বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্য অনলাইন জব রয়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার প্রচলন দিন দিন বাড়ছে। অনলাইন থেকে আয় করার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাজার মাধ্যম রয়েছে।
আজকে এই টিউটোরিয়ালে আমি আলোচনা করছি ঘরে বসে আয় করার মেয়েদের জন্য অনলাইন জব সম্পর্কে।
ঘরে বসে ইনকাম করার প্রচলন টা দিন দিন যেমনটা বাড়ছে তুলনামূলকভাবে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এই কাজে পিছিয়ে নেই। আমাদের দেশে অনেক পরিবারে শিক্ষিত গৃহিণী রয়েছেন যারা শুধুমাত্র ঘরের কাজ করে বাকি সময় টিভি সিরিয়াল বা অন্য কিছু করে সময় কাটিয়ে দেন।
সংসারের কাজের পাশাপাশি কিছু সময় কাজে লাগিয়ে অনলাইনে কাজ করে ঘরে বসে যদি কিছু আয় করা যায় তাহলে কেমন হয়?
আজকে আমি এমনই পনেরোটি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম নিয়ে এসেছি যে মাধ্যমগুলো অবলম্বন করে ঘরে বসে মেয়েরা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবে। মেয়েদের জন্য অনলাইন জব গুলো অন্যান্য কাজে তুলনায় একটু সহজ।
তো বন্ধুরা দেখে নিন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ঘরে বসে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
মেয়েদের জন্য জনপ্রিয় 15 টি অনলাইন জব
আমি আগেই বলেছি বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার প্রচুর মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে যে মাধ্যমগুলি তুলনামূলকভাবে সহজ এবং মেয়েরা কাজের পাশাপাশি সহজে করতে পারবে সেই মাধ্যমগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা করছি।
ব্লগিং করে আয়ঃ
মেয়েদের জন্য অনলাইন জব এর যে সমস্ত কাজ রয়েছে তার মধ্যে প্রথমেই রাখতে চাই ব্লগিংকে। ব্লগিং হচ্ছে একটি মজার পেশা। এই পেশাতে দিনের যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে কাজ করতে পারবেন।
মোটকথা আপনার যখন সময় হবে তখন কাজ করবেন যখন সময় হবে না তখন কাজ করার প্রয়োজন নেই আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন। আর এই পেশা দিতেই রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা।
বর্তমানে বাংলাদেশে ছেলেদের পাশাপাশি অনেক মেয়েরা ব্লগিং করে ঘরে বসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন। অনলাইনে ইনকাম করার যে সকল কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং স্বাধীন কাজ হচ্ছে ব্লগিং।
আপনি যদি ব্লগিং করে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। অতঃপর সেই ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন বসিয়ে অথবা কোন এফিলিয়েট লিংক বসিয়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করে আনলিমিটেড ইনকাম করা যায় এর কোন সীমাবদ্ধতা নেই আপনি যত কাজ করবেন তত আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কিভাবে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ব্লগিং এ আপনি একবার একটি কাজ করলে সেই কাজের বেনিফিট সারা জীবন পেতে থাকবেন।
মনে করুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল লিখেছেন- সে আর্টিকেলটি যতদিন আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে ততদিন ভিজিটররা পড়বে। এবং যতদিন আপনার আর্টিকেলটি অনলাইনে থাকবে ততদিন আপনি সে আর্টিকেলে বিজ্ঞাপন বসিয়ে আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ একবার কাজ করেই সারাজীবন ইনকাম করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়।
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়:
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। বর্তমানে অনলাইনে যত বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পেমেন্ট করে থাকে গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হবে।
ব্লগিং এর একটি অংশ হলো গুগল এডসেন্স। অর্থাৎ আপনি যদি ব্লগিং করেন তথা একটি ওয়েবসাইট থাকে সেই ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল বা কনটেন্ট থাকে আপনি সেই কন্টেন গুলোর মধ্যে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারবেন।
এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে- কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করবো?
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার একটি প্রক্রিয়া নিচে আলোচনা করছি:
- একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
- ওয়েবসাইট এ আর্টিকেল লিখতে হবে।
- গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে।
- আবেদন এপ্রোভ হলে- গুগল এডসেন্স এর এড কোড ব্লগ/ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন অংশে বসাতে হবে।
- গুগল এডসেন্স এ 10 ডলার পূর্ণ হলে গুগল আপনার ঠিকানায় একটি পিন /লেটার পাঠাবে। সেই পিন দিয়ে আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করতে হবে।
- অতপর ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করতে হবে।
- একাউন্টে 100 ডলার পূর্ণ হলে গুগল আপনার একাউন্টে পেমেন্ট পাঠিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন:
- কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করবেন a2z গাইড
- গুগল এডসেন্স এর সিপিসি বাড়ানোর উপায়।
- কিভাবে গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
মেয়েদের জন্য অনলাইন জব এর আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। মেয়েরা চাইলে ঘরে বসে ফেসবুক লগইন অথবা অন্য যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল- যেকোনো একটি পণ্য বা কোন সার্ভিস, আপনি ফেসবুকে বা কোন মেসেঞ্জারে অথবা কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করতে পারেন। যখন আপনি প্রচার করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করবেন তখন সে পণ্য বা সার্ভিস হোল্ডার আপনাকে পার্সেন্টেজ হারে টাকা প্রদান করবে।
অর্থাৎ আপনি যদি ফেসবুকে প্রচার করে একটি পণ্য 500 টাকা বিক্রি করেন এবং পণ্যটির কমিশন যদি 10% হয়, তাহলে আপনি 500 টাকার 10% অর্থাৎ 50 টাকা সাথে সাথে পেয়ে যাবেন।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি যত ইচ্ছা তত বিক্রি করতে পারবেন। এখানে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রয়োজন হবে না। এমনকি আপনি শুধু পণ্যটি অর্ডার করিয়ে দিবেন ডেলিভারি এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি যত কাজ রয়েছে সেগুলি সেই পণ্য বা সার্ভিস হোল্ডার তারাই করবে।
আরোও পড়ুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন। বিস্তারিত এখানে।
আর্টিকেল রাইটিং জব:
বর্তমানে মেয়েদের জন্য আর্টিকেল রাইটিং জব একটি প্রচলিত অনলাইন ইনকামের মাধ্যম। বাংলাদেশে অনেক ওয়েবসাইট বা ব্লগ রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট / আর্টিকেল রাইটার দিয়ে লিখে নেন। আপনি চাইলে সেইসমস্ত ওয়েব সাইটে জয়েন হয়ে আপনার আর্টিকেল সাবমিট করতে পারেন।
আপনার আর্টিকেল এর গুণগত মান এবং কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে আপনি প্রতি আর্টিকেলের জন্য 100 টাকা থেকে শুরু করে 500 টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। ভালো মানের কোয়ালিটি সম্পন্ন একটি আর্টিকেল লিখতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
বর্তমানে ইংরেজি আর্টিকেল এর পাশাপাশি বাংলা আর্টিকেল এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে রিচার্জ বা লেখালেখি করতে ভালবাসেন তবে এই পেশা টি আপনার জন্য বেস্ট একটি অনলাইন পেশা হতে পারে।
আর্টিকেল লিখে আয় করার বাংলাদেশি সাইটগুলোর মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য একটি সাইট হলো- জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম।
ইউটিউব থেকে আয়
ঘরে বসে আয় করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব। যদি অনলাইনে আয় করার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে ইউটিউবকে অনলাইন ইনকামের মাধ্যম হিসাবে তৈরি করতে পারেন।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় জানতে হবে। যেমন:
- ইউটিউব এর জন্য প্রপার বিষয় নির্বাচন করতে হবে।
- একটি ভাল মানের স্মার্টফোন ও একটি কম্পিউটার থাকতে হবে।
- ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
