ড্রোন কি : ড্রোন কিভাবে কাজ করে? আজ আমাদের এই পোস্টে ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে যাচ্ছি।
বর্তমান সময়ে ড্রোন একথাটি অনেক মানুষ এর কাছে পরিচিত। ইনস্ট্রাগ্রাম রিলিস এর দৌলতে, ড্রোন দিয়ে শুট করা ভিডিও গুলোতে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
এছাড়া বর্তমান সময়ে স্পোর্টস এর লাইভ কভারেজ, বিষয়ের অনুষ্ঠান এর মতো ইভেন্টের ফুটেজ বা ভিডিও গুরো এই ড্রোন এর মাধ্যমে তোলা হয়।
কিন্তু মনুষ্যহীন বায়বীয় বাহন এবং সাধারণ ভাবে ড্রোন নামে পরিচিত। উক্ত বস্তুটি আসলে কি এর কাজ কি এবং বেশিষ্ট্য কি।
আপনার মনে যদি এই সকল প্রশ্ন জাগে। তাহলে ড্রোন সম্পর্কে আপনি এই পোস্টে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
তো বন্ধুরা আপনি যদি ড্রোন সম্পর্কে সকল তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
ড্রোন কি ?
আপনাকে সহজ ভাষায় বলতে গেলে ড্রোন হলো এক ধরণের উড়ন্ত রোবট। এই ধরণের রোবট কে আপনি র্দিষ্ট দুরত্ব থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এছাড়া অনেক সময় উক্ত ড্রোন গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে উড়তে পারে। উক্ত স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রগুরোর মধ্যে এমবেডেড সিস্টেম থাকা সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিয় ফ্লাইট প্লান গুলা এদের নিজে থেকৈ কোন রকম কোন বাহক ছাড়া উড়াতে সহায়তা করে।
উক্ত এম্বডেড সিস্টেম টি অনবোর্ড সেন্সর এবং একটি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর সঙ্গে মিলিত হয় এবং কাজ করে থাকে।
প্রথমে ড্রোন গুলো বেশির ভাগ সামরিক বাহিনীর কাজের সাথে যুক্ত থাকতো। তবে এই যানের সঙ্গে ভালো মানের ক্যামেরা ফিটা করা থাকে।
ড্রোন নামে পরিচিত হলেও এটির প্রকৃত নাম কিন্তু আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল বা ইউএভি।
আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল কিভাবে ড্রোন হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে ?
ইংরেজিতে ড্রোন শব্দটির অর্থ হচ্ছে পুরুষ মৌমাছি বা গুঞ্জন ধ্বনী। উক্ত যন্ত্রটি প্রথম ব্যবহার হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে। শক্রুপক্ষের যোদ্ধা এবং বিমান গুলোকে আকাশ পথ থেকে পর্যবেক্ষণ এর জন্য।
আর উক্ত রেডিও নিয়ন্ত্রি যন্ত্র গুলো কেত আরপিভিউ বা রিমোটলি পাইলটেড ভেহিকেল বলা হয়ে থাকতো। উক্ত পোশাকি নাম অনেক বেশি দিন ধরে সামরিক নির্মাতা এবং ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করেন নাই।
তার বিপরীতে তারা এর কিছু সংক্ষিপ না দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তখন এই যান গুলো চলারসময়।
একই সাথে মৌমাছির দল এর গুঞ্জন এর মতো শোনাতো আর মৌমাছিদের দল সর্বাপেক্ষা গুঞ্জন সুষ্টিকারী প্রানী হচ্ছে পুং মৌমাছি বা ড্রোন।
এর সেখান থেকে ইউএভি যান গুলোর নাম করণ করা হয় ড্রোন। উক্ত ড্রোন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় 1946 সালের একটি মনুষ্য বিহীন বায়বীয় আকাশ যানের জন্য। তবে আশা করি যে ড্রোন বলতে কি বুঝায় সেটি আপনি পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন।
ড্রোন কিভাবে কাজ করে ?
