে পাবেন ৫ ডলার আর যদি অন্য দেশ হয় তাহলে সেখান থেকে পাবেন ২০ ডলার। তাহলে চিন্তা করুন বাংলাদেশের চেয়ে অন্যান্য দেশের বিজ্ঞাপন ক্লিক রেট অনেক বেশি।
ইউটিউব কিসের ভিত্তিতে টাকা দেয়?
ইউটিউব আসলে CPC, CTR, RPM এর ভিত্তিতে টাকা দেয়। কিন্তু এই মাধ্যম গুলোর হিসাব মিলানো কোন ভাবেই সম্ভব নয়। গুগল এড সেন্স সিপিসি, সিটিআর, আরপিএম কি তা আপনি গুগলের এডসেন্স এর একটি আর্টিকেল পড়লেই বুঝতে পারবেন। সেই পোস্টটি আমাদের এখানেই পাবেন।
ইউটিউব এর ডলার বা টাকার হিসাব মিলাতে চাইলের উক্ত লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে CPC, CTR ও RPM এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপনিএর সিপিএম কত হয় সিপিসি কত হয় তার উপর নির্ভর করে। একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনার ইউটিউব ভিডিও তে যদি ১০,০০০ হাজার ভিউ হয় কিন্তু সেখানে যদি বিজ্ঞাপন না শো করে তাহলে ১০ হাজার ভিউ এর জন্য কোন টাকা পাবেন না।
ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স সেই ভিডিও গুলোতে যত বার বিজ্ঞাপন আসবে তখন ১০০০ বার বিজ্ঞাপন শো হবে তখন আপনি ১০০০ ভিউতে যত সিপিএম থাকবে তত টাকা আয় করতে পারবেন। সিপিএম কে (Cost Per Mile) বলা হয়।
ইউটিউব CPM কি?
CPM হলো আপনার ইউটিউব ভিডিও তে যে, বিজ্ঞাপন গুলো চলে সেখানে কত বার ক্লিক পছরে, ভিজিটর সম্পুন্ন বিজ্ঞাপন দেখছে কি না বা ভিডিও স্কিপ করছেন কত জন এবং ভিডিও তে যে, বিজ্ঞাপন চলছে তার দাম কত, কোন দেশ থেকে দেখছে। উক্ত বিষয়াদি নির্ধারণ করে থাকে সিপিএম।
আরো দেখুনঃ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ সকল রেজাল্ট
ইউটিউব CPC কি?
CPC এর পূর্ণ রূপ (Cost Per Click) যা আপনার ভিডিওতে যে, বিজ্ঞাপন আসছে তাতে ক্লিক করলে যত টাকা এডসেন্স দিবে তাকে CPC বলা হয় ।
এড ক্লিক বা সিপিসি প্রায় টাকার হিসাব করা হয়। যেমন মনে করুন আপনার একটি ইউটিউব ভিডিওতে ১০,০০০ টি ভিউ হয়েছে।
সেই ভিডিওতে ১০০ বার এড ক্লিক হয়েছে তার জন্য সিপিসি রেট ছিলো ০.৫০$ তাহলে মোট ৫00$ আপনি বাংলাদেশি টাকা অনুযায়ী যদি প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হয় সে ক্ষেত্রে পাবেন ৪২,৫০০/- টাকা। আশা করি উক্ত কথার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন সিপিসি এড ক্লিক করে কত টাকা পাওয়া যায়।
কোন কোন দেশে এডসেন্স বিজ্ঞাপ ক্লিক রেট বেশি ?
আমরা এখন আপনার সাথে শেয়ার করবো কোন দেশে এডসেন্স এড ক্লিক রেট কত বেশি। এখানে জানতে পারবেন কোন দেশ এক ক্লিক করলে কত ডলার বা সেন্ট পাওয়া যায়। আমরা জানি যে, ১০০ সেন্ড = ১ ডলার। তার জন্য নিচে দেওয়া তালিকা গুলো দেখুন।
- আমেরিকা বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৫০$ সেন্ট থেকে 1$ ডলার পর্যন্ত।
- অস্ট্রেলিয়া বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.২০$ সেন্ট থেকে ০.৫৭$ সেন্ট পর্যন্ত।
- লন্ডন বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৪০$ সেন্ট থেকে ০.৮০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- ফিনল্যান্ড বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৪৫$ সেন্ট থেকে ০.৫০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- কানাডা বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৪৫$ সেন্ট থেকে ০.৬০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- অস্ট্রিয়া বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৪৫$ সেন্ট থেকে ০.৫০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- নিউজিল্যান্ড বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক =০.৩০$ সেন্ট থেকে ০.৪০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- সুইডেন বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৩০$ সেন্ট থেকে ০.৩৫$ সেন্ট পর্যন্ত।
- আয়ারল্যান্ড বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.৩০$ সেন্ট থেকে ০.৩৫$ সেন্ট পর্যন্ত।
- ডেনমার্ক বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.২০$ সেন্ট থেকে ০.৩০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- সিঙ্গাপুর বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.২০$ সেন্ট থেকে ০.৩০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- দক্ষিণ আফ্রিকা বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.২০$ সেন্ট থেকে ০.৩০$ সেন্ট পর্যন্ত।
কোন কোন দেশে এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপ ক্লিক রেট কম?
আমরা এখন আপনার সাথে শেয়ার করবো কোন দেশে এডসেন্স এড ক্লিক রেট কত কম। এখানে জানতে পারবেন কোন দেশ এক ক্লিক করলে কত ডলার বা সেন্ট পাওয়া যায়। আমরা জানি যে, ১০০ সেন্ড = ১ ডলার। বিস্তারিত জানতে নিচে দেওয়া তালিকা গুলো দেখুন।
- বাংলাদেশ বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.০৩$ সেন্ট থেকে ০.০৫$ সেন্ট পর্যন্ত।
- ইন্ডিয়া বিজ্ঞাপন প্রতি ক্লিক = ০.১০$ সেন্ট থেকে ০.২০$ সেন্ট পর্যন্ত।
- সৌদি আরব প্রতি ক্লিক = ০.৫$ সেন্ট থেকে ০.১২$ সেন্ট পর্যন্ত।
- পাকিস্তান প্রতি ক্লিক = ০.৪$ সেন্ট থেকে ৫$ সেন্ট পর্যন্ত।
উপরিউক্ত তালিকা অনুযায়ী জানতে পারলেন যে কোন কোন দেশ থেকে বেশি এবং কম ডলার ইনকাম করা যায়। আশা করি আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারছেন।
শেষ কথাঃ
ইউটিউব প্রতি 1000 ভিউতে কত টাকা দেয় বা প্রতি ভিউতে ইউটিউবে কত টাকা আয় করা যায় এটি সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। বর্তমানে অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা প্রতি ১০০০ ভিউতে ২০ ডলার আবার কেউ ১০ ডলার, কেউ কেউ আবার যারা নতুন ইউটিউবার তারা ০২ ডলার ইকাম করছে।
ট্যাগ: ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়? আপনি কি জাননে ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়, ইউটিউব চ্যানেল থেকে কত টাকা আয় করা যায়, ইউটিউব প্রতি ভিউতে কত টাকা দেয় ? ইউটিউব চ্যানেল প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়। ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়? ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়। ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়।
আপনি যদি উপরের আলোচনা মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তবে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এই পোস্ট পড়ে উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।