- রেগুলার ভিডিও আপলোড করতে হবে।
- 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়ে গেলে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে হবে।
- অতঃপর আপনার ভিডিও আপলোড করছি নিউ রেখে যেতে হবে।
- ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করতে হবে।
- অন্যের তৈরি করা কোন কপিরাইট ভিডিও আপলোড করা যাবেনা।
আরও পড়ুন: ইউটিউব থেকে আয় করার a2z গাইড। কিভাবে শুরু করবেন।
ভয়েস ওভার সার্ভিস
মেয়েদের অনলাইন জব এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে ভয়েস অভার সার্ভিস। আমরা ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। বেশিরভাগ ভিডিওতেই কারো না কারোর রেকর্ড করা ভয়েস শুনতে পাই। বেশিরভাগ ইউটিউবাররা এ সমস্ত ভয়েস বিভিন্ন আর্টিস্ট দের কাছ থেকে কিনে নেন।
অর্থাৎ কোন একজন ইউটিউবার বা কোন একটি কাজের জন্য কারোর ভালো ধরনের ফিমেল ভয়েস প্রয়োজন। এই অবস্থায় বায়ার আপনাকে স্ক্রিপ্ট দিয়ে দেবে আপনি শুধু সেই স্ক্রিপ্টটা রেকর্ড করে ভয়েস পাঠাতে হবে। ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে প্রতি মিনিটের জন্য 20 টাকা থেকে শুরু করে 100 টাকা পর্যন্ত নেয়া যেতে পারে।
অর্থাৎ আপনি যদি ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেন তাহলে 10 মিনিটের একটি ভয়েস রেকর্ডের জন্য 400 টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
কাজ কোথায় পাবেন:
ফেসবুক, ইমেইল, মেসেন্জার, গ্রুপ ও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ এমন অনেক কাজ রয়েছে।
Read More:
- অনলাইন ইনকাম লিংক || অনলাইন রিয়েল ইনকাম ওয়েবসাইট লিংক।
- এডসেন্স এড লিমিট কি? এড লিমিট কেন হয় এবং এর সমাধান কি?
- এন্টিভাইরাস কি? কেন ব্যবহার করতে হয়? মোবাইলের জন্য সবচেয়ে ভালো ৫ টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
ডাটা এন্ট্রি করে আয়:
মেয়েদের ঘরে বসে জব করার জন্য ডাটা এন্ট্রি করা একটি অন্যতম কাজ। যারা মোটামুটি ভালই স্পিডে টাইপ করতে পারেন তাদের জন্য এই কাজটি প্রযোজ্য। যাদের হাতের লেখার স্পিড কম তারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে তেমনটা সুবিধা করতে পারবেন না।
ডাটা এন্ট্রির কাজ মূলত- কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের পুরাতন ফাইলগুলো ডিজিটালাইজেশ করার জন্য বিভিন্ন রাইটার দিয়ে টাইপ করিয়ে নিয়ে থাকেন। এই কাজটিকে মূলত ডাটা এন্ট্রির কাজ বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
অনলাইনে ঘরে বসে জব করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি পণ্য বা কোন একটি সার্ভিসকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রচার করা।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় এফিলিয়েট মার্কেটিং এছাড়াও কোন একটি কোম্পানি প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করা হয়। বর্তমানে কোন প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য অন্যতম এবং যুগোপযোগী মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
আরোও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়।
ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়ঃ
বর্তমানে ফেসবুক খুললেই দেখা যায় অনেকেই ফেসবুক লাইভে এসে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের রিভিউ করছেন। অনেকে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের থ্রিপিস শাড়ি বা অন্যান্য প্রোডাক্ট ফেসবুকে প্রচার প্রচারণা করে বিক্রি করে থাকেন। আমরা সেখান থেকে অনলাইনে অর্ডার করে সে পণ্য গুলো কিনে থাকি।
যেকোনো পণ্য বা সার্ভিস কে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রয় করা অথবা প্রমোশন করার নামই হলো ফেসবুক মার্কেটিং। বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুকের ইউজার সংখ্যা অনেক বেশি। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করে অনেক লাভবান ব্যবসা করা সম্ভব।
ফেসবুক মার্কেটিং করে চাইলেই ঘরে বসে প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন। বিস্তারিত এখানে।
ফেসবুক মার্কেপ্লেস :
ফেসবুক স্টোর হলো ফেসবুকে প্রচার বা প্রচারণা করে কোনো পণ্য বিক্রি করা। বর্তমানে ফেসবুকের একটি নতুন ফিচার রয়েছে যার নাম হল ফেইসবুক মারকেটপ্লেস। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে আপনি চাইলেই যে কোন লিস্ট করতে পারবেন। লিস্ট করার পর সে পণ্যগুলোকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করাকে ফেসবুক মারকেটপ্লেস বলে।
ফেইসবুক মারকেটপ্লেস এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আয় করা বর্তমানে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনিও চাইলে ফেইসবুক মারকেটপ্লেস কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে প্রতি মাসে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়:
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা মাথায় আসলে মনে হয় গ্রাফিক ডিজাইনে কথা। অর্থাৎ গ্রাফিক ডিজাইন ছাড়া যেন ফ্রীলান্সিং অচল। তাহলে বুঝতেই পারছেন বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইনে চাহিদা কতটা।
গ্রাফিক ডিজাইন হল- কোন একটি বিষয় বা প্রডাক্ট কে ট্যাক্স এবং ইমেজের কম্বিনেশনে একটি সুন্দর ডিজাইন ফুটিয়ে তোলার নাম হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত কোন পণ্য বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন ও প্রচার প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা ব্যাপক। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতিমাসে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।
তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হবে। অন্যথায় বর্তমান যুগে মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে পারবেন না
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে তিন মাস থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ওয়েব ডিজাইন করে আয়:
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদাও ব্যাপক। বর্তমানে ছোট-বড় প্রত্যেক ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি করে ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভিন্নতা অনুযায়ী ওয়েবসাইট এর ধরন ভিন্ন ভিন্ন। আর ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ এবং পারদর্শী সৃজনশীল ওয়েব ডিজাইনার এর প্রয়োজন।
আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত চোখ বন্ধ করে ইনকাম করতে পারবেন। আবারো বলছি আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে বর্তমান মার্কেটপ্লেসে থেকে ইনকাম করা সম্ভব নয়।
আপনি যে কাজ করুন না কেন অবশ্যই আপনাকে কাজ শুরু করার পূর্বে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে।
রিলেটেড ট্যাগ: এড ফি ছাড়া অনলাইন জব, ঘরে বসে অনলাইনে চাকরি, অনলাইন জব মোবাইল, ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি, বাংলাদেশের অনলাইন জব, ফ্রি অনলাইন জব, রিয়েল অনলাইন জব, অনলাইন জব ওয়েবসাইট।
আমাদের পরামর্শঃ
বন্ধুরা আমরা এখানে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি এগুলি সম্পূর্ণ রিয়েল এবং বিশ্বাসযোগ্য কাজ। আমাদের দেখানো এসমস্ত কাজগুলোতে আপনার কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র দক্ষতা অর্জন করেই প্রতিমাসে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোর থেকে আয় করতে পারবেন।
বন্ধুরা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি আপনাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের এই লেখাটি পড়ে যদি আপনি কিঞ্চিৎ উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই লেখাটি শেয়ার করবেন। আর যদি আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ
পরিষ্কার ব্যখ্যা হয়েছে
Very nice
Ami data capther kag korte chi.. Kibave korbo.
Data entry kaj korta chai ki vaba korbo plz reply
thanks