শুধু মাত্র একটি জয়স্টিক এবং জিপিএস সিস্টেম এর মাধ্যমে যুক্ত থাকলেই একটি ড্রোন কে নিয়ন্ত্রণ করা ঠিক একটি ভিডিও গেম খেলার মতন সহজ।
কিন্তু উক্ত যুন্ত্র গুলো মসৃণ ভাবে কাজ করার জন্য আছে। এক ধরনের সহজ ব্যবহারকাী বান্ধব ইউজার ইন্টারফেস।
উক্ত ইন্টারফেস এর সহজ পরিচালনার পিছনে আছে। এক্সিলোমিটার, জােইরোস্কোপ এবং আরো বিভিন্ন ধরণের জটিল জটিল প্রযুক্তি।
যার মাধ্যমে উক্ত ড্রোন গুলোর মেকানিক্স অনেক বেশি মসৃণ এবং সহজ ভাবে কাজ করতে পারে।
ড্রোনের বৈশিষ্ট্য
ড্রোনের বেশিষ্ট্য এর দিক থেকে ড্রোন ক্যামেরার নিজস্ব কত গুলো ফাংশন রয়েছে। যা উক্ত যন্ত্র গুলোকে অনন্য করে তুলে যেমন-
দক্ষতা-
ড্রোন অনেকটা ছোট, মজবুত এবং সাধারণ যান বাহনের তুলনায় অনেক উচ্চ স্তরে উড়তে পারে। যা এদেরকে সহজেই কঠিন রুটে চলাচল করতে সহায়তা করে।
এবং কোন প্রকার কোন ট্রাফিক জ্যঅমে না আটকে দ্রুত ভাবে নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌছে যেতে পারে।
মনুষ্যহীন এং রিমোটের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
উক্ত যন্ত্র টি এমন একটি যন্ত্র যা মানুষকে বাহক হিসেবে চড়তে হয় না। বরং ড্রোন স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে। আর না হলে আপনাকে রিমোট বা কোন এপস ব্যবহার করে যে কোন জায়গা থেকে তার যাত্রা পথ কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সহজেই বহন যোগ্য
উক্ত ড্রোন গুলো বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। কিন্তু এর সব গুলো মডেল কম বেশি হালকা, দ্রুত উড়তে পারে এবং সহজেই বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
কম ব্যয়সাপেক্ষ
কোন প্রয়োজনে হেলিকপ্টার কিংবা সাধারণ বাহন যা খরচ নেবে। ড্রোন তার থেকে অনেক কম খরচে আপনাকে উন্নতমানের সার্ভিস দিতে পারবে।
কম্পিউটার এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত
কম্পিউটার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ড্রোন গুলো সম্পূর্ণ নির্ভূল ভবে কাজ করতে পারে।
এখানে কোন প্রকার ক্রটির সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এইবার আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে, একটি ড্রোন আসলে কিভাবে উড়ে।
আসলে সহজ তারহীন প্রযুক্তি এবং পদার্থবিদ্যঅর সংযুক্ত প্রয়াসে বাধাহীন ভাবে একটি ড্রোন আকাশে উড়তে পারে।
ড্রোনের মূল উপাদান গুলো কি কি ?
প্রতিটি ড্রোন এর প্রধানত ০৪ (চার) টি মুল উপাদান এর মাধ্যমে গঠিত যেমন-
- কানেক্টিভিটি।
- রোটর্স।
- অ্যাক্সিলোমিটার ও অল্টিমিটার।
- ক্যামেরা।
ড্রোন এর ব্যবহার
বর্তমান সময়ে ড্রোন এর বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার হয়। প্রথম দিকে ড্রোন শুধু সামরিক বাহিনীর কাজে ব্যবহার করা হতো। তাই ড্রোন এর ব্যবহার কে আমরা মূলত সামরিক এবং অসামরিক ব্যবহার দুই ভাগে ভাগ করেছি।
তো আপনাদের জন্য এখানে ড্রোন এর ব্যবহার করার জায়গা সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি। যেমন-
- বোমা সনাক্তকরণ।
- নজরদারি।
- হাওয়াই হামলা।
- ফিল্মিং ও সাংবাদিকতা।
- শিপিং এবং ডেলিভারি।
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।
- উদ্ধারকার্য ও স্বাস্থ্যসেবা।
- আবহাওয়া, কৃষি ক্ষেত্র, আর্কিওলজিক্যাল অনুসন্ধান।
- জিও – ম্যাপিং।
- নিরাপত্তা পরিদর্শন।
- বন্য প্রাণী পর্যবেক্ষণ।
উক্ত জায়গা গুলো বা কাজের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
শেষ কথাঃ
তো আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো ড্রোন কি? ড্রোন কিভাবে কাজ করে এবং ড্রোন এর বৈশিষ্ট ও ব্যবহার সম্পর্কে।
আপনি যদি উক্ত আলোচনা মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আশা করা যায় যে, আপনি ড্রোন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
আর আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।
এছাড়া আপনি যদি আমাদের এই সাইট থেকে প্রযুক্তি সংক্রান্ত নতুন নতুন টিপস এন্ড টিক্স পেতে চান। তